জিহাদ-কিতাল:ফাতওয়া  নং  ৪৭৪

বিয়ে, না জিহাদ কোনটি অগ্রাধিকারযোগ্য?

বিয়ে, না জিহাদ কোনটি অগ্রাধিকারযোগ্য?

বিয়ে, না জিহাদ কোনটি অগ্রাধিকারযোগ্য?

বিয়ে, না জিহাদ কোনটি অগ্রাধিকারযোগ্য?

প্রশ্নঃ

কারো উপর যদি বিয়ে ফরয হয় আবার জিহাদও ফরয হয়, সে ক্ষেত্রে সে কোনটা আগে করবে? জিহাদের জন্য ফরয বিয়ে না করলে কি গুনাহ হবে? যদিও বর্তমানে আমরা সরাসরি ময়দানে নেই এবং ময়দানে কবে যাওয়া যাবে তাও জানা নেই।

-হাবিব

উত্তরঃ  

যখন বিয়ে করার সামর্থ্য থাকে এবং বিয়ে না করলে গুনাহ থেকে বাঁচা সম্ভবপর না হয়, তখন বিয়ে করা ফরয হয়ে যায়। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

يا معشر الشباب، من استطاع منكم الباءة فليتزوج، فإنه أغض للبصر، وأحصن للفرج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم، فإنه له وجاء. -صحيح البخاري (1905) صحيح مسلم (1400(

“হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা বিয়ে চোখকে অবনত রাখতে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাযত করতে সর্বাধিক কার্যকর। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোযা রাখতে থাকে। রোযা তার প্রবৃত্তিকে দমন করবে।” -সহীহ বুখারী: ১৯০৫; সহীহ মুসলিম: ১৪০০

আর বিশেষ জরুরি অবস্থা ছাড়া স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ের সঙ্গে জিহাদের ফরয আদায়ের কোনো বৈপরীত্য নেই। বিশেষ কোনো কারণ না থাকলে শরীয়তের প্রতিটি বিধানের ওপরই স্বাভাবিক গতিতে আমল করার চেষ্টা করা জরুরি।

বর্তমানে বিশ্বের যে পরিস্থিতি, তাতে জিহাদের ময়দানে কবে যেতে পারেন অথবা আদৌ যেতে পারেন কি না, না শুধু প্রস্তুতির কাজগুলোতেই আরও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে হয়, সবই অস্পষ্ট। এমন একটি অস্পষ্ট বিষয়ের উপর বিয়ে ঝুলিয়ে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

সুতরাং বিয়ের সামর্থ্য থাকলে আপনার কর্তব্য হলো দীনদারী দেখে কাউকে বিয়ে করার চেষ্টা করা।

 

উল্লেখ্য, বর্তমানে জিহাদের ভূমিতে হিজরতের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে কোনো দুষ্টচক্রের হাতে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে যথেষ্ট। তাছাড়া বর্তমান বৈশ্বিক জিহাদের আমীরগণ এদেশের মুসলিমদেরকে আমভাবে এখানেই কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে নির্ভরযোগ্য কোনো জামাআত কিংবা নির্ভরযোগ্য অন্য কোনো সূত্র না পেলে ব্যক্তিগতভাবে ময়দানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের খুবই সতর্ক থাকা জরুরি। বাস্তবে কোনো রণাঙ্গনে আপনার আমার প্রয়োজন হলে, সেটাও আমীরদের নির্দেশে হওয়া জরুরি।

এ বিষয়ে আরও জানতে নিম্মোক্ত ফাতওয়াগুলো দেখুন,

ফাতওয়া: ২৮২- বিয়ে কি জিহাদের জন্য প্রতিবন্ধক?

ফাতওয়া: ৩৮- জিহাদের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার হুকুম কী?

ফাতওয়া: ১১৫- বৃদ্ধ মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তান রেখে অন্যত্র হিজরত করার কী হুকুম?

ফাতওয়া: ৩৬১- বিয়ে করলে জিহাদ থেকে সরে পড়ার আশঙ্কা হলে করণীয় কী?

ফাতওয়া: ৪৪৭- বিয়ের পর সন্তান না নেওয়ার বিধান

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৬-১২-১৪৪৫ হি.

২৩-০৬-২০২৪ ঈ.

Related Articles

Back to top button