পরিস্থিতির কারণে অপবিত্র অবস্থায় নামায পড়লে কি ঈমান চলে যায়?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্নঃ
বেশ কয়েক বছর আগের কথা। একবার আমার উপর গোসল ফরয হয়। এ অবস্থায় নামায পড়া যায় না, তা আমি জানতাম। কিন্তু আব্বা-আম্মা জোর করে আমাকে মসজিদে পাঠিয়ে দেন। ছোট ছিলাম তাই খুলে বলার সাহস হয়নি। এটুকু বুঝতাম যে, অনেক গুনাহ হচ্ছে, তবুও মসজিদে গিয়ে কোনোমতে নামায পড়ে আসি, এও জানা ছিল যে, নামায হচ্ছে না। মনে মনে খুব লজ্জিত ও ভয়ার্ত ছিলাম। এখন জানতে চাচ্ছি, অপবিত্র অবস্থায় নামায পড়ার কারণে কি আমি ঈমান থেকে বের হয়ে গিয়েছি? এ মুহূর্তে আমার করণীয় কী?
-আব্দুল্লাহ
উত্তরঃ
নাপাক অবস্থায় নামায পড়া যদিও ক্ষেত্রবিশেষে কুফর, কিন্তু এভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে অপবিত্র অবস্থায় নামায পড়ার কারণে আপনি ঈমান থেকে বের হয়ে যাননি ইনশাআল্লাহ। তবে এটি মারাত্মক গুনাহের কাজ হয়েছে। আপনার দায়িত্ব মন থেকে তওবা ইস্তেগফার করা, ভবিষ্যতে আর কখনও এমন না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা এবং উক্ত নামায পুনরায় আদায় করে নেওয়া। -হালবাতুল মুজাল্লী: ১/৬১৮ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ); রদ্দুল মুহতার: ১/৮১ (দারুর ফিকর); আল-বাহরুর রায়েক: ১/৩০১ (দারুল কিতাবিল ইসলামী); মাজমুউল আনহুর: ১/৬৯৪ (দারু ইহইয়ায়িত তুরাস); আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়া: ২/২৬৯ (দারুল ফিকর)
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল-মাহদি (উফিয়া আনহু)
৩০-০৪-১৪৪৫ হি.
১৫-১১-২০২৩ ঈ.
আরও পড়ুনঃ মুজাহিদের জন্য কি নামাযে উদাসীনতা দেখানোর সুযোগ আছে?