জিহাদ-কিতাল:ফাতওয়া  নং  ১৬৬

নাফিরে আমের সময় বড় আলেমদের ওপরও কি জিহাদ ফরজে আইন হয়?

নাফিরে আমের সময় বড় আলেমদের ওপরও কি জিহাদ ফরজে আইন হয়?

নাফিরে আমের সময় বড় আলেমদের ওপরও কি জিহাদ ফরজে আইন হয়?

পিডিএফ ডাউলোড করুন

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:  

নাফিরে আমের সময় জিহাদ যখন ফরজে আইন হয়ে যায়, তখন আলেমদের ওপরও কি জিহাদে বের হওয়া ফরজ হয়ে যায়? একজন আলেম থেকে শুনলাম, ‘বড় আলেমদের জন্য জিহাদে বের হওয়া ফরজ নয় এবং একথা নাকি ‘আদ্দুররুল মুখতার’ কিতাবে আছে’।

এখন জানার বিষয় হল, তাঁর এ বক্তব্য কি সঠিক? আসলেই কি সেখানে এমন কথা আছে?

নিবেদক

হাবিব আহসান

চট্টগ্রাম

 

উত্তর:

الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله أما بعد

নফিরে আম তথা শত্রুর আক্রমণ বা অন্য কোনো কারণে ব্যাপকভাবে যখন সকলের ওপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়, তখন বড় আলেমের ওপর জিহাদ ফরজে আইন হয় না, এমন কোনো কথা ‘আদ্দুররুল মুখতারে’ নেই। বরং ‘আদ্দুররুল মুখতারে’ আছে, সকলের ওপরই ফরজে আইন হয়ে যায়। আমরা ‘আদদুররুল মুখতারে’র বক্তব্যটি ব্যাখ্যাসহ আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। তার আগে ‘তানবিরুল আবসারে’র বক্তব্যটি দেখা জরুরি। কারণ, ‘আদদুরুল মুখতার’ হচ্ছে ‘তানবিরুল আবসারে’র ব্যাখ্যাগ্রন্থ। ‘তানবিরুল আবসারে’র পূর্ণ নাম ‘তানবিরুল আবসার ও জামিউল বিহার’। এটি ফিকহে হানাফির একটি মৌলিক কিতাব, যার রচয়িতা মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আলখতীব তুমুরতাশি রহ. (মৃত্যু ১০০৪ হি.)।

‘তানবিরুল আবসারে’র ব্যাখ্যাগ্রন্থ হচ্ছে ‘আদ্দুররুল মুখতার’ (যার উদ্ধৃতি তিনি আপনাকে দিয়েছেন)। ‘আদ্দুররুল মুখতারে’র রচয়িতা আলাউদ্দীন হাসকাফি রহ. (মৃত্যু ১০৮৮ হি.)। ‘আদ্দুররুল মুখতারে’র ব্যাখ্যাগ্রন্থ হল, ‘রদ্দুল মুহতার’। এর রচয়িতা মুহাম্মাদ আমিন ইবনে উমর ইবনে আব্দুল আযিয আশশামী রহ. (মৃত্যু ১২৫২ হি.)। যিনি আল্লামা শামী ও ইবনে আবিদীন হিসেবে প্রসিদ্ধ এবং তাঁর এই কিতাবটিই আমাদের মাঝে ‘ফতোয়া শামী’ নামে প্রসিদ্ধ।

এবার আমরা প্রথমে ‘তানবিরুল আবসারে’র বক্তব্যটি লক্ষ করি। গ্রন্থকার জিহাদের আভিধানিক ও পারিভাষিক ব্যাখ্যা প্রদানের পর বলেন,

هو فرض كفاية ابتداء إن قام به البعض سقط عن الكل وإلا أثموا بتركه لا على صبي وعبد وامرأة وأعمى ومقعد وأقطع ومديون بغير إذن غريمه وعالم ليس في البلدة أفقه منه وفرض عين إن هجم العدو فيخرج الكل ولو بلا إذن. تنوير الأبصار مع الدر، ج: 4، ص: 122-126

“(কাফেরদের সঙ্গে) আক্রমণাত্মক জিহাদ ফরজে কেফায়া। কিছু লোক আদায় করলে সকলের দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। অন্যথায় সবাই গোনাহগার হবে। তবে শিশু, গোলাম, নারী, অন্ধ, প্রতিবন্ধী ও অঙ্গহীনের ওপর উক্ত দায় বর্তাবে না। একইভাবে যে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে তার পাওনাদার জিহাদে যাওয়ার অনুমতি দিবে না এবং এমন আলেম, যার চেয়ে বড় আলেম শহরে আরেকজন নেই। আর যদি দুশমন আক্রমণ করে, তাহলে জিহাদ ফরজে আইন। সুতরাং তখন সবাইকে বের হতে হবে, যদিও অনুমতি না পাওয়া যায়।”

এখানে তিনি পরিষ্কার বলেছেন, বড় আলেমের এই বিধানটি ফরজে কেফায়ার ক্ষেত্রে। পক্ষান্তরে দুশমনের আক্রমণের কারণে যখন জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়, তখন সবাইকে বের হতে হবে। এমনকি সন্তান পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া, দেনাদার পাওনাদারের অনুমতি ছাড়া এবং গোলাম তার মনিবের অনুমতি ছাড়াই বের হয়ে যাবে।

‘তানবিরুল আবসারে’র উক্ত বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ‘আদ্দুররুল মুখতারে’র বক্তব্য দেখুন,

(هو فرض كفاية) كل ما فرض لغيره فهو فرض كفاية إذا حصل المقصود بالبعض، وإلا ففرض عين ولعله قدم الكفاية لكثرته (ابتداء) وإن لم يبدءونا وأما قوله تعالى: – {فإن قاتلوكم فاقتلوهم} [البقرة: 191] وتحريمه في الأشهر الحرم فمنسوخ بالعمومات ك {فاقتلوا المشركين حيث وجدتموهم} [التوبة: 5] (إن قام به البعض) ولو عبيدا أو نساء (سقط عن الكل وإلا) يقم به أحد في زمن ما (أثموا بتركه) أي أثم الكل من المكلفين، وإياك أن تتوهم أن فرضيته تسقط عن أهل الهند بقيام أهل الروم مثلا بل يفرض على الأقرب فالأقرب من العدو إلى أن تقع الكفاية فلو لم تقع إلا بكل الناس فرض عينا كصلاة وصوم ومثله الجنازة والتجهيز وتمامه في الدرر (وعالم ليس في البلدة أفقه منه) فليس له الغزو خوف ضياعهم سراجية، وعمم في البزازية السفر، ولا يخفى أن المقيد يفيد غيره بالأولى

(وفرض عين إن هجم العدو فيخرج الكل ولو بلا إذن) ويأثم الزوج ونحوه بالمنع ذخيرة

উপরোক্ত বক্তব্যের রেখাযুক্ত অংশটি লক্ষ করুন। জিহাদ যখন ফরজে কেফায়া, তখনকার সম্পর্কে বলা হয়েছে,

“ফরজে কেফায়া জিহাদ যদি সকলের অংশগ্রহণ ব্যতীত আদায় না হয়, তাহলে তা সকলের ওপর ফরজে আইন হয়ে যায়। যেমন ফরজে আইন নামায, রোযা ফরজে আইন। মৃতের জানাযা ও কাফন দাফনও অনুরূপ। এমনিভাবে (ফরজে কেফায়া জিহাদে) এমন ফকিহ আলেমও বের হবেন না, যার সমপর্যায়ের আলেম শহরে আর নেই। সিরাজিয়্যাহ কিতাবে বলা হয়েছে, তাতে (বিজ্ঞ আলেম না থাকলে) তাদের (সমাজের মানুষের) ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা আছে। বাযযাযিয়াহ কিতাবে আরো ব্যাপক করে বলা হয়েছে, এমন আলেম সফরেও বের হবেন না।”

বিষয়টি ইবনে আবেদীন শামি রহ.ও পরিষ্কার করে দিয়েছেন। ‘তানবিরুল আবসার’ ও ‘দুররে মুখতারে’র উপরোক্ত বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন,

وأما السفر لحج الفرض أو الغزو إذا هجم العدو، فهو غير مراد قطعا. اهـ

“অবশ্য ফরজ হজ্বের সফর বা শত্রু আক্রমণ করলে যুদ্ধের সফরে বের হওয়ার বিষয়টি কিছুতেই উক্ত নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়।” –রদ্দুল মুহতার; খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১২৬

তিনি আরও বলেন,

وظاهر التعليل بخوف ضياعهم جواز خروجه لو كان في البلدة من يساويه. اهـ

“বের হতে নিষেধাজ্ঞার কারণ বলা হয়েছে যে, এতে জনসাধারণ ধ্বংসে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ থেকে বুঝা যায়, শহরে যদি তার সম পর্যায়ের অন্য কেউ থাকে, তাহলে তিনি বের হতে পারবেন।” –রদ্দুল মুহতার; খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১২৬

‘তানবিরুল আবসারে’র গ্রন্থকার ‘কিতাবুল খুনছা’য় প্রায় একই ইবারতে মাসআলাটি পুনর্বার উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,

فقيه في بلدة ليس فيها غيره أفقه منه يريد أن يغزو؛ ليس له ذلك. اهـ

“এমন ফকীহ, যার চেয়ে বড় ফকীহ শহরে দ্বিতীয় আরেকজন নেই, তিনি যুদ্ধে যেতে চাইলে তার জন্য এর অনুমতি নেই।”

–তানবিরুল আবসার (আদদুররুল মুখতার ও রদ্দুল মুহতারের সঙ্গে মুদ্রিত); খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৭৫৭

উক্ত বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ইবনে আবিদীন শামী রহ. বলেন,

هذا في غير الجهاد المتعين. اهـ

“এ বিধান হল, যখন জিহাদ ফরযে আইন নয় তখন।” -রদ্দুল মুহতার; খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৭৫৭

ওপরের আলোচনা থেকে আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে যে, ‘দুররে মুখতারে’ যে বলা হয়েছে, বড় আলেম জিহাদে বের হবে না, সেটি হল যখন জিহাদ ফরজে কেফায়া তখন।

তাও সকল আলেমের জন্য নয়; বরং এমন আলেমের জন্য, যার বিকল্প নেই এবং যিনি জিহাদে চলে গেলে এমন কোনো আলেম পাওয়া যাবে না, যিনি মুসলমানদের দ্বীনি প্রয়োজন পূরণে সক্ষম। সুতরাং যে আলেমদের অবস্থান এই পর্যায়ের নয়, তারা সবসময়ই জিাহাদে বের হতে পারবে। আর যদি ফরজে আইন হয়ে যায়, তখন ছোট বড় সকল আলেমকেই বের হতে হবে এবং জিহাদে বের হওয়া তখন তাদের ওপর নামায রোযার মতোই ফরজ হয়ে যায়। নামায রোযা ত্যাগ করার সুযোগ যেমন বড় থেকে বড় আলেমদের জন্যও নেই, তেমনি প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ ত্যাগ করার সুযোগও তাদের নেই।

তাছাড়া নাফিরে আমের ক্ষেত্রে যখন জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়, তখন যে আলেম-সাধারণ সকলকেই জিহাদে বের হতে হয়, এটি একটি ‘মুজমা আলাইহি’ তথা ঐকমত্যপূর্ণ মাসআলা। এতে কারো দ্বিমত নেই। একারণে বিষয়টি প্রায় ফিকহের সব কিতাবেই আছে। নাফিরে আমের বেলায় তারা নিঃশর্তভাবে বলেছেন যে, সকল সক্ষম মুসলমানকে জিহাদে বের হতে হবে। আলেম-সাধারণের মাঝে কোন পার্থক্য করেননি। উদাহরণ হিসেবে আমরা নিম্নে কয়েকটি বক্তব্য তুলে ধরছি,

এক. আলাউদ্দীন কাসানী রহ: (৫৮৭ হি.)

فأما إذا عم النفير بأن هجم العدو على بلد، فهو فرض عين يفترض على كل واحد من آحاد المسلمين ممن هو قادر عليه؛ لقوله سبحانه وتعالى {انفروا خفافا وثقالا} قيل: نزلت في النفير. اهـ 

“যদি নাফিরে আম হয়ে যায়; অর্থাৎ কোনো এলাকায় শত্রুরা আক্রমন চালায়, তখন জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। এই ফরজ প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের ওপর বর্তায়। এর প্রমাণ আল্লাহ তায়ালার বাণী, ‘তোমরা হালকা-ভারী উভয় অবস্থায় জিহাদে বের হও।’ কেউ কেউ বলেছেন, আয়াতটি নাফিরে আম সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে।” -বাদায়িউস সানায়ি’: ৭/৯৮

দুই. ইমাম কুরতুবী রহ. (৬৭১হি.),

وقد تكون حالة يجب فيها نفير الكل، وهي: الرابعة- وذلك إذا تعين الجهاد بغلبة العدو على قطر من الأقطار، أو بحلوله بالعقر، فإذا كان ذلك وجب على جميع أهل تلك الدار أن ينفروا ويخرجوا إليه خفافا وثقالا، شبابا وشيوخا، كل على قدر طاقته، من كان له أب بغير إذنه ومن لا أب له، ولا يتخلف أحد يقدر على الخروج، من مقاتل أو مكثر. فإن عجز أهل تلك البلدة عن القيام بعدو هم كان على من قاربهم وجاور هم أن يخرجوا على حسب ما لزم أهل تلك البلدة، حتى يعلموا أن فيهم طاقة على القيام بهم ومدافعتهم. وكذلك كل من علم بضعفهم عن عدو هم وعلم أنه يدركهم ويمكنه غياثهم لزمه أيضا الخروج إليهم … ولا خلاف في هذا. اهـ

“কোনো কোনো অবস্থায় সকলের ওপরই জিহাদে বের হওয়া ফরজ হয়ে যায়। চতুর্থ মাসআলায় এটাই বর্ণনা করা উদ্দেশ্য। উক্ত অবস্থা হল, যখন কোনো (মুসলিম) ভূখণ্ডে শত্রু দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলার কারণে বা কোনো ভূখণ্ডে শত্রু ঢুকে পড়ার কারণে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়, তখন উক্ত ভূখণ্ডের হালকা-ভারী, যুবক-বৃদ্ধ সকল অধিবাসীর ওপর শত্রুর মোকবেলায় জিহাদে বেরিয়ে পড়া ফরজ। প্রত্যেকে নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী শত্রু প্রতিহত করবে। যার পিতা নেই সে তো যাবেই, যার পিতা আছে সেও পিতার অনুমতি ছাড়াই বেরিয়ে পড়বে। যুদ্ধ করতে সক্ষম কিংবা (অন্তত মুজাহিদদের) সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম, এমন কেউ বসে থাকবে না। ওই অঞ্চলের অধিবাসীরা যদি শত্রু প্রতিহত করতে অক্ষম হয়, তাহলে উক্ত ভূখণ্ডের অধিবাসীদের মতো তাদের নিকটবর্তী প্রতিবেশীদের ওপরও আবশ্যক- জিহাদে বের হয়ে পড়া; যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারবে যে, এখন তাদের শত্রু প্রতিহত করার এবং তাদেরকে বিতাড়িত করার সামর্থ্য অর্জিত হয়েছে। তেমনিভাবে যে-ই জানতে পারবে যে, তারা শত্রু প্রতিহত করতে অক্ষম এবং সে বুঝতে পারবে- আমি তাদের কাছে পৌঁছতে এবং তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম; তার ওপরই আবশ্যক সাহায্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। … এ বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই।” -তাফসীরে কুরতুবী: ৮/১৫১-১৫২

তিন. ইমাম নববী রহ. (৬৭৬ হি.)

والجهاد فرض عين على كل مسلم إذا انتهكت حرمة المسلمين في أي بلد فيه لا إله إلا الله محمد رسول الله… لقول الله تعالى (انفروا خفافا وثقالا). اهـ

“যে অঞ্চলে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ বিদ্যমান, তাতে যদি মুসলমানদের সম্মানহানী করা হয়, তাহলে প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়। … কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা হালকা-ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হও’।” –আলমাজমু; খণ্ড ১৯, পৃষ্ঠা ২৬৯

অবশ্য সকলের ওপর জিহাদ ফরজ হওয়ার অর্থ এ নয় যে, সকলকেই অস্ত্র ধারণ করে জিহাদে অংশ গ্রহণ করতে হবে। বরং উদ্দেশ্য হল, জিহাদ যেহেতু সম্মিলিত কাজ, এজন্য সকলকেই জিহাদের জন্য নিজেকে জিহাদের নেতৃবৃন্দের হাতে সোপর্দ করে দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ জিহাদকে সফলতায় পৌঁছানোর জন্য যাকে যে কাজ দেবে, তাকে সেই কাজই করতে হবে। এখন তারা যদি কোনো আলেমের ব্যাপারে মনে করেন, তাঁকে জিহাদের ইলমি দিকনির্দেশনার জন্য রাখা জরুরি, ময়দানে নেওয়া সঙ্গত নয়, তাহলে তা-ই হবে তার দায়িত্ব এবং এটিই হবে তার জন্য জিহাদ। ঠিক যেমন কোনো অস্ত্র বিশেষজ্ঞ সম্পর্কে যদি নেতৃবৃন্দ মনে করেন, তাঁকে ময়দানে না নিয়ে অস্ত্র তৈরির কাজে লাগিয়ে রাখা মুসলমানদের জন্য লাভজনক, তাহলে যেমন সেই কাজে থাকাই তার কর্তব্য এবং সেটাই তার জন্য জিহাদ, আলেমের ব্যাপারটিও এমনই।

فقط، والله أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২৪-০৮-১৪৪২ হি.

০৭-০৪-২০২১ ইং

আরও পড়ুন

জিহাদের ট্রেনিং নেয়া কি ফরজে আইন?

বর্তমানে কী কী কারণে জিহাদ ফরযে আইন?

আক্রান্ত মুসলিম দেশের পার্শ্ববর্তী দেশের ওপর কখন জিহাদ করা ফরযে আইন হয়?

Related Articles

Back to top button