সালাতফাতওয়া  নং  ৪৫১

আউয়াবীনের নামায বলতে কোন নামায উদ্দেশ্য?

আউয়াবীনের নামায বলতে কোন নামায উদ্দেশ্য?

আউয়াবীনের নামায বলতে কোন নামায উদ্দেশ্য?

আউয়াবীনের নামায বলতে কোন নামায উদ্দেশ্য?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

আউয়াবীনের নামায বলতে কোন নামাযকে বোঝানো হয়? ইশরাক কিংবা চাশতের নামায? নাকি মাগরিবের পরে ছয় রাকাত নামায?  বিস্তারিত জানালে অনেক উপকৃত হতাম।

-আইমান সাদিক

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى، أما بعد:

আরবী শব্দ ‘আউয়াব’ এর বহুবচন ‘আউয়াবীন’। আউয়াব অর্থ আল্লাহর দিকে অধিক প্রত্যাবর্তনকারী। সালাতুল আউয়াবীন অর্থ, আল্লাহর দিকে অধিক প্রত্যাবর্তনকারীদের নামায।

সহীহ মুসলিমের একটি হাদীসে চাশতের নামাযকে আউয়াবীনের নামায বলা হয়েছে,

أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ رَأَى قَوْمًا يُصَلُّونَ مِنَ الضُّحَى فَقَالَ أَمَا لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ الصَّلاَةَ فِى غَيْرِ هَذِهِ السَّاعَةِ أَفْضَلُ. إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « صَلاَةُ الأَوَّابِينَ حِينَ تَرْمَضُ الْفِصَالُ ». –صحيح مسلم: 1746

“যায়েদ ইবনে আরকাম রাযিয়াল্লাহু আনহু একবার কিছু লোককে সূর্য কিছুটা উপরে উঠার পরপরই নামায পড়তে দেখে বললেন, এরা তো জানে যে, এই সময়ের তুলনায় অন্য সময়ে নামায পড়া উত্তম। রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আউয়াবীনের নামাযের সময় হলো, যখন রোদের প্রচণ্ড উত্তাপের কারণে উট শাবকের পা পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।” -সহীহ মুসলিম:  ১৭৪৬

অপর একটি মুরসাল হাদীসে মাগরিব ও এশার মাঝের নফল নামাযকেও আউয়াবীনের নামায বলা হয়েছে,

محمد بن المنكدر، يحدث أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: من صلى ما بين المغرب إلى صلاة العشاء، فإنها صلاة الأوابين. -كتاب الزهدلابن المبارك: 1259 ط. دار الكتب العلمية.

وقال العلامة ظفر أحمد العثماني رحمه الله تعالى: وكذا مراسيل محمد بن المنكدر صحاح أيضا، قال الحافظ في «تهذيب التهذيب»: (قال ابن عيينة: «ما رأيت أحدا أجدر أن يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم، ولا يُسأل: عمن هو؟، من ابن المنكدر»، يعني لتحريه. اهــــ. –قواعد في علوم الحديث: 154 ط. دار السلام.

وقال الإمام الذهبي رحمه الله تعالى:  وروى: ابن راهويه، عن سفيان، قال: كان  (محمد بن المنكدر) من معادن الصدق، ويجتمع إليه الصالحون، ولم يدرك أحدا أجدر أن يقبل الناس منه إذا قال: قال رسول الله، منه. اهــــ -سير أعلام النبلاء: 5/ 354 ط. مؤسسة الرسالة.

“মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির বর্ণনা করেন, নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নামায পড়লে, তা আউয়াবীনের নামায বলে গণ্য হবে।” –আযযুহদ, ইবনুল মুবারক : ১২৫৯

উল্লেখ্য, মুহাম্মাদ ইবনে মুনকাদির রহিমাহুল্লাহর ‘মুরসাল’ হাদীস গ্রহণযোগ্য ও সহীহ হিসেবে স্বীকৃত। সুতরাং এই হাদীসের ভাষ্যমতে মাগরিবের পরের নফল নামাযও আউয়াবীনের নামায। তাছাড়া হাদীসের ব্যাখ্যাকার এবং ফুকাহায়ে কেরামও এ নামাযকে আউয়াবীনের নামায বলে অভিহিত করেছেন। দেখুন: মিরকাতুল মাফাতিহ: ৩/২৩২, নাইলুল আওতার: ৩/৬৭, মাআরেফুস সুনান: ৪/১১৩-১১৪, মাবসুতে সারাখসী: ১/১৫৭, বাদায়েউস সানায়ে: ১/২৮৫

فقط والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২৬-০৮-১৪৪৫ হি.

০৮-০৩-২০২৪ ঈ.

আরও পড়ুনঃ মাযূর ব্যক্তি কীভাবে নামায আদায় করবে?

Related Articles

Back to top button