যাকাত-ফিতরা:ফাতওয়া  নং  ১১৯

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাতের হিসাব কীভাবে করবে?

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাতের হিসাব কীভাবে করবে?

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাতের হিসাব কীভাবে করবে?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

আমি আমার আম্মুর নামে ইসলামি ব্যাংকে এক লাখ টাকা তিন বছরের জন্য মুদারাবা ডিপোজিট করে দিয়েছি। এখন জানতে চাচ্ছি, এই টাকার ওপর কি যাকাত আসবে? আসলে কত আসবে?

উল্লেখ্য, আম্মু এখন অনেক ঋণগ্রস্ত। সংসার আম্মুই চালান। বাসা ভাড়া এবং দোকানেও অনেক বাকি হয়ে গেছে। এ অবস্থায় যাকাত কীভাবে দিতে হবে? জানালে উপকৃত হবো।

প্রশ্নকারী -মাহমুদুল হাসান

 

উত্তর:

উক্ত এক লাখ টাকা বাদে আপনার আম্মার যদি আরও কোনো টাকা থাকে বা যাকাতযোগ্য অন্য কোনো সম্পদ থাকে (যেমন স্বর্ণ-রূপার অলংকার বা ব্যবসার সম্পদ), সেগুলোও একসঙ্গে হিসাব করতে হবে। সবগুলোর সমষ্টি থেকে ঋণ বাদ দেয়ার পর যদি নেসাব তথা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্য পরিমাণ বা আরও বেশি অবশিষ্ট থাকে, তাহলে প্রতি যাকাতবর্ষের জন্য উক্ত সম্পদের শতকরা আড়াই ভাগ করে যাকাত দিতে হবে। আর ঋণ বাদ দেয়ার পর, সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্য পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট না থাকলে, যাকাত দিতে হবে না।

আপনার আম্মা প্রথম যেদিন যাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, চান্দ্রবর্ষ হিসেবে সেদিন থেকে যেদিন এক বছর পূর্ণ হবে, সেটিই তাঁর যাকাতবর্ষ। যেমন ধরুন, ১৪৪১ হি. ১২ ই রমজান তিনি নেসাবের মালিক হলেন, তাহলে পরের বছর ১৪৪২ হি. ১১ ই রমজান তাঁর যাকাতবর্ষ।

উল্লেখ্য, ইসলামি ব্যাংকগুলোর যথাযথভাবে শরিয়া পালনের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। তাই আপনার উচিৎ, তাদের সঙ্গে ডিপোজিটের চুক্তি বাতিল করে যথাসম্ভব দ্রুত টাকাগুলো ফিরিয়ে আনা। আর যতদিন তা সম্ভব হবে না, ততদিনের প্রাপ্ত মুনাফা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দেয়া। -আলমাবসূত লিসসারাখসি: ২/২০৪, রদ্দুল মুহতার: ২/২৬৮, ফাতাওয়া বিন্নুরি টাউন: ১৪৪১০৬২০০৯৭১, ১৪৪১০৭২০০৬৩৬

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

 

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০৩-১৪৪২ হি.

০৫-১১-২০২০ ঈ.

আরো পড়ূন
পাওনা টাকার যাকাত কখন দিতে হবে?

Related Articles

Back to top button