যাকাতের অধিক হকদার কারা?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন:
যাকাত পাওয়ার অধিক হকদার কারা?
-আবু রাফি
উত্তর:
যাকাতের হকদার হল এমন গরীব ব্যক্তি, যার কাছে নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার্য সম্পদের অতিরিক্ত কুরবানীর নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই। হাদীসে যাকাত ধনীদের থেকে উসূল করে গরীবদের মাঝে বণ্টন করার নির্দেশ এসেছে।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ قَالَ « إِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ أَهْلِ كِتَابٍ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ عِبَادَةُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِذَا عَرَفُوا اللَّهَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِى يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ فَإِذَا فَعَلُوا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِذَا أَطَاعُوا بِهَا فَخُذْ مِنْهُمْ وَتَوَقَّ كَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ ». –رواه البخاري (1425) ومسلم (132) واللفظ لمسلم
“ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুআয রাযিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়ামানে (গভর্নর হিসেবে) প্রেরণকালে নির্দেশনা দিয়ে ইরশাদ করেন, তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছ। তুমি প্রথম তাদেরকে আল্লাহর ইবাদতের দাওয়াত দিবে। যখন তারা আল্লাহকে চিনবে, তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে, আল্লাহ তাদের উপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। তারা তা মেনে নিলে, তাদেরকে জানাবে, আল্লাহ তাদের উপর যাকাত ফরয করেছেন, যা ধনীদের থেকে উসূল করে গরীবদের মাঝে বণ্টন করা হবে। তারা যদি এর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে, তাহলে তাদের থেকে তা (যাকাত) গ্রহণ করবে। তবে (বেছে বেছে) তাদের উৎকৃষ্ট মালগুলো নেওয়া থেকে বিরত থাকবে।” –সহীহ বুখারী: ১৪২৫, সহীহ মুসলিম: ১৩২
উল্লেখ্য, কুরবানীর নেসাব হচ্ছে, সাড়ে সাত ভরি সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা সমমূল্যের যেকোনো সম্পদ, যা ফিলহাল ব্যবহৃত হচ্ছে না।
এমন গরীবদের মধ্যে দীনদার, আত্মীয়, মুজাহিদ, আলেম, তালিবে ইলম মুসাফির এবং যারা মানুষের কাছে চাইতে পারে না, তারা বেশি হকদার। -সূরা তাওবা (০৯) : ৬০; রুহুল মাআনী: ৫/৩১৫ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ); তাফসীরে নাসাফী: ১/৬৮৮ (দারুল কালিমিত তাইয়িব); সহীহ বুখারী: ২/১২১ হাদীস নং: ১৪৬৬ (দারু তওকিন নাজাহ) সহীহ মুসলিম: ২/৬৯৪ (দারু ইহইয়ায়িত তুরাস); আল-বাহরুর রায়েক: ২/২৬২ (দারুল কিতাবিল ইসলামী); ফাতহুল বারী: ৩/৩২৫ (দারুল ফিকর)
আরও দেখুন,
ফাতওয়া: ২৬২-আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম নামক সংগঠনে কি যাকাত দেয়া যাবে?
ফাতওয়া: ২২৭-যাকাতের অর্থ কি এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাঠানো যাবে?
ফাতওয়া: ৬৩-মুজাহিদদেরকে কি যাকাত দেয়া যাবে?
ফাতওয়া: ১২৭-যাকাতের টাকা দিয়ে বন্দী মুসলিমের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিলে কি যাকাত আদায় হবে?
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
২৩-০৫-১৪৪৫ হি.
০৮-১২-২০২৩ ঈ.