প্রশ্ন: আমি যখন ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করি, তখন আমার দাদা ও মৃত দাদির আইডি কার্ড দিয়ে আমার নাম্বারে বয়স্ক ভাতা চালু করে নিই। দাদা অনুমতি দিয়েছেন, সেই হিসেবে আশা করি, তার টাকা আমার জন্য বৈধ হবে। কিন্তু মৃত দাদির আইডি কার্ড দিয়ে যে বয়স্ক ভাতা চালু করেছিলাম, তা কি বৈধ হয়েছে? যদি না হয় তাহলে এখন কি করতে পারি? বন্ধ করতে চাইলেও কিছু ঝামেলা আছে। এখন জানার বিষয় হলো, এভাবে বয়স্ক ভাতা নেওয়াটা প্রতারণার মধ্যে শামিল হবে কি না? হলে তা থেকে দায় মুক্তির জন্য এখন করণীয় কী?
-কাসেম
উত্তর:
মৃত দাদির নামে এভাবে বয়স্ক ভাতার কার্ড করা সম্পূর্ণই মিথ্যা ও প্রতারণার শামিল। এজন্য আপনাকে তাওবা করতে হবে এবং কিছু ঝামেলা হলেও অবিলম্বে এই ভাতা বন্ধ করে দিতে হবে। এই সূত্রে এতদিন যত টাকা ভোগ করেছেন, সেগুলো সব সাদাকা করা জরুরি। হারাম থেকে দায় মুক্তির উদ্দেশে সমপরিমাণ অর্থ কোনো গরীব বা জনকল্যাণমূলক কাজে দান করে দিবেন। বেশি ভালো হবে যদি বয়স্ক কোনো গরীব ব্যক্তিকে দান করে দেন। -আহকামুল কুরআন (জাসসাস): ১/৩০৪; বাযলুল মাজহুদ: ১/৩৫৯; আল-মাউসুআতুল ফিকহিয়্যা: ৩৪/২৪৫
আর দাদা যদি বাস্তবেই আপনাকে স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা আপনার জন্য নাজায়েয হবে না। তবে তিনি বাস্তবেই স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি দিয়েছেন কি না, সেটা বুঝার জন্য আপনি টাকাটা তুলে তার হাতে দিয়ে দিবেন। এরপরও যদি তিনি আপনাকে দিয়ে দেন, তবেই বুঝা যাবে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন। অন্যথায় তার টাকা তাকে বুঝিয়ে দিবেন। -মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যা: মাদ্দাহ. ৯৬; আদ্দুররুল মুখতার: ৬/২০০; দুরারুল আহকাম শরহে মাজাল্লাতুল আহকাম: ১/৯৭; শরহুল মাজাল্লাহ (আতাসি): ১/২৫৩
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৭-০১-১৪৪৭ হি.
০৩-০৭-২০২৫ ঈ.