মুফতি আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদীসিয়াম:ফাতওয়া  নং  ২৪৪

প্রচলিত গেরিলা যুদ্ধে রোযা ভেঙ্গে ফেলার কি সুযোগ আছে?

প্রচলিত গেরিলা যুদ্ধে রোযা ভেঙ্গে ফেলার কি সুযোগ আছে?

প্রচলিত গেরিলা যুদ্ধে রোযা ভেঙ্গে ফেলার কি সুযোগ আছে?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

প্রচলিত গেরিলা যুদ্ধে রমযানে শত্রুর উপর হামলা করার জন্য রোযা না রাখা বা রেখে থাকলে ভেঙ্গে ফেলা কি জায়েয হবে?

 

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم

হ্যাঁ, যদি যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার প্রবল ধারণা হয় এবং রোযা রাখলে দুর্বলতার আশংকা থাকে, তাহলে মুজাহিদ মুকিম হোক বা মুসাফির, উভয় অবস্থায় তার জন্য রোযা না রাখা, বা রেখে থাকলে ভেঙ্গে ফেলা জায়েয। আমির এক্ষেত্রে যোদ্ধাদের রোযা না রাখার আদেশও করতে পারবেন এবং আদেশ করলে তাদের জন্য তা মান্য করা জরুরি। পরবর্তীতে আক্রমণের পরিকল্পনা বাতিল হলে বা অন্য কোন কারণে যুদ্ধ সংঘটিত না হলে শুধু কাযা করলেই চলবে, কাফফারা দিতে হবে না। আবু সাইদ খুদরি রাযিআল্লাহু আনহু বলেন,

سافرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى مكة ونحن صيام، قال: فنزلنا منزلا، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إنكم قد دنوتم من عدوكم، والفطر أقوى لكم. قال: فكانت رخصة، فمِنَّا من صام، ومِنَّا من أفطر. ثم نزلنا منزلا آخر، فقال: إنكم مُصبِّحوا عدوِّكم، والفطر أقوى لكم، فأفطروا. فكانت عزيمة، فأفطرنا. صحيح مسلم (1020)

“আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রোযা অবস্থায় মক্কা অভিযানে বের হলাম। পথিমধ্যে এক জায়গায় যাত্রাবিরতি করলে রাসূল সাল্লাল্লাম আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা শত্রুর নিকটবর্তী হয়ে গেছ। রোযা ভেঙ্গে ফেলা তোমাদের অধিক শক্তির কারণ হবে। আবু সাইদ খুদরি রা. বলেন, এটা ছিল রুখসত বা অনুমতি। তাই আমাদের কেউ রোযা রাখল, কেউ ভেঙ্গে ফেলল।

এরপর আমরা আরেকটি স্থানে যাত্রাবিরতি করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা সকাল বেলা শত্রুর মুখোমুখি হবে। রোযা না রাখাই তোমাদের জন্য অধিক শক্তির কারণ। সুতরাং তোমরা রোযা ভেঙ্গে ফেলো। আবু সাঈদ খুদরি রা. বলেন, এটা ছিল নির্দেশ। তাই আমরা সবাই রোযা ভেঙ্গে ফেললাম।” -সহিহ মুসলিম, হাদিস ১০২০

জাবের রাযি. হতে বর্ণিত,

أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج عام الفتح إلى مكة في رمضان فصام حتى بلغ كراع الغميم، فصام الناس، ثم دعا بقدح من ماء فرفعه، حتى نظر الناس إليه، ثم شرب، فقيل له بعد ذلك: إن بعض الناس قد صام، فقال: «أولئك العصاة، أولئك العصاة» أخرجه مسلم (1114) وأخرج البخاري مثله عن ابن عباس (4277)

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছর রমযান মাসে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হন। তিনি ‘কুরাউল গামিম’ নামক স্থানে পৌঁছা পর্যন্ত রোযা রাখলেন। লোকেরাও রোযা রাখল। তখন তিনি এক পেয়ালা পানি আনতে বলেন। পানি আনা হলে তিনি তা মুখ পর্যন্ত তুলে ধরে রাখলেন, যতক্ষণ না সবাই তাঁর দিকে তাকায়।

এরপর তিনি পানি পান করলেন। পরবর্তীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সংবাদ পৌঁছে যে, কিছু লোক রোযা রেখেছে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারাই অবাধ্য, তারাই অবাধ্য।” -সহিহ মুসলিম, ১১১৪ সহিহ বুখারীতে (৪২৭৭) ইবনে আব্বাস রাযি. হতেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে।

ইমাম ইবনে কাসীর রহ ১৩ হিজরীর ঘটনাবলী আলোচনা করতে গিয়ে লিখেন,

ثم أرسل المثنى إلى من بالعراق من أمراء المسلمين يستمدهم، فبعثوا إليه بالأمداد، وبعث إليه عمر بن الخطاب بمدد كثير فيهم جرير بن عبد الله البجلي، في قومه بجيلة بكمالها، وغيره من سادات المسلمين حتى كثر جيشه.

وقعة البويت … :

فلما سمع بذلك أمراء الفرس، وبكثرة جيوش المثنى، بعثوا إليه جيشا آخر مع رجل يقال له مهران فتوافوا هم وإياهم بمكان يقال له «البويت» قريب من مكان الكوفة اليوم وبينهما الفرات.

فقالوا: إما أن تعبروا إلينا، أو نعبر إليكم. فقال المسلمون: بل اعبروا إلينا. فعبرت الفرس إليهم فتواقفوا، وذلك في شهر رمضان. فعزم المثنى على المسلمين في الفطر فأفطروا عن آخرهم ليكون أقوى لهم. -البداية والنهاية عند ذكر وقائع سنة ثلاث عشرة من الهجرة (7/29 ط. دار الفكر)

“অতপর মুসান্না বিন হারেসা ইরাকে অবস্থানরত মুসলিম সেনাপতিদের নিকট সাহায্য চেয়ে পাঠান। তাঁরা সাহায্য প্রেরণ করেন। উমর রাযি.ও তাঁকে সাহায্য করার জন্য অনেক সৈন্য প্রেরণ করেন, যাদের মাঝে জারীর বিন আব্দুল্লাহ রাযি. তাঁর পুরো গোত্রসহ ছিলেন এবং অন্যান্য নেতৃস্থানীয় মুসলিমগণ ছিলেন।…

যখন পারস্যের সেনাপতিরা মুসান্নার বাহিনীর সংখ্যাধিক্যের কথা শুনতে পেল, তখন তারা মেহরানের নেতৃত্বে আরেকটি বাহিনী প্রেরণ করলো। অতপর উভয় বাহিনী ‘বূয়াইত’ নামক স্থানে মুখোমুখি হল। তাদের মাঝে ছিল ফোরাত নদী। পারসিকরা বললো, তোমরা নদী পার হয়ে আমাদের নিকট আসবে, না আমরা নদী পার হয়ে তোমাদের নিকট যাবো? মুসলমানরা বললো, তোমরাই আসো।

পারস্যের বাহিনী নদী পার হয়ে মুসলিমদের নিকট আসলো। তখন ছিল রমযান মাস। মুসান্না বিন হারেসা মুসলিম বাহিনীকে রোযা ভেঙ্গে ফেলার আদেশ দেন। তখন তারা সবাই রোযা ভেঙ্গে ফেলেন। যেন তা জিহাদে তাদের জন্য শক্তিবৃদ্ধির কারণ হয়।” -আলবিদায়া ওয়াননিহায়া, ৭/২৯

৭০২ হিজরীতে তাতারীরা শাম আক্রমণ করলে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. মিসরের বাদশাহর সহযোগিতায় তাদের পরাজিত করেন। এ ঘটনা আলোচনার ধারাবাহিকতায় ইমাম ইবনে কাসীর রহ. বলেন,

وفي يوم الاثنين رابع الشهر رجع الناس من الكسوة إلى دمشق فبشروا الناس بالنصر. وفيه دخل الشيخ تقي الدين بن تيمية البلد ومعه أصحابه من الجهاد، ففرح الناس به ودعوا له وهنئوه بما يسر الله على يديه من الخير، وذلك أنه ندبه العسكر الشامي أن يسير إلى السلطان يستحثه على السير إلى دمشق فسار إليه فحثه على المجيء إلى دمشق بعد أن كاد يرجع إلى مصر، فجاء هو وإياه جميعا فسأله السلطان أن يقف معه في معركة القتال، فقال له الشيخ: السنة أن يقف الرجل تحت راية قومه،

ونحن من جيش الشام لا نقف إلا معهم، وحرض السلطان على القتال وبشره بالنصر وجعل يحلف بالله الذي لا إله إلا هو إنكم منصورون عليهم في هذه المرة، فيقول له الأمراء: قل إن شاء الله، فيقول إن شاء الله تحقيقا لا تعليقا. وأفتى الناسَ بالفطر مدة قتالهم وأفطر هو أيضا، وكان يدور على الأجناد والأمراء فيأكل من شيء معه في يده ليعلمهم أن إفطارهم ليتقووا على القتال أفضل فيأكل الناس، وكان يتأول في الشاميين قوله صلى الله عليه وسلم «إنكم ملاقوا العدو غدا، والفطر أقوى لكم» فعزم عليهم في الفطر عام الفتح كما في حديث أبي سعيد الخدري. وقال الإمام ابن كثير عند ذكر وقائع سنة اثنتين وسبعمائة من الهجرة (14/21 ط. دار الفكر)

“মাসের চতুর্থ তারিখ সোমবার দিন মানুষ কুসওয়াহ থেকে দিমাশকে ফিরে আসে। তারা জনগণকে বিজয়ের সুসংবাদ দেয়। এদিনই শায়েখ তকিউদ্দীন ইবনে তাইমিয়াহ তার মুজাহিদ সাথীদের নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন। মানুষ তাঁকে পেয়ে আনন্দিত হয়, তাঁর জন্য দোয়া করে, তার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা যে কল্যাণ সাধন করেছেন সেজন্য তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়।

কেননা তিনিই শামের বাহিনীকে মিসরের সুলতানের নিকট গিয়ে তাকে দিমাশকে আগমনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে বলেন। বাদশাহ দিমাশকের দিকে রওয়ানা করেন। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি মিসরে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করেন। তখন ইবনে তাইমিয়াহ তাকে দিমাশকে যাওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন। বাদশাহ ও ইবনে তাইমিয়াহ দিমাশক আগমন করেন। বাদশাহ ইবনে তাইমিয়াহর নিকট আবেদন করেন, যুদ্ধের ময়দানে তার নিকট অবস্থান করার জন্য।

কিন্তু ইবনে তাইমিয়াহ বলেন, সুন্নাহ হলো, প্রত্যেক ব্যক্তি তার গোত্রের পতাকাতলে অবস্থান করা, আমরা যেহেতু শামের বাহিনী তাই আমরা তাদের সাথেই অবস্থান করব। তিনি বাদশাহকে যুদ্ধের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন, তাকে বিজয়ের সুসংবাদ দেন। মহান আল্লাহর নামে শপথ করে বলেন, আপনারা এবার অবশ্যই বিজয়ী হবেন। …. তিনি লোকদের যুদ্ধ চলাকালীন দিনগুলোতে রোযা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন এবং নিজেও রোযা ভেঙ্গে ফেলেন।

হাতে খাবার নিয়ে তিনি আমিরগণের সামনে দিয়ে যাতায়াত করতেন এবং তাদেরকে দেখিয়ে দেখিয়ে খেতেন। যেন মানুষ বুঝতে পারে, যুদ্ধে শক্তি অর্জনের জন্য রোযা ভেঙ্গে ফেলাই উত্তম। ইবনে তাইমিয়াহ রহ এক্ষেত্রে আবু সাইদ খুদরী রাযি. হতে বর্ণিত হাদিসের উপর আমল করেন, ‘তোমরা আগামীকাল শত্রুর মুখোমুখি হবে, তাই রোযা না রাখাই তোমাদের জন্য অধিক শক্তির কারণ হবে।’ মক্কা বিজয়ের বছর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা এ কথার মাধ্যমে সাহাবীদের রোযা ভেঙ্গে ফেলার আদেশ দেন।” আলবিদায়া ওয়াননিহায়া, ১৪/২১

ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ (৭৫১ হি.) বলেন,

أجاز شيخنا ابن تيمية الفطر للتقوي على الجهاد وفعله وأفتى به لما نازل العدو دمشق في رمضان فأنكر عليه بعض المتفقهين وقال: “ليس سفرا طويلا” فقال الشيخ: “هذا فطر للتقوي على جهاد العدو وهو أولى من الفطر للسفر يومين سفرا مباحا أو معصية والمسلمون إذا قاتلوا عدوهم وهم صيام لم يمكنهم النكاية فيهم وربما أضعفهم الصوم عن القتال فاستباح العدو بيضة الإسلام وهل يشك فقيه أن الفطر ههنا أولى من فطر المسافر وقد أمرهم النبي صلى الله عليه وسلم في غزوة الفتح بالإفطار ليتقووا على عدوهم” فعلل ذلك للقوة على العدو لا للسفر والله أعلم. بدائع الفوائد (4/ 45 دار الكتاب العربي، بيروت، لبنان

“রমযান মাসে শত্রু দিমাশক আক্রমণ করলে আমাদের শায়েখ ইবনে তাইমিয়াহ রহ. জিহাদে শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে রোযা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি দেন এবং তিনি নিজেও তা করেন। তখন ফিকহের শিক্ষানবিশদের কেউ কেউ আপত্তি করেন, দীর্ঘ সফর ব্যতীত রোযা ভাঙ্গা তো জায়েয নেই? তিনি উত্তর দেন, আমি রোযা ভাঙ্গতে বলেছি যুদ্ধের জন্য শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে।

যদি মুবাহ বা গুনাহের সফরের কারণে রোযা ভাঙ্গা জায়েয হয়, তাহলে জিহাদের জন্য তা আরো আগেই জায়েয হবে। মুসলমানরা রোযা রেখে যুদ্ধ করলে শত্রুকে পরাস্ত করতে পারবে না; বরং রোযার কারণে হয়তো তারা নিজেরাই যুদ্ধ করতে অক্ষম হয়ে পড়বে। তখন শত্রুরা তাদের সমূলে ধ্বংস করবে। এক্ষেত্রে রোযা ভাঙ্গা যে মুসাফিরের রোযা ভাঙ্গার চেয়েও অগ্রগণ্য, তাতে কোনো ফকিহের সংশয় থাকতে পারে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় রোযা না রাখার আদেশ দিয়েছেন, যেন তারা শত্রুর বিপক্ষে শক্তি অর্জন করতে পারে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা না রাখার কারণ হিসেবে বলেছেন, শত্রুর বিরুদ্ধে শক্তি অর্জন করা, সফর নয়।” -বাদায়েউল ফাওয়ায়েদ ৪/৪৫

ইমাম ইবনুল হুমাম রহ. (৮৬১ হি.) বলেন,

وقالوا: الغازي إذا كان يعلم يقينا أنه يقاتل العدو في شهر رمضان ويخاف الضعف إن لم يفطر، يفطر قبل الحرب مسافرا كان أو مقيما. فتح القدير: (2/350 ط. دار الفكر)

“মুজাহিদ যদি নিশ্চিত হয়, রমজান মাসে শত্রুর সঙ্গে কিতাল করতে হবে এবং রোযা না ভাঙ্গলে দুর্বলতার আশঙ্কা করে, তাহলে যুদ্ধের পূর্বেই রোযা ভেঙ্গে ফেলবে; চাই সে মুসাফির হোক বা মুকিম। -ফাতহুল কাদীর: ২/৩৫০

ইমাম আবুল হাসান শুরুম্বুলালী রহ. (মৃ: ১০৬৯ হি.)‘মারাকিল ফালাহ’ কিতাবে বলেন,

والغازي إذا كان يعلم يقينا أو بغلبة الظن القتال …، ويخاف الضعف عن القتال، وليس مسافرا، له الفطر قبل الحرب. (مراقي الفلاح: 258 ط. المكتبة العصرية الطبعة: الأولى، 1425 ه)

“মুজাহিদ যখন যুদ্ধ সংঘটিত হবার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় কিংবা প্রবল ধারণা করে … এবং রোযা রাখলে যুদ্ধ করতে অক্ষম হয়ে যাওয়ার আশংকা করে, তখন তার জন্য রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েয, যদিও সে মুসাফির না হয়।” -মারাকিল ফালাহ, পৃ: ২৫৮

ফাতাওয়া হিন্দিয়ায় এসেছে,

الغازي إذا علم أنه يقاتل العدو في رمضان، وهو يخاف الضعف فله أن يفطر. كذا في محيط السرخسي. فإن لم يتفق القتال فلا كفارة عليه. اهـ (الفتاوى الهندية 1/208 دار الفكر، الطبعة: الثانية، 1310 هـ) :

“মুজাহিদ যদি জানতে পারে, সে শত্রুর সাথে রমযান মাসে যুদ্ধ করবে এবং তার আশংকা হয় যে, রোযা রাখলে সে দুর্বল হয়ে পড়বে, তবে তার জন্য রোযা ভেঙ্গে ফেলার অবকাশ রয়েছে। মুহিতে সারাখসীতে এমনটাই বলা হয়েছে। পরবর্তীতে যদি যুদ্ধ না হয় তবুও তাকে কাফফারা দিতে হবে না।” -ফাতাওয়া হিন্দিয়া, ১/২০৮

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (আফাল্লাহু আনহু)

২৬-০৭-১৪৪৩ হি.

২৮-০২-২০২২ ইং

আরও পড়ুনঃ রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়?

Related Articles

Back to top button