পহেলা বৈশাখ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ : চেতনার শিরোনামে শিরকের অবাধ চর্চা
পহেলা বৈশাখ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ : চেতনার শিরোনামে শিরকের অবাধ চর্চা
শায়খ ফজলুর রহমান কাসেমি হাফিজাহুল্লাহ
জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম:
জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মৌলিকভাবে অভিন্ন আদর্শবাহী দুটি শব্দ। জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায়-গোত্র ভিত্তিক বিভক্তিকে বলা হয় জাতীয়তাবাদ। আর কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতযুক্ত মনোভাবকে বলা হয় সাম্প্রদায়িকতা। ইসলাম এ জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে পদদলিত করে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও তাঁর বিধানের আনুগত্যের ভিত্তিতে মানব জাতিকে একীভূত করার বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আরব-অনারব, সাদা-কালো, ধনী-গরিব, বাঙালি-অবাঙালি, ভুঞা-পাটওয়ারী, কিষাণ-ঝোলা, চাষা-জেলে—এ ব্যবধানগুলোকে মুছে দিয়ে, ইসলাম একটি মাত্র পরিচয়ে মানুষকে পরিচিত করেছে এবং শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে। আর তা হচ্ছে, এক আল্লাহর স্বীকৃতি ও তাঁর আনুগত্য।
ইসলামের এ মৌলিক দাবির বিপরীতে একটি পক্ষ গোষ্ঠী-সম্প্রদায়-ভূখণ্ড-ভাষা-গোত্র ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভক্তি জাগিয়ে তোলার পেছনে সর্বোচ্চ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলাম বলছে, জাতি ও সম্প্রদায়ভিত্তিক বিভক্তির রেখা মুছে দিয়ে এক আল্লাহর স্বীকৃতি ও তাঁর হুকুমের আনুগত্যের ভিত্তিতে বিভক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এ পক্ষটি বলছে, এক আল্লাহর স্বীকৃতি ও তাঁর হুকুমের আনুগত্যের ভিত্তিতে বিভক্তিকে মুছে ফেলতে হবে এবং জাতি ও সম্প্রদায়ভিত্তিক বিভক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
জাতীয়তাবাদ-সাম্প্রদায়িকতা ও ইসলামের মাঝে ব্যবধান এখানেই। দু’টির বৈপরীত্য এখানেই। যে বৈপরীত্যের কোন মিলন মোহনা নেই।
বাংলাদেশি ও বাঙালি
বাংলাদেশ শব্দটি ভূখণ্ডভিত্তিক বিভক্তি নির্দেশক এবং বাঙ্গালী শব্দটি জাতি-সম্প্রদায়ভিত্তিক বিভক্তি নির্দেশক। ইতিহাসও তাই বলে। এ বিভক্তিকে যারা প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাদের দাবিও এটাই। বাংলাদেশ শিরোনামে যারা এ ভূখণ্ডটিকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করেছে তারা ধর্মের বিভক্তিকে মুছে দিয়ে ভূখণ্ডভিত্তিক বিভক্তিকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তাদের সংবিধানের কথাগুলোকে সেভাবেই সাজিয়েছে। ভূখণ্ডটির পরিচালকরা সেভাবেই দেশটি পরিচালনা করে চলেছে।
আর বাঙ্গালী শিরোনামে যারা নিজেদেরকে অবাঙ্গালী থেকে আলাদা করেছে তারাও ধর্মের সকল বিভক্তি মুছে দিয়ে শুধু একটি জাতি ও সম্প্রদায়ের পরিচয়ে নিজেদেরকে আলাদা করে নিয়েছে। এ জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য সম্ভাব্য যা যা করার দরকার তা তারা করেছে এবং করে চলেছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা : হাজার বছরের বাঙ্গালী ঐতিহ্য
মানুষের কোন কাজ, কথা বা আচরণ যদি ইসলামের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তখন তার সর্ব নিম্নস্তর হচ্ছে কবিরা গুনাহ, দ্বিতীয় স্তর হচ্ছে কুফর, শেষ স্তর হচ্ছে আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন।
মঙ্গল শোভাযাত্রা, বর্ষবরণ, নববর্ষ, বৈশাখী উৎসব যে শিরোনামেই উল্লেখ করা হোক, তা যত বছরের ঐতিহ্যই হোক এবং যাদের ঐতিহ্য হিসাবেই উল্লেখ করা হোক, তা ইসলামের বিধানের বিপরীত হলে তা কমপক্ষে কবিরা গুনাহ। আর ইসলামের বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তা কুফর।
এ শোভাযাত্রা ও বাঙ্গালী ঐতিহ্য হাজার বছরের? না কি দশ/বিশ বছরের তা নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। এমনিভাবে এর প্রেক্ষাপট কী? এবং এর উদযাপন পদ্ধতি কী? তার মাঝেও বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। কিন্তু প্রেক্ষাপট ও উদযাপন পদ্ধতির যা এ পর্যন্ত আমাদের হাতে এসেছে, তার প্রত্যেকটিই যে ইসলামের বিধান ও বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক তা নিয়ে মতভেদ করার কোন সুযোগ নেই।
পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বর্ষবরণ, নববর্ষ ইত্যাদির ধ্বজাধারীদের কিছু উদ্ধৃতি, সংক্ষিপ্ত শরয়ী মূল্যায়নসহ নিম্নে পেশ করছি,
১. ১৯৮০ র দশকে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য এবং একই সঙ্গে শান্তির বিজয় ও অপশক্তির অবসান কামনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রবর্তন হয়। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: কিছু মূর্তিকে মাথায় নিয়ে, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তাদের মাধ্যমে শান্তি কামনা ও অপশক্তির অবসান কামনার মাধ্যমে শিরকের অনুশীলনকে প্রকাশ্যভাবে সর্বজনীন করা হয়েছে। এ শিরকের মাঝে কোন প্রকার রাখঢাক রাখা হয়নি এবং কোন প্রকার ব্যাখ্যার সুযোগ রাখা হয়নি।
২. শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ, বিশালকায় চারুকর্ম পুতুল, হাতি, কুমির, লক্ষীপেঁচা, ঘোড়াসহ বিচিত্র মুখোশ এবং সাজসজ্জা, বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: যে শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ মুশরিকদের পূজিত পুতুল, হাতি, কুমির ও লক্ষীপেঁচা, যে শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বদ্যযন্ত্র ও নৃত্য, সে শোভাযাত্রা থেকে মুসলিমরা শিরক ও কবিরা গুনাহ ছাড়া আর কী নেয়ার জন্য শরিক হতে পারে? পেঁচা যাদের লক্ষী ও দেবী, পেঁচা যাদের মঙ্গলের প্রতীক, পেঁচা আর কুমির যাদের ভাগ্যবিধাতা তারা মুসলিম হওয়ার কোন সুযোগ নেই। যাদের বিশ্বাস লক্ষীপেঁচা তাদের জন্য শান্তি বয়ে আনবে, অপশক্তির অবসান ঘটাবে, তারা মুসলিম নয়, তাওহীদবাদী নয়। তারা বাঙালি হতে পারে, মুসলিম হতে পারে না।
৩. এরই ধারাবাহিকতায় সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বপ্রথম ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কোর প্যারিসে অবস্থিত সদর দপ্তরে আবেদন করেছে যে, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হোক। “মঙ্গল শোভাযাত্রা” অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শান্তি, গণতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতিসত্বার প্রতীক হিসেবে পরিগণিত। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে বছরের প্রথম দিনে “মঙ্গল শোভাযাত্রার”মাধ্যমে অপশক্তির অবসান এবং বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণময় ভবিষ্যতের আশা ব্যক্ত করে চলেছে। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: মুশরিকদের শিরকের প্রতীকগুলোকে সামনে রেখে তার মাধ্যমে শান্তির কামনা এবং অশুভ শক্তির অবসান কামনার বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। শিরককে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এর চেয়ে সুস্পষ্ট আর কোন পদ্ধতি হতে পারে না। অতএব এ শিরকের প্রতিষ্ঠাতা, সমর্থক, অংশগ্রহণকারী, এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা আদান-প্রদানকারী এবং উপহার আদান-প্রদানকারী সবাই নিঃসন্দেহে মুশরিক।
৪. আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকাণ্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: ব্রিটিশ তথা খ্রিস্টান যারা আল্লাহর প্রকাশ্য দুশমন এবং যারা মুসলমানদের খেলাফত ছিনিয়ে নিয়ে খ্রিস্ট ধর্মের আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে, তাদের বিজয়ের জন্য হোম কীর্তন ও পূজা করার জন্য যে দিবসটির সূচনা, তা উদযাপন করা যে ইসলামের বিধান ও বিশ্বাসের সাথে স্পষ্ট সাংঘর্ষিক তা বলাই বাহুল্য। এ উদযাপন আল্লাহর দুশমনদের জন্য, আল্লাহর বন্ধুদের জন্য নয়।
৫. মেলা: জয়রামপুর গ্রামের মানুষের ধারণা প্রায় একশ বছর ধরে পহেলা বৈশাখে শুরু হওয়া এই মেলা পাঁচ দিন ব্যাপী চলে। প্রাচীন একটি বটবৃক্ষের নিচে এই মেলা বসে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর পূজার জন্য এখানে সমবেত হয়। বিশেষ করে কুমারী, নববধূ এমনকি জননীরা পর্যন্ত তাদের মনষ্কামনা পূরণের আশায় এই মেলায় এসে পূজা আর্চনা করে। সন্দেশ-মিষ্টি-ধান দূর্বার সঙ্গে মৌসুমি ফলমুল নিবেদন করে ভক্তরা। পাঁঠাবলির রেওয়াজও পুরনো। বদলে যাচ্ছে পুরনো আর্চনার পালা। এখন কপোত-কপোতি উড়িয়ে শান্তির বার্তা পেতে চায় ভক্তরা দেবীর কাছ থেকে। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: সিদ্ধেশ্বরী দেবীর পূজার জন্য যে দিবসের জন্ম, সে দিবস উদযাপনের পর ঈমান সংরক্ষিত থাকা কীভাবে সম্ভব? যে দিবসটি গায়রুল্লাহর পূজা-আর্চনার জন্য, কোন মুসলিম সে দিবস উদযাপন করলে তার ঈমান থাকবে কী করে? যে দিবসটি পাঁঠা বলির জন্য, সে দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়, উপহার আদান প্রদান করলে ঈমান থাকবে কীভাবে? দেবীর নামে কপোত-কপোতি উড়িয়ে যারা শান্তি পেতে চায় তারা নিঃসন্দেহে মুশরিক। কোন মুসলমান তাতে অংশগ্রহণ করলে কোনোভাবেই তার ঈমান থাকবে না।
৬. লোকমুখে প্রচলিত, যামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি ঘোড়ায় চড়ে এসে নববর্ষের এই দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর ঐ স্থানেই তার স্মৃতিস্তম্ভ বনানো হয়। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার আয়োজন করে। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: যামিনী সাধক সন্ন্যাসীর প্রসাদ যারা খেতে যেত তারা মুসলমান নয়। হিন্দু ধর্মের লোকেরা তার ঘোড়ার মূর্তি বানিয়ে তার পূজা করে। কোন মুসলমান এ শিরকে অংশ গ্রহণ করলে তার ঈমান থাকার কোন সুযোগ নেই।
৭. যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কারণে এ মেলার আয়োজন করা হয়, তথাপি সব ধর্মের লোকজনেরই প্রাধান্য থাকে এ মেলায়। …. মেলায় নাগরদোলা, পুতুলনাচ ও সার্কাসের আয়োজন করা হয়। নানা রকমের আনন্দ-উৎসব করে পশ্চিমের আকাশে যখন রক্তিম আলোয় সজ্জিত উৎসবে লোকজন অনেকটাই ক্লান্ত, তখনই এ মেলার ক্লান্তি দূর করার জন্য নতুন মাত্রায় যোগ হয় কীর্তন। এ কীর্তন হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবেই শেষ হয় বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী মেলা। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: মুশরিকদের কোন ধর্মীয় আয়োজনে কোন মুসলমান তখনই অংশগ্রহণ করতে পারে, যখন সে তার ঈমানকে শিরক থেকে পবিত্র রাখবে না। যখন তার দৃষ্টিতে শিরক ও তাওহীদের মাঝে কোন ব্যবধান থাকবে না। নাগরদোলা, পুতুল নাচ ও সার্কাস এগুলো যুগ যুগ থেকেইে অমুসলিমদের সংস্কৃতি। আর কীর্তন হচ্ছে মুশরিকদের ধর্মীয় আয়োজন। তাদের পহেলা বৈশাখের অবিচ্ছেদ্য অংশ এগুলো।
৮. পশ্চিমবঙ্গে মহাসমারোহে সাড়াম্বরে উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষারম্ভ পয়লা বৈশাখ। বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটিতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে সমগ্র পশ্চিম বাংলায়। বাংলার গ্রামীণ এবং নাগরিক জীবনের মেলবন্ধন সাধিত হয়ে সকলে একসূত্রে বাঁধা পড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দে। সারা চৈত্র মাস জুড়েই চলেতে থাকে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্রসংক্রান্তি বা মহাবিষ্ণু সংক্রান্তির দিন পালিত হয় গাজন উৎসব উপলক্ষ্যে চড়ক পূজা। অর্থাৎ শিবের উপাসনা। এই দিনেই সূর্য মীন রাশি ত্যাগ করে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: গাজন উৎসবের জন্য চড়ক পূজা অর্থাৎ শিবের উপাসনা। মুশরিকদের এই উৎসব, এই উপাসনা বাঙালির হতে পারে, কারণ বাঙালি হয়ে মুশরিক হতে বাঙালির কোন আপত্তি নেই। মুশরিক হোক আর নাস্তিক হোক, তাকে বাঙালি হতেই হবে। কিন্তু শিবের উপসনার উৎসবে মেতে উঠে কোন মুসলিমের জন্য মুসলিম থাকা সম্ভব নয়।
৯. এ দিন গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত হয় চড়ক মেলা। এই মেলায় অংশগ্রহণকারী সন্ন্যাসী বা ভক্তগণ বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করে আরাধ্য দেবতার সন্তোষ প্রদানের চেষ্টা করে থাকে। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: সন্ন্যাসীরা তাদের দেবতাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য যে দিনটিকে বেছে নিয়েছে সে দিনের সাথে কি কোন মুসলমানের সম্পর্ক থাকতে পারে? হাঁ, সে যদি তার তাওহীদের বিশ্বাসকে জবাই করে দিয়ে থাকে, তাহলে সে কোন মুশরিকের শিরককে উৎসবের আমেজে উপভোগ করতে পারে।
১০. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই এ দিন থেকে তাদের ব্যবসায়িক হিসাবের নতুন খাতার উদ্বোধন করে, যার পোশাকি নাম হালখাতা। এই উপলক্ষে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে মঙ্গলদাত্রী লক্ষী ও সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনা করা হয়। নতুন খাতায় মঙ্গলচিত্র স্বস্তিকা আঁকা হয়ে থাকে। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: মঙ্গলদাত্রী লক্ষী ও সিদ্ধিদাতা গণেষের আরাধনার সাথে একজন তাওহীদবাদী মুসলিম কিভাবে একাত্বতা ঘোষণা করতে পারে? এবং এমন সুস্পষ্ট শিরকে জড়ানো দিবসটিকে কিভাবে নিজেদের উদযাপন দিবস হিসাবে গ্রহণ করতে পারে? যদি তার কাছে শিরক ও তাওহীদের মাঝে কোন বৈপরীত্য না থাকে। সে যদি শিরককে অপছন্দ না করে তাহলে সে এমন কাজ করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে তাকে আর মুসলিম বলা যাবে না।
১১. গ্রামাঞ্চল এবং কলকাতা শহরের উপকণ্ঠে বিভিন্ন মন্দির ও অন্যান্য প্রাঙ্গনে পয়লা বৈশাখ থেকে আরম্ভ হয় বৈশাখী মেলা। এই মেলা সমগ্র বৈশাখ মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: মন্দির থেকে এ দিবসের আয়োজনগুলো পরিচালিত হয়। মান্দিরের চরিত্রগুলো এ দিবসের আয়োজনগুলোতে অনুশীলন করা হয়। মন্দিরের বিশ্বাসগুলো এ দিবসের আয়োজনগুলোতে প্রতিফলিত হয়। এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে কোন মুসলমান কীভাবে মুসলমান থাকতে পারে?
১২. পয়লা বৈশাখের দিন উল্লেখযোগ্য ভিড় চোখে পড়ে কলকাতার বিখ্যাত কালীঘাট মন্দিরে। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ভোর থেকে মন্ত্রপাঠপূর্বক গঙ্গাস্নান করে প্রতীক্ষায় থাকে দেবীকে পূজা নিবেদন করে হালখাতা আরম্ভ করার জন্য। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: পহেলা বৈশাখ মুশরিকদের কালীঘাট মন্দিরে পূজার বিশেষ দিবস। মুশরিকরা দেবীকে পূজা দিয়ে হালখাতা শুরু করার দিবস হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। এ দিবসের সাথে তাহওহীদের বিশ্বাসে মুসলিমদের কোনও সম্পর্ক নেই। থাকতেও পারে না।
১৩. ব্যবসায়ী ছাড়াও বহু গৃহস্থও পরিবারের মঙ্গল কামনা করে দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে কালীঘাটে গিয়ে থাকে। এই দিন বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসেবে নতুন ধুতি-পাঞ্জাবি এবং শাড়ি পরার রেওয়াজ প্রচলিত। -বাংলা উইকিপিডিয়া
শরয়ী মূল্যায়ন: এ দিবসটি সর্বস্তরের মুশরিকদের পূজার বিশেষ দিবস। দেবীকে খুশি করার বিশেষ দিবস। কালীঘাটে গিয়ে মুশরিকদের পহেলা বৈশাখ উদযাপনের দিনে, মুশরিকদের সঙ্গে শিরকি কাজে অংশগ্রহণ করে কোন মুসলিমের পক্ষে তার ঈমান টিকিয়ে রাখা কীভাবে সম্ভব?
১৪.
বাংলার পহেলা বৈশাখ
দেবাশিস দাস
================
প্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে/বছর ঘুরে এলো নব সাঁজে/বাংলার পহেলা বৈশাখ।/এসো হে বৈশাখ /তোমাকে স্বাগতম।
বাসন্তী রঙের পরিধানের মাঝে/ভালোবাসার মিলন মেলায় মন হারাবে/প্রকৃতির কৃষ্ণচূড়ায় রঙ্গিন লাল আভায়,/প্রতিটি হৃদয় ভালোবাসায় ভরাবে।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির আনন্দের খেলা,/সারাদিন খুশীর মেলা/আনন্দ উল্লাসে বয়ে যায় সারা বেলা।
পহেলা বৈশাখ মানে বাঙালির আত্মশুদ্ধির ক্ষণ/বিশ্ব বাঙালির আত্মআবিষ্কারের দিন।/পহেলা বৈশাখ মানে, পান্তা, ইলিশের ভালোবাসার/সাথে প্রিয়জনদের শ্রেষ্ঠ মেলার আসর।
ঈদ, পূজা, খ্রিসমাস ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার/সব উৎসবকে ছাড়িয়েও সেরা,/তুমি যে শুধু/বাঙালির প্রাণের/মিলন মেলা, /হে পহেলা বৈশাখ।
এসো হে বৈশাখ/প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে, /তোমাকে জানাই স্বাগতম।
বাঙালির এই মিলন মেলায়/আজ নয় কোন ধনী-গরীব/ছোট-বড় ভেদাভেদ।/আনন্দের এই দিন/ধুয়ে মুছে যাক সব দুঃখ/জ্বালা, বেদনা আর গ্লানি।
সুখ-শান্তি আর ভালোবাসায় ভরে উঠুুক/বাঙালি হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ উৎসব পহেলা বৈশাখ।
শরয়ী মূল্যায়ন: বাঙালির আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে সকল ধর্মের সকল ধর্মীয় আয়োজনের চাইতে শ্রেষ্ঠ আয়োজন হচ্ছে পহেলা বৈশাখের আয়োজন। কেউ যদি তার তাওহীদের বিশ্বাসকে ত্যাগ করে পহেলা বৈশাখের শিরকি বিশ্বাসকে নিজের মধ্যে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চায়, তাহলে সে বাঙালি হতে পারবে, তাওহীদবাদী মুসলিম কোনো ভাবেই হতে পারবে না। কারণ সে ইসলাম ও তাওহীদ ত্যাগ করে শিরকের ধর্ম গ্রহণ করেছে।
১৫. সায়ীদ আবু বকর নামে দৈনিক ইনকিলাবের একজন লেখক খুব গর্বের সাথে লিখেছেন-
পহেলা বৈশাখ এখন বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলার মুসলমান-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধকে এক মঞ্চে আনার শাশ্বত কোন উৎসব যদি থেকেই থাকে বাঙালির, তা এই পহেলা বৈশাখ।
শরয়ী মূল্যায়ন: যে দরজা দিয়ে এ লেখকের গর্বের জোয়ার ধেয়ে আসছে, মূলত সে দরজা দিয়েই মুমিনের ঈমান ও তাওহীদের বিশ্বাস বের হয়ে গেছে। আল্লাহর বন্ধু মুসলমান ও আল্লাহর দুশমন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এক মঞ্চে মঞ্চস্থ হওয়ার কোন ধারণা আল্লাহর দেয়া বিধানে নেই। এটা তখন সম্ভব যখন কোন মুসলমান তার ঈমানের গণ্ডিকে ত্যাগ করবে।
১৬. আবার কেউ গর্ব করে বলছেন, এটা মুসলমানদের ঐতিহ্য। মুসলিম রাজারাই এটার প্রবর্তক।
শরয়ী মূল্যায়ন: পহেলা বৈশাখের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রেক্ষাপট হচ্ছে মুগল সম্রাট আকবরের বাংলা সন প্রবর্তন এবং সে উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপন। মুসলমানরা যখন তাদের মূল ঐতিহ্যগুলোকে হারিয়ে ফেলেছে, তখন থেকে তারা এসব ফালতু বিষয় নিয়ে গর্ব করা শুরু করেছে। আকবরের সন প্রবর্তন বিষয়ক যে ইতিহাস বলা হয় তা যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে একজন মুসলমান হিসাবে এবং আল্লাহর বিধানের একজন অনুগত বান্দা হিসাবে তার যে বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করার দরকার ছিল তা নিম্নরূপ:
ক. সম্রাট আকবর তার রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে হিজরী সনকে পরিবর্তন করে বর্তমান প্রচলিত বাংলা সন চালু করেছে। একজন মুসলিমের এ কথা জানা থাকার কথা যে, ইসলামে বাইতুল মালের সকল আয় ব্যয়ের হিসাব হিজরী সনের সাথে জড়িত। এর ব্যতিক্রম করার কোন সুযোগ নেই। বৈধও নয়। আর আকবর যে কেমন মুসলিম ছিল তা কে না জানে? তার মুসলিম নামটি ছাড়া ইসলামের সাথে তার যে নূন্যতম কোন সম্পর্কও ছিল না, তা কারোরই অজানা নয়।
খ. নববর্ষ উদযাপন, বর্ষবরণ, বর্ষবরণ উপলক্ষে উৎসবের আয়োজন এ সবই ইসলামের মূল শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা কখনো মুসলমানের ঐতিহ্য হতে পারে না।
গ. কোন বৈধ উৎসবও যখন কুফর-শিরক কিংবা কবিরা গুনাহতে ভরে যায় তখন সেই উৎসব আর মুসলমানদের উৎসব থাকে না। পহেলা বৈশাখের এ উৎসব তো কখনোই বৈধ ছিল না। অতএব এটি মুসলমাদনের উৎসব হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
আমাদের পহেলা বৈশাখ কি ভিন্ন কিছু্র নাম?
পহেলা বৈশাখের প্রেক্ষাপট, অনুশীলনের পদ্ধতি, উদযাপনের আকৃতি, এর সঙ্গে জড়িত বিশ্বাস -এর যত বিবরণ আমরা এ পর্যন্ত পেশ করলাম তার প্রত্যেকটি শিরক-কুফর ও কবিরা গুনাহে ঘেরা। এ ক্ষেত্রে অতীত ও বর্তমান সমান। কোন তারতম্য নেই।
তাহলে আমাদের মধ্যে যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করেও এ দিবসটির পক্ষে কথা বলে এবং দিবসটি উদযাপন করে, তাদের পহেলা বৈশাখ কি ভিন্ন কিছুর নাম? তাদের পহেলা বৈশাখ শিরকমুক্ত কীভাবে? যে জিনিসটি জন্মসূত্রেই অপবিত্র, তা পবিত্র হবে কীভাবে?
যারা বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখে তাদের কাছে কেন বিষয়টি এত হালকা তা আমাদের বোধগম্য নয়। শিরকি কর্মকান্ডকে শিরক বলা, কুফরি কার্যকলাপকে কুফর বলা বাড়াবাড়ি করা নয়। বরং এটিই মধ্যপন্থা। ইসলামে শিরক-কুফরের পরিচয় পরিস্কার। তাতে কোনো ধরনের অস্পষ্টতা নেই। সাধারণ মুসলমানদের সামনে প্রতিটি বিষয়কে পরিষ্কার করে দেয়া আলেম উলামাদের কর্তব্য। এ জন্যই হক্কানী উলামায়ে কেরাম এ বিষয়ে আগেও বলেছেন, এখনো বলছেন, সামনেও বলবেন ইনশাআল্লাহ
পহেলা বৈশাখের শিরকী কর্মকাণ্ডের তালিকা
১. পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে পুতুল, লক্ষীপেঁচা, কুমির, হাতীর মূর্তি প্রদর্শন করে এসবের মাধ্যমে শান্তি কামনা ও অশুভ শক্তির অপসারণ কামনা। যা বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত।
২. পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে রমনাবটমূলে সম্মিলিতভাবে ভোরের সূর্যকে অভিবাদন।
৩. পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বউমেলায় শিবের উপাসনা।
৪. পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে হালখাতার মাধ্যমে মঙ্গলদাত্রী লক্ষী ও সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজা।
৫. মুশরিকদের শিরকগাঁথা কীর্তন অনুষ্ঠান
৬. কালিঘাট মন্দিরে উপস্থিতি এবং দেবীর কাছে আরাধনা।
বাঙালিধর্ম : আমাদের করণীয়
সর্বশেষ কথা হচ্ছে, পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বাঙালি জাতির একটি আত্মিক ও আধ্যত্মিক দিবস। যে দিবসে এ জাতি তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান করে থাকে। সেসব আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী নিজেদেরকে পাপ-পঙ্কিলমুক্ত করার চেষ্টা করে। অশুভ শক্তিকে অপসারণ করে শুভশক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে থাকে। পহেলা বৈশাখে উদিত সূর্যকে তারা তাদের পুরা বছরের ত্রাণকর্তা মনে করে তাকে আশীর্বাদ জানায়।
বাঙালি জাতির এ দিবস উদযাপনের মাঝে রয়েছে নানান কুফর ও শিরক। কিছু রয়েছে কবিরা গুনাহ।
তাওহীদে বিশ্বাসী কোনো মুমিন কিছুতেই এ ধরনের শিরকি দিবস উদযাপন করতে পারে না, অংশগ্রহণ করতে পারে না, এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারে না, উপহার আদান-প্রদান করতে পারে না।
বাংলাদেশি হওয়া আমাদের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের অংশ হতে পারে; কিন্তু বাঙালিত্ব কখনোই আমাদের জাতীয়তার অংশ নয়। আমরা মুসলিমরা ইসলামি জাতীয়তায় বিশ্বাসী; বাঙালি জাতীয়তায় নয়। এটা সম্পূর্ণ ‘আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা’র আকিদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। উপরন্তু কেউ যদি মনে করে, বাঙালি হওয়ার পর সে আর আল্লাহর বিধানের অধীনে থাকা জরুরী নয়, এমন ব্যক্তি বাঙালি হতে পারে। মুসলমান নয়। কেউ যদি মনে করে, বাঙালি হতে গেলে যদি আল্লাহর বিধানকে কুরবান করতে হয় তাও সে করবে, তাহলে সে বাঙালি হতে পারবে, মুসলমান হতে পারবে না। কেউ যদি মনে করে, বাঙালি হিসাবে পূর্ণ পরিচয় দেয়ার পর এবং বাঙালি রীতির সবটুকু পালন করার পর আল্লাহর বিধান যতটুকু রক্ষা করা যায় করব, তাহলেও সে বাঙালি হতে পারবে, মুসলিম ও মুমিন হতে পারবে না।
বিষয়গুলো পানির মতো পরিষ্কার। কোনও অস্পষ্টতা নেই।
পহেলা বৈশাখ এবং পহেলা বৈশাখের মত মানুষকর্তৃক আবিষ্কৃত সব ধরনের রীতি-নীতির ক্ষেত্রে মুমিন মুসলিমদের করণীয় হচ্ছে, তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে শরীয়তকে জিজ্ঞেস করে পা রাখবে। শরীয়তের অনুমোদনের বাইরে এক বিন্দুও তার নড়াচড়ার অনুমতি নেই। সে সব কিছু কুরবান করে দিতে পারবে। কিন্তু শরীয়তের এক বিন্দুও কুরবান করতে পারবে না। এমন বাংলাদেশি সে হতে পারবে না, যে বাংলাদেশি হতে গেলে সে মুসলিম থাকতে পারবে না। সে ততটুকুই বাংলাদেশি হতে পারবে যতটুকু বাংলাদেশি হলে তার ঈমান হারাতে হয় না। বাংলাদেশি হিসাবে ততটুকু পরিচয়ই সে বহন করতে পারবে যতটুকু তার ঈমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।
সবশেষ দোয়া করি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে এবং আমাদের সকল মুসলিম ভাই বোনদেরকে সব ধরনের কুফর-শিরক ও কুসংস্কার থেকে হেফাযত করুন এবং মৃত্যু পর্যন্ত বিশুদ্ধ ঈমানের উপর অবিচল থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন।