সুদখোর মালিকের অধীনে চাকরি করার হুকুম কী?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্নঃ
বর্তমানে আমি এক লোকের অধীনে চাকরি করছি। সে সুদ-ঘুষে লিপ্ত। মদও পান করে। আমার জন্য তার অধীনে চাকরি করা কি জায়েয হচ্ছে? এবং আমার বেতন কি হালাল হচ্ছে?
প্রশ্নকারী- মুহাম্মাদ খালিদ
উত্তরঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله ، والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد:
দুটি শর্তে আপনার জন্য এই চাকরি করা জায়েয হবে এবং বেতন হালাল হবে।
১. আপনি তার অধীনে যে কাজ করেন, শরিয়তের দৃষ্টিতে তা জায়েয হতে হবে।
২. আপনার প্রাপ্য বেতন তার হালাল সম্পদ থেকে দিতে হবে। বেতন হালাল থেকে দিচ্ছে কি না, তা যদি জানতে না পারেন, তাহলে তার অধিকাংশ সম্পদ যদি হালাল হয়, তাহলেও আপনার বেতন হালাল হবে। পক্ষান্তরে অধিকাংশ সম্পদ যদি হারাম হয়, তাহলে আপনার বেতন হালাল হবে না, যতক্ষণ না পরিষ্কার জানা যায় যে, সে তা হালাল সম্পদ থেকে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, যে ব্যক্তি এমন গর্হিত কাজে লিপ্ত, তার অধীনে চাকরি না করাই ঈমানি গাইরত ও তাকওয়ার দাবি।
দেখুন আলইখতিয়ার: ৪/১৮৮, হিন্দিয়া: ৫/৩৪২-৩৪৩, রদ্দুল মুহতার: ৬/৫৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া (জাদিদ): ৭/৩৮২-৩৮৩
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৫-১০-১৪৪৩ হি.
০৭-০৫-২০২২ ঈ.
আরো পড়ুনঃ ঋণ মাসিক নির্দিষ্ট হারে প্রদানের শর্তে চুক্তির হুকুম কী?