প্রশ্ন: আমি একজন দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ের জন্য পছন্দ করেছি। তিনি হকপন্থী আলেমদের অনুসরণ করেন—যেমন আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ এবং আনোয়ার আল-আওলাকি রহিমাহুল্লাহ। তাঁদের বইপত্র পড়েন ও লেকচার শুনেন। তিনি দ্বীনের খেদমতে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত, পাশাপাশি খুব মেধাবীও।
আমার প্রশ্ন হলো—
– এমন একজন আদর্শ মেয়ে যদি দেখতে কিছুটা অসুন্দর হয়, তবুও কি শুধু দ্বীনের কারণে তাঁকে বিয়ে করা যায়?
– এই মেয়ের বাড়ি দূরে হওয়ায় মা–বাবা শুরুতে রাজি ছিলেন না, কিন্তু আমি জোর করে তাঁদের রাজি করিয়েছি। তারা দ্বীনের ব্যাপারে খুব সচেতন নন। আমার এ সিদ্ধান্ত কি ঠিক হয়েছে?
-আবু মুহাম্মদ
উত্তর: হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: “تُنْكَحُ المَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ: لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ، تَرِبَتْ يَدَاكَ “. -رواه البخاري (5090) ومسلم (1466)
“আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে নারীকে বিবাহ করা হয়; তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। তবে দ্বীনদারীকেই প্রাধান্য দিও, তুমি লাভবান হবে।” –সহীহ বুখারী: ৫০৯০; সহীহ মুসলিম: ১৪৬৬।
সুতরাং আপনি যেহেতু দ্বীনদার পাত্রী পেয়েছেন, তাকে অগ্রাধিকার দিন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে তাকে বিয়ে করুন, আপনি ভাগ্যবান হবেন ইনশাআল্লাহ। বাহ্যিক সৌন্দর্য একটু কম হলেও সমস্যা নেই। আসল সৌন্দর্য তো ভেতরের সৌন্দর্য। বাস্তবেই যদি কেউ দ্বীনদার হয় এবং উন্নত আখলাক চরিত্রের অধিকারী হয়, তার আখলাক ও দ্বীনদারী বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা খুব সহসাই ভুলিয়ে দিতে পারে। আর মা-বাবার আগ্রহ কিছুটা কম থাকলেও দ্বীনদার পাত্রী ঘরে আসলে আশা করি এক সময় তারাও সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৭-০১-১৪৪৭ হি.
০৩-০৭-২০২৫ ঈ.