হালাল-হারাম:ফাতওয়া  নং  ২০১

অনুমতি ছাড়া অন্যের ওয়াইফাই ব্যবহারের হুকুম কী?

অনুমতি ছাড়া অন্যের ওয়াইফাই ব্যবহারের হুকুম কী?

অনুমতি ছাড়া অন্যের ওয়াইফাই ব্যবহারের হুকুম কী?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্নঃ
অনুমতি ছাড়া অন্যের ওয়াইফাই ব্যবহারের হুকুম কী? এতে কি হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক নষ্ট হবে? হলে করণীয় কী?

প্রশ্নকারী-সাঈদ

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد:

অনুমতি ছাড়া অন্যের ওয়াইফাই ব্যবহার করা জায়েয নেই। এতে হক্কুল ইবাদ নষ্ট করার গুনাহ হবে।
হাদিসে এসেছে,

لا يحل مال امرئ مسلم إلا بطيب نفسه.( اخرجه الدارقطني: 2885 وصححه الالباني رحمه الله في صحيح الجامع الصغير وزياداته: الرقم: 7662)

“কোনো মুসলিমের সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল নয়।” –সুনানে দারাকুতনি: ২৮৮৫

অনুমতি ছাড়া অন্যের ওয়াইফাই ব্যবহার করে ফেললে, করণীয় হলো, যতটুকু ব্যবহার করা হয়েছে, তার আনুমানিক মূল্য মালিকের কাছে পৌঁছে দেয়া।
হাদিসে এসেছে,

من كانت له مظلمة لأخيه من عرضه أو شيء، فليتحلله منه اليوم، قبل أن لا يكون دينار ولا درهم، إن كان له عمل صالح أخذ منه بقدر مظلمته، وإن لم تكن له حسنات أخذ من سيئات صاحبه فحمل عليه. (صحيح البخاري: 2449)

“যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে দায়মুক্ত হয়ে নেয়, সেদিন আসার পূর্বে, যেদিন তার কোন দিনার বা দিরহাম থাকবে না। তার কোন সৎকর্ম থাকলে জুলুমের সমপরিমাণ সেখান থেকে নিযে নেয়া হবে। কোন সৎকর্ম না থাকলে প্রতিপক্ষের সমপরিমাণ পাপ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।” -সহীহ বুখারী: ২৪৪৯

অবশ্য তা যেকোনো ভাবে পৌঁছে দিলেই হবে, একথা বলা জরুরি নয় যে, আপনার হক নষ্ট করেছি। তাছাড়া তা যদি এত সামান্য হয়, যা মালিক জানলেও নিবে না, তাহলে না দিলেও চলবে। তথাপিও সতর্কতামূলক তার নামে সাদকা করে দিতে পারেন।
আরও জানার জন্য দেখুন: “বান্দার হক ফিরিয়ে না দিয়ে দান করে দিলে কি দায়মুক্ত হওয়া যাবে?” শিরোনামের ফতোয়াটি।

والله تعالى أعلم

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৮-০৩-১৪৪৩ হি.
১৬-১০-২০২১ ঈ.

Related Articles

Back to top button