হালাল-হারাম:ফাতওয়া  নং  ৫১৮

কৃত্রিম প্রজনন ও তা থেকে উপার্জিত অর্থের বিধান

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন: কৃত্রিম প্রজনন করার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ কি হালাল? দলীলসহ জানালে উপকৃত হবো।

-আবদুল মালেক

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم

وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين، أما بعد!

কৃত্রিম প্রজনন একটি ব্যাপক শব্দ যা উদ্ভিদ, চতুষ্পদ জন্তু ও মানুষ সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কৃত্রিম প্রজনন বলতে আমাদের দেশে স্বাভাবিকভাবে গরু ছাগলের মতো হালাল জন্তুর প্রজননকে বুঝানো হয়। আমরা এ আলোকেই উত্তর দিচ্ছি।

কৃত্রিম প্রজননের প্রচলিত পদ্ধতি এমন হয়ে থাকে: আধুনিক পদ্ধতিতে নর পশুর বীর্য গ্রহণ করে বিভিন্ন ধাপে প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে উপযুক্ত সময়ে তা মাদী পশুর জরায়ুতে স্থাপন করা হয়।

বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্থাপনের উক্ত পদ্ধতিটি যদিও পছন্দনীয় নয়, তথাপি উক্ত প্রক্রিয়ায় প্রজনন করার বিষয়ে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা নেই। এমনিভাবে এ কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেয়া এবং নর পশুর সংরক্ষিত বীজ ক্রয়-বিক্রয় করাকেও সমকালীন নির্ভরযোগ্য অনেক আলেম জায়েয বলেছেন। তাদের মতে হাদীসে পাল দিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণের যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কৃত্রিম প্রজননের প্রক্রিয়াটি সে নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়। আমাদের দৃষ্টিতে এ মতটিই শক্তিশালী ও অগ্রগণ্য। -তিজারাত কে মাসায়েল কা ইনসাইক্লোপিডিয়া, মুফতী ইনআমুল হক কাসেমি: ২/৪২২-৪২৪

তবে কোনো কোনো আলেম বীজ ক্রয়-বিক্রয় নাজায়েয বলেছেন এবং প্রজনন প্রক্রিয়ার পারিশ্রমিক গ্রহণ বৈধ হওয়ার ব্যাপারে সংশয় ব্যক্ত করেছেন। -ফাতাওয়া কাসিমিয়া: ২৪/৪৩৮

সুতরাং সবচেয়ে ভালো হয় যদি সংশয়যুক্ত পেশা গ্রহণ না করে আপনি অন্য কোনো সংশয়মুক্ত হালাল ও সম্মানজনক পেশা গ্রহণ করেন।

তাছাড়া কৃত্রিম প্রজনন একটি অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নর পশুর মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রজনন করানোই কাম্য। তার সুযোগ না থাকলে বা কষ্টকর হলে তখন কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত।

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২৩-০৫-১৪৪৬ হি.

২৬-১১-২০২৪ ঈ.

আরো পড়ুন লিংক:

প্রচলিত জমি বন্ধকের পদ্ধতি বৈধ হওয়ার কি কোন উপায় আছে?

Related Articles

Back to top button