হালাল-হারাম:

নিরপরাধ কোনো মুসলিমকে মুক্ত করার জন্য তাগুতের কোর্টে কেইস লড়ার হুকুম কী?

নিরপরাধ কোনো মুসলিমকে মুক্ত করার জন্য তাগুতের কোর্টে কেইস লড়ার হুকুম কী?

নিরপরাধ কোনো মুসলিমকে মুক্ত করার জন্য তাগুতের কোর্টে কেইস লড়ার হুকুম কী?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

নিরপরাধ কোনো মুসলিমকে মুক্ত করার জন্য তাগুতের কোর্টে কেইস লড়ার হুকুম কী এবং তাকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য প্রয়োজনে মিথ্য বলার অবকাশ আছে কি না? জানালে উপকৃত হবো।

প্রশ্নকারী

মুহাম্মাদ হাসান

 

উত্তর:

তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া কুফর, তবে তা নিঃশর্ত নয়; বরং শর্তসাপেক্ষে কুফর। যখন শরীয়াহ বিচার ব্যবস্থা না থাকে, তখন যদি কেউ অনন্যোপায় হয়ে তার ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য তাগুতি বিচার ব্যবস্থার শরণাপন্ন হয় এবং শরীয়াহ বিচারই যে উত্তম, তার উপর তার পূর্ণ বিশ্বাস থাকে, তাহলে তা কুফর নয়। ফুকাহায়ে কেরাম এটিকে জায়েয বলেছেন।

সুতরাং বন্দী মুজাহিদদের মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনে তাগুতি আদালতে কেইস লড়া নাজায়েয নয়। -দেখুন মাফহুমুল হাকিমিয়্যাহ, আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. ১২-১৩; মুনতাদাল আসইলাহ, প্রশ্ন নং ৫৭৭, আবু মুহাম্মাদ আলমাকদিসি

 

কারো প্রতি যদি অন্যায় করা হয়, কিন্তু শরীয়াহ’র আলোকে তিনি নির্দোষ হন এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য মিথ্য বলা জরুরি হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে প্রথমে ‘তাওরিয়া’ করে তথা রূপক অর্থে কথা বলে উদ্দেশ্য সাধনের চেষ্টা করবেন। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে প্রয়োজন পরিমাণ মিথ্যাও বলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

স্বাভাবিক অবস্থায় মিথ্যা বলা যদিও নিষেধ, কিন্তু হারবি কাফেরদের সাথে এমন পরিস্থিতিতে তাদের জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যা বলা নিষেধ নয়। তবে লক্ষ রাখতে হবে, আমার মিথ্যা বলার কারণে অন্য কোনো মুসলিম ভাই যেন ফেঁসে না যান বা ক্ষতির শিকার না হন। -দেখুন সুনানে তিরমিযি: ১৯৩৯, রদ্দুল মুহতার: ৬/৪২৭-৪২৮, মুনতাদাল আসইলাহ, মিম্বারুত তাওহিদ, প্রশ্ন নং ১৩২

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

০২-০২-১৪৪৩ হি.

১০-০৯-২০২১ ইং

আরও পড়ুনঃ

তাগুতি আইনে জামিনের আবেদন করার হুকুম কী?

বর্তমান তাগুতি আদালতে বিচার চাওয়া যাবে কি?

নিরপরাধ কোনো মুসলিমকে মুক্ত করার জন্য তাগুতের কোর্টে কেইস লড়ার হুকুম কী?

Related Articles

Back to top button