প্রশ্ন:
ক. কাফেরদের সাইবার স্পেস ধ্বংস করতে কম্পিউটার সাইন্স কিংবা সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাফের রাষ্ট্রে যাওয়া এবং ওখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার হুকুম কী?
খ. তাগুতের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা চালানো যাবে কি? তারা কোনো অপরাধ না করে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া যাবে কি?
-সালমান মাহমুদ
উত্তর:
ক. কাফেরদের সাইবার স্পেস ধ্বংস করা বা এজাতীয় কোনো জিহাদি উদ্দেশ্যে কম্পিউটার সাইন্স বা সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে পড়াশোনা করা অনেক মহৎ কাজ। তবে কাফের রাষ্ট্রে বা তাদের কারিকুলামে শিক্ষা গ্রহণ করা ঈমানের জন্য অনেক বড় ঝুঁকিপূর্ণ, যা সাধারণ অবস্থায় যে কারো জন্য গ্রহণ করার অবকাশ নেই। হাঁ, বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে ব্যক্তি বিশেষের জন্য কিছু শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন হতে পারে, যার সিদ্ধান্ত সার্বিক পরিস্থিতি সামনে রেখে শুধু বিজ্ঞ আলেমগণই নিতে পারেন। সুতরাং ব্যক্তিগতভাবে কারো জন্য এমন পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ নেই। কেউ নিতে চাইলে অবশ্যই বিজ্ঞ আলেমের শরণাপন্ন হয়ে নিজের বিস্তারিত অবস্থা জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর বিষয়টি যেহেতু জিহাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, এজন্য ওই আলেমের বর্তমান বিশ্বের জিহাদ সম্পর্কেও সম্যক ধারণা থাকা জরুরি। -ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দাইমাহ: ১২/১৩৭-১৩৮; ফাতাওয়া বায়্যিনাত: ৩/৩৭৭-৩৭৮; ফিকহী মাকালাত (তাকী উসমানী): ১/২৩৩-২৩৭; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল: ৮/১৩৯-১৪১
খ. না, স্বাভাবিক অবস্থায় তাগুতের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অপবাদ ও প্রোপাগাণ্ডা চালানো যাবে না। জিহাদের বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার সুযোগ আছে, তবে সেটাও বিজ্ঞ আলেমদের নির্দেশনায় হওয়া জরুরি। সাধারণ মানুষের জন্য এগুলোর শরঈ সীমারেখা নির্ণয় করা কিছুটা কঠিন।
বস্তুত বর্তমান তাগুতদের অপরাধ এত ভয়ঙ্কর এবং এত বেশি যে, যথাযথভাবে তাদের বাস্তব চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারলেই তাদেরকে তথ্যগত দিক থেকে নাস্তানাবুদ করার জন্য যথেষ্ট, মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন নেই। -সহীহ বুখারী: ৩৩; সহীহ মুসলিম: ৫৯; জামে তিরমিযী: ১৯৩৯; রিয়াদুস সালেহীন: ৪৩৯; আল-আযকার: ৫৯৭-৫৯৯; ইহইয়াউ উলূমিদ্দিন: ৩/১৩৭; যাদুল মাআদ: ৩/৩১০; রদ্দুল মুহতার: ৬/৪২৭
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৭-০১-১৪৪৭ হি.
০৩-০৭-২০২৫ ঈ.