হজ করবো? না, জিহাদে খরচ করবো?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্নঃ
আমি একটি জিহাদী জামাতের সাথে যুক্ত আছি আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমার উপর যদি হজ ফরয হয়, তাহলে আমি কি আগে হজ করবো? না, সেই টাকা জিহাদের কাজে দান করে দেবো? এক ভাইকে বলতে শুনেছি, ‘দীন প্রতিষ্ঠা আগে, দীন প্রতিষ্ঠিত হলে পরে হজ করা যাবে। কথাটি কি সঠিক?
-আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ
উত্তরঃ
আপনার কাছে যদি নিত্য প্রয়োজনীয় সম্পদের অতিরিক্ত হজের যাতায়াত খরচ এবং সফরকালীন আপনার পরিবারের ভরণ পোষণ পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে আপনার উপর হজ ফরয এবং আপনাকে অবিলম্বে হজ আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে হজ না করে, হজের অর্থ জিহাদে কাজে দান করে দেওয়া যাবে না।
পক্ষান্তরে এই পরিমাণ সম্পদ জমা হওয়ার আগেই যদি আপনি তা জিহাদের পথে খরচ করে ফেলেন, তাহলে হজ ফরয হওয়ার মতো সম্পদ জমা না হওয়ায় আপনার উপর হজ ফরয হবে না।
ওই ভাই যে বলেছেন, ‘দীন প্রতিষ্ঠা আগে, দীন প্রতিষ্ঠিত হলে পরে হজ করা যাবে’ কথাটি এরকম ব্যাপক ও ঢালাওভাবে সঠিক নয়। হ্যাঁ, তিনি যদি বলতেন, শত্রু প্রতিরোধ আগে, শত্রু প্রতিরোধ করে মুসলিমদের দীন ও জান-মাল নিরাপদ হলে পরে হজ করা যাবে, তাহলে তা যথার্থ হতো। একথাটিও এমন বিশেষ ও জরুরি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যখন জিহাদের জন্য আপনার অর্থ খরচ না করলে মুসিলমদের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয় এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য উক্ত অর্থ খরচ করা জরুরি ও বিকল্পহীন হয়ে পড়ে। কারণ তখন কারও উপর হজ ফরয হয়ে থাকলেও হজ বিলম্বিত করে জিহাদে খরচ করতে হয়।
এছাড়া এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও কথাটি প্রযোজ্য হতে পারে, যার উপর হজ ফরয হয়নি, কিন্তু তিনি বর্তমান সময়ের মতো সমগ্র বিশ্বে কুফফার কর্তৃক আক্রান্ত উম্মাহর দুর্দিনে জিহাদে ব্যয় না করে হজের জন্য অর্থ সঞ্চয় করেন। তাকে যদি বলা হয়, আগে উম্মতকে উদ্ধার করার জন্য খরচ করুন, হজ পরেও করা যাবে, তাহলেও ঠিক আছে।
আরও দেখুন:
ফাতওয়া নং ২৭৭: হজের অর্থ জিহাদে খরচ করলে কি দায়মুক্ত হওয়া যাবে? https://tinyurl.com/4h44r6xs
ফাতওয়া নং ৩২৬: বন্দী ছেলেকে মুক্ত করা অগ্রগণ্য? না, ফরয হজ?
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৯-০৪-১৪৪৫ হি.
২৫-১০-২০২৩ ঈ.
