সালাতফাতওয়া  নং  ১৯৯

মুসলিম বন্দীরা কীভাবে নামায আদায় করবেন?

মুসলিম বন্দীরা কীভাবে নামায আদায় করবেন?

মুসলিম বন্দীরা কীভাবে নামায আদায় করবেন?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

শত্রুরা কখনো মুসলিম বন্দীদেরকে ওযু ও তায়াম্মুম কোনোটাই করতে দেয় না। কখনো তাদেরকে একদম বিবস্ত্র করে রাখে। এমতাবস্থায় তাঁরা কীভাবে নামায আদায় করবেন? বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রইল।

 

উত্তর: 

بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبي بعده. اما بعد:

ওযু করা সম্ভব না হলে তায়াম্মুম করে নামায পড়ে নেবে। ওযু-তায়াম্মুম কোনোটাই সম্ভব না হলে নামাযীদের মতো কিয়াম, রুকু ও সাজদা করে নামাযীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে; নামাযের নিয়ত করবে না; তাকবির, তাসবিহ, কিরাত কিছুই বলবে না। উভয় সূরতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার পর উক্ত নামায কাযা করে নিবে।

বিবস্ত্র রাখা হলে চেষ্টা করবে সতর (তথা নাভির নিচ থেকে হাটু পর্যন্ত) ঢাকার মতো কোনো কাপড়, কাগজ, প্লাস্টিক বা অন্য কোনো পবিত্র জিনিষ পাওয়া যায় কি না। পাওয়া গেলে তা দ্বারা সতর ঢেকে কিয়াম, রুকু ও সাজদাসহ স্বাভাবিকভাবে নামায পড়বে। পরে কাযা করতে হবে না।

সতর ঢাকা পরিমাণ কিছু না পেলে অন্তত লজ্জাস্থান ঢাকা যায় পরিমাণ কিছু পাওয়া যায় কি না চেষ্টা করবে। পেলে বা না পেলে উভয় অবস্থাতেই বসে ইশারায় রুকু-সাজদা করে নামায পড়ে নেবে। ইশারার পরিবর্তে সরাসরি রুকু-সাজদা করে পড়লেও নামায হবে, তবে উত্তম হল ইশারায় পড়া। কেননা, এতে সতর কম প্রকাশ পাবে। ইশারায় পড়ুক বা রুকু-সাজদাসহ পড়ুক, স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পর সতর্কতামূলক উক্ত নামাযগুলো কাযা করে নিবে।

উল্লেখ্য, বিবস্ত্র অবস্থায় বন্দীরা একাকী নামায পড়বেন, জামাত করবেন না।

আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, তায়াম্মুমের এমন কিছু ক্ষেত্র আছে, যেখানে তায়াম্মুমের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকে মনে করেন, তায়াম্মুমের সুযোগ নেই। যেমন, পুরোনো দেয়ালে যে ধূলোবালি জমে থাকে, নোংরা তোষক, সোফা ইত্যাদিতে সজোরে হাত মারলে হাতে যে ধূলোবালি লাগে, তা দিয়েও তায়াম্মুম করা যায়।

فقط، والله سبحانه وتعالى أعلم

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৪-০২-১৪৪৩ হি.

২২-০৯-২০২১ ইং

আরও পড়ুনঃ নারীদের জামাআত ও ইমামতির বিধান কী?

Related Articles

Back to top button