সেনানিবাসের ভেতরে নির্মিত মসজিদে নামাজ পড়ার হুকুম কী?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন:
সেনাবাহিনীর এলাকায় সেনাবাহিনী কর্তৃক স্থাপিত মসজিদসমূহ কি ‘মসজিদে যিরার’ এর অন্তর্ভুক্ত হবে? তাতে নামাজ আদায় করলে কি নামাজ হবে?
প্রশ্নকারী- মুহাম্মদ শারজিল আহমেদ আসকারি
উত্তর:
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله و الصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد:
সেনাবাহিনীর এলাকায় সেনাবাহিনী কর্তৃক স্থাপিত মসজিদ-এর দুটি অর্থ হতে পারে। এক. সেনানিবাসের ভেতরের মসজিদ। দুই. কোন সেনা সদস্যের অর্থায়নে নির্মিত মসজিদ। এ উভয় ধরনের মসজিদেই নামাজ আদায় করার দ্বারা নামাজ হয়ে যাবে। এগুলো ‘মসজিদে যিরারের’ অন্তর্ভুক্ত নয়। ‘মসজিদে যিরার’ হলো সে মসজিদ, যা নামাযের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয় না, বরং ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ ও কুফরের ঘাঁটি হিসেবে নির্মাণ করা হয়। তাই তা নামে মসজিদ হলেও বাস্তবে মসজিদ হয় না। কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক স্থাপিত মসজিদ নামাযের উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مَسْجِدًا ضِرَارًا وَكُفْرًا وَتَفْرِيقًا بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ وَإِرْصَادًا لِمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ. (سورة التوبة: 107)
“যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে, (ইসলাম ও মুসলিমদের) ক্ষতিসাধন করা, কুফর (তথা ইসলামের বিরুদ্ধে সলা-পরামর্শ) করা, মুমিনদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা এবং ওই ব্যক্তির আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে, যে পূর্ব থেকেই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে বিরোধ ও যুদ্ধ করে এসেছে।” -সূরা তওবা (৯): ১০৭
সেনানিবাসের ভিতরের মসজিদ ও সেনার অর্থায়নে নির্মিত মসজিদে; বাহ্যত আয়াতে উল্লিখিত ‘মসজিদে যিরারের’ বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে না। যদি তারা সুনাম-সুখ্যাতি ও লোক দেখানোর জন্যেও মসজিদ করে থাকে, তবুও তাদের এ খারাপ উদ্দেশ্য সেখানে আদায়কৃত নামাযে কোন প্রভাব ফেলবে না। তবে এক্ষেত্রে যদি আশপাশে মুত্তাকী ও মুখলিস ব্যক্তিদের নির্মিত মসজিদ থাকে, তাহলে সেখানেই নামাজ পড়া উত্তম হবে। -রদ্দুল মুহতার: ২/৩৮২, আল রাহরুর রায়েক: ২/১৪৯, মাবসুতে সারাখসী: ৬/৫৭, মাআরিফুল কোরআন: ৪/৪৬২-৪৬৪, ইমদাদুল আহকাম: ৫/১৫৩-১৫৬, ফতোয়া দারুল উলুম দেওবন্দ: প্রশ্ন নং: ১৫৯৬৭৪
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৯-০৬-১৪৪২ হি.
২৩-০১-২০২১ ইং
আরও পড়ুন
ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ জামাআতের সাথে নামায পড়ার সুযোগ না দিলে করণীয় কী?