বিবিধফাতওয়া  নং  ৩৪৩

মসজিদের টয়লেটে রাখা টিস্যু ব্যবহারের বিধান

মসজিদের টয়লেটে রাখা টিস্যু ব্যবহারের বিধান

মসজিদের টয়লেটে রাখা টিস্যু ব্যবহারের বিধান

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্নঃ

বর্তমানে প্রায় মসজিদের পেশাবখানা ও টয়লেটে টিস্যু রাখা থাকে। উদ্দেশ্য, নামাযের সময় মুসল্লীরা যেন তা ব্যবহার করতে পারেন।

প্রশ্ন হলো, কেউ যদি নামাযের সময় ছাড়া অন্য সময় এসব পেশাবখানা বা টয়লেট ব্যবহার করে, তার জন্য কি ওই টিস্যু ব্যবহার করা জায়েয হবে? টিস্যু তো নামাযে আসা মুসল্লীদের জন্য ওয়াকফ করা হয়েছে।

নাম- হামিদুর রহমান

উত্তরঃ 

بسم الله الرحمن الرحيم

আমরা মনে করি, পেশাবখানা বা টয়লেটে যারা টিস্যুর ব্যবস্থা রাখেন, তারা তা শুধু মুসল্লীদের জন্য নয়; বরং উক্ত পেশাবখানা বা টয়লেট ব্যবহারকারী সকলের জন্যই রাখেন। সুতরাং যার জন্য ওগুলো ব্যবহারের অনুমতি আছে, তার জন্য সেখানে রাখা টিস্যু ব্যবহারও জায়েয হবে; চাই তিনি নামাযের জন্য আসা মুসল্লী হন বা অন্য কেউ; যতক্ষণ না কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট কোনও নিষেধাজ্ঞা বা এমন কোনও নিদর্শন সামনে আসে, যা দ্বারা বুঝা যায়, ওগুলো সকলের জন্য অনুমোদিত নয়।

তবে হ্যাঁ, অনেক জায়গায় মুসল্লী ব্যতীত অন্যদের জন্য পেশাবখানা বা টয়লেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। তথাপিও অনেকে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তা ব্যবহার করেন। বাস্তবেই যদি কোথাও মুসল্লী ব্যতীত অন্যদের জন্য পেশাবখানা বা টয়লেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকে, তাহলে যার বিকল্প ব্যবস্থা আছে, তার জন্য সেগুলো ব্যবহার যেমন নাজায়েয, তেমনি টিস্যু ব্যবহারও নাজায়েয। পক্ষান্তরে কেউ যদি বাধ্য হয়ে ব্যবহার করে, তার জন্য নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পেশাবখানা বা টয়লেট ব্যবহার নাজায়েয হবে না। তবে তার জন্য টিস্যু ব্যবহার থেকে বিরত থাকা কাম্য; যদি পবিত্রতা অর্জনের অন্য কোনও ব্যবস্থা থাকে। পবিত্রতা অর্জনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকলে টিস্যু ব্যবহার করাও নাজায়েয হবে না ইনশাআল্লাহ। -বাদায়েউস সানায়ে: ১/২০৮ দারুল হাদীস, কায়রো; আল-বাহরুর রায়েক: ৫/২৭০ দারুল কিতাবিল ইসলামী; ফাতাওয়া শামী: ১/২৫৩ দারুল ফিকর, বৈরুত; ফাতাওয়া উসমানী: ২/৫১৪ ও ৫২১ যাকারিয়া বুক ডিপো, ভারত

والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০৬-১৪৪৪ হি.

১২-০১-২০২৩ ঈ.

আরও পড়ুনঃ নাজায়েয পদ্ধতিতে চুল কেটে দেওয়ার বিধান

Related Articles

Back to top button