প্রশ্ন: দ্বীনের বুঝ আসার আগে স্বেচ্ছায় বা কোনো কারণবশত অনেকবার টিকেট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ করেছি। জানার বিষয় হলো, এতে কি কারো হক নষ্ট হয়েছে? হয়ে থাকলে এখন করণীয় কী? আরেকটি বিষয় হলো, কুফরী রাষ্ট্রের আনুগত্য করা কি জরুরি? যদি জরুরি না হয়, তাহলে এমন রাষ্ট্রের সম্পদ হেফাযত করা কি জরুরি?
– আহমাদ মুসা
উত্তর: যে পরিমাণ ভাড়া না দিয়ে ভ্রমণ করেছেন, অনুমান করে সে পরিমাণ অর্থ মুসলিমদের জনকল্যাণমূলক কাজে দান করে দিবেন।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: ফাতওয়া নং ৪১৪: জনকল্যাণমূলক কাজে হারাম অর্থ ব্যয়: একটি সংশয় নিরসন
এমন রাষ্ট্রের আনুগত্য জরুরি নয়, তবে রেল ভ্রমণ করে ভাড়া পরিশোধ করা তাগুতের আইন মানার বিষয় নয়; বরং এটি একটি ইজারা তথা অর্থের বিনিময়ে গাড়ির সেবা গ্রহণের চুক্তি। শরীয়ত সম্মত চুক্তি যার সঙ্গেই হোক তা পূরণ করা জরুরি। ভঙ্গ করা নাজায়েয। -সহীহ বুখারী: ৩/৯৪; ফাতহুল বারী: ৫/৩৪১; আদ্দুররুল মুখতার (রদ্দুল মুহতারসহ): ৪/১৬৭
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদের মালিক তো সর্বস্তরের মুসলিম নাগরিকগণ; ক্ষমতাসীনরা নয়। সুতরাং এই সম্পদ হেফাযত করা জরুরি।
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৭-০১-১৪৪৭ হি.
০৩-০৭-২০২৫ ঈ.