প্রশ্ন:
আমরা অনেক সময় মৃত ব্যক্তি কিংবা কোনো রোগীর জন্য কুরআন খতম, তাসবীহ খতম ইত্যাদি করে থাকি এবং এসবের বিনিময়ে আমাদেরকে টাকাও দেওয়া হয়।
জানার বিষয় হলো, এসব খতমের বিনিময় নেওয়ার হুকুম কী? অনেক সময় আমরা এসব টাকা অন্য টাকার সঙ্গে মিলিয়ে মাসিক সাদাকা করে থাকি, সেটি কি বৈধ হবে?
-আবদুল হাকীম
উত্তর:
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا ومسلما
ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরআন খতম ও তাসবীহ খতম করে বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয নয় এবং সে বিনিময় ব্যক্তির জন্য হালাল নয়। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ: ৭৮২৫, ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়্যাহ: ৫/৩৩৬, রদ্দুল মুহতার: ৬/৫৬
কেউ এমন অর্থ গ্রহণ করে থাকলে তা মালিকের কাছে ফেরত দেয়া জরুরি। মালিককে না পেলে তার ওয়ারিসদের ফেরত দিতে হবে। সম্ভাব্য সকল পন্থা অবলম্বনের পরও মালিকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব না হলে, মালিকের পক্ষ থেকে সাদাকা করে দিবে। জনকল্যাণমূলক কাজেও খরচ করার সুযোগ আছে। তবে নিজের পক্ষ থেকে সাদাকা করার সুযোগ নেই। -আল-মুহিতুল বুরহানী: ৫/৩৫৮, তাবয়ীনুল হাকায়েক: ৭/৬০, রদ্দুল মুহতার: ৬/৩৮৫, ফাতাওয়া উসমানী: ১/৪৬০-৪৬১
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে হালাল টাকার সাথে মিশ্রিত করেও তা নিজের পক্ষ থেকে মাসিক সাদাকা বা অন্যান্য সাদাকা আদায় করতে পারবেন না।
আর দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য যেমন রোগ মুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি ইত্যাদির জন্য কুরআনসহ শরীয়ত সম্মত কোনো খতম পড়ে বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয। তা অন্যান্য হালাল সম্পদের মতোই। নিজ প্রয়োজনেও ব্যয় করা যাবে। সাদাকাও করা যাবে। -সহীহ বুখারী: ৫৭৩৬, মাআলিমুস সুনান: ৩/১০১, বাযলুল মাজহুদ: ১১/১২৪, ফয়যুল বারী: ৩/৫১৫,
فقط. والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
২৪-০৫-১৪৪৬ হি.
২৭-১১-২০২৪ ঈ.