বিবিধফাতওয়া  নং  ৪৪৭

বিয়ের পর সন্তান না নেওয়ার বিধান

বিয়ের পর সন্তান না নেওয়ার বিধান

বিয়ের পর সন্তান না নেওয়ার বিধান

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্নঃ

প্রায় দুই বছর হল বিয়ে করেছি। এখনও লেখাপড়া করছি। পরিবারের লোকজন এখন সন্তান না নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু আমি ও আমার স্ত্রী সন্তান নিতে আগ্রহী। আরেকটি বিষয়, আমি একটি জিহাদি জামাতের সাথে যুক্ত আছি, তাই ভয় পাচ্ছি, সন্তান হলে না জানি ভীরু-কাপুরুষ হয়ে যাই। এ অবস্থায় আমি কী করতে পারি?

-আবু কাবশাহ

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد.

ইসলাম অধিক সন্তান গ্রহণের উৎসাহ দেয়। হাদীসে অধিক সন্তান জন্মদানকারী নারীকে বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। হাদীসে এসেছে,

 

عن مَعْقِلِ بنِ يسارٍ، قال: جاء رجل إلى النبيٌ – صلَّى الله عليه وسلم – فقال: إني أصبتُ امرأةً ذاتَ حَسَبٍ وجَمَالٍ، وأنها لا تَلِدُ، أفاتزوجُها؟ قال: ” لا” ثم أتاهُ الثانيةَ فنهاه، ثم أتاه الثالثةَ، فقال: “تزوجوا الوَدُودَ الوَلُودَ فإني مكاثِرٌ بِكُمُ الأمم.” – أخرجه الإمام ابو داود: 2050 وللفظ له، والنسائي: 3227 و صححه الحافظ ابن حجر العسقلاني في فتح الباري: 9/111 ط. دار المعرفة. وقال الشيخ شعيب الأرنؤوط رحمه الله تعالى: إسناده قوي. مستلم بن سعيد صدوق لا بأس به.اهــــــ. -سنن أبي داود: 3/395 ط. دار الرسالة العالمية.

“মাকিল বিন ইয়াসার রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলো, আমি অভিজাত বংশের এক সুন্দরী রমণীর সন্ধান পেয়েছি, কিন্তু সে সন্তান প্রসব করে না (বন্ধ্যা)। আমি কি তাকে বিয়ে করবো? তিনি বললেন, না। অতঃপর সে ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এসে জিজ্ঞাসা করলে তখনও নিষেধ করলেন। তৃতীয়বার আসলে বললেন, তোমরা প্রেমময়ী ও অধিক সন্তান প্রসবকারী নারীদের বিয়ে করো। কেননা আমি (কিয়ামতের দিন) তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে (পূর্ববর্তী উম্মতের উপর) গর্ব করবো।” -সুনানে আবু দাউদ: ৩/৩৯৫ হাদীস নং: ২০৫০ (দারুর রিসালাতিল আলামিয়্যাহ)

এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম হুসাইন ইবনে মাহমুদ মুজহিরুদ্দীন যায়দানী রহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৭২৭ হিজরী) বলেন,

هذا الحديثُ صريحٌ بتأكيدِ استحباب التزوُّج، وفضيلةِ امرأةٍ وَلُودٍ على غيرها، وفضلِ كثرةِ أولاد الرجل والمرأة، وكثرةِ ثوابهما وهذا أفضل طاعة؛ لأنَّ مَن حصل منه أولادٌ فقد حصَّلَ مرادَ النبيِّ – صلى الله عليه وسلم -، وتحصيلُ مراد النبيِّ – صلى الله عليه وسلم – أفضلُ القُرَب، وفي تكثير الأولاد تكثيرُ عِباد الله، ولا شكَّ أنَّ تكثيرَ مَن يُطيع الله من أفضل القُرَب. اهــــــ. – المفاتيح في شرح المصابيح: 4/15 ط. دار النوادر

“এই হাদীসটি স্পষ্টভাবে যে বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করছে তা হচ্ছে, বিবাহ করা মুস্তাহাব, অধিক সন্তান ধারণে সক্ষম নারী অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ। স্বামী-স্ত্রীর জন্য অধিক সন্তান গ্রহণ একটি ফযীলতপূর্ণ আমল এবং এর কারণে তারা উভয়েই অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবে। আর এটা উত্তম ইবাদতও। কেননা যার অনেক সন্তান হলো, সে তো নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইচ্ছা পূরণ করলো। আর নবীজীর ইচ্ছা পূরণ করা উত্তম ও সাওয়াবের কাজ। তাছাড়া অধিক সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে আল্লাহর বান্দা বৃদ্ধি পাবে। নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহর ইবাদত করবে, তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা শ্রেষ্ঠতর ইবাদতসমূহের অন্তর্ভুক্ত।” -আল মাফাতীহ শরহুল মাসাবীহ: ৪/১৫

সুতরাং আপনি সন্তান লাভের চেষ্টা করুন এবং আল্লাহ তাআলার কাছে নেক সন্তানের জন্য দোয়া করতে থাকুন। পরিবারের অযৌক্তিক কথা কানে নেবেন না।

সন্তানের জনক হলেই কেউ কাপুরুষ হয়ে যায় না। পৃথিবীর ইতিহাসে যাদের বীরত্ব প্রতিষ্ঠিত, তারাও সন্তানের জনক ছিলেন। সন্তান তাদেরকে কাপুরুষ বানায়নি।

তবে একথা ঠিক যে, কুরআনের ভাষায় সন্তান হচ্ছে মানুষের জন্য ফিতনা তথা পরীক্ষার বস্তু। আল্লাহ অন্যান্য নেয়ামতের মতো সন্তানের নেয়ামত দিয়েও বান্দার পরীক্ষা নেন। আল্লাহ দেখেন, বান্দা সন্তানের ভালোবাসা উপেক্ষা করেও আল্লাহর বিধানের উপর থাকে কি না?

বলার অপেক্ষা রাখে না, ফেল করা থেকে বাঁচার জন্য পরীক্ষা বর্জন করাই কাপুরুষতা। পক্ষান্তরে ভয় উপেক্ষা করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করার নাম বীরত্ব। তেমনি সন্তান গ্রহণ না করা বীরত্ব নয়; বরং সন্তান গ্রহণ করেও দীন ও জিহাদের পথে অবিচল থাকা হচ্ছে বীরত্ব।

হাদীসের উদ্দেশ্য হলো এবিষয়ে সতর্ক করা। সন্তানের কারণে বাবার ভীরু, কাপুরুষ ও কৃপণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই হাদীসে বাবাকে সতর্ক করা হয়েছে, সন্তানের ভালোবাসা যেন তোমারদেরকে ভীরু-কাপুরুষ বানাতে না পারে। ফরয দায়িত্বের সামনে যেন তারা বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে। সন্তান-গ্রহণে অনুৎসাহী করা আদৌ হাদীসের উদ্দেশ্য নয়। হাদীস ও হাদীসের ব্যাখ্যাগুলো লক্ষ করুন:

হাদীসে এসেছে,

عَنْ يَعْلَى الْعَامِرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ يَسْعَيَانِ إِلَى النَّبِيِّ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -، فَضَمَّهُمَا إِلَيْهِ، وَقَالَ: “إِنَّ الْوَلَدَ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ”. أخرجه الإمام ابن ماجه: 3666 و اللفظ له، والإمام أحمد: 17562 وقال الهيثمي رحمه الله تعالى: رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَالطَّبَرَانِيُّ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: ” «آخِرُ وَطْأَةٍ وَطِئَهَا رَبُّ الْعَالَمِينَ» “. وَرِجَالُهُمَا ثِقَاتٌ. اهـــ. –مجمع الزوائد: 10/54 ط. مكتبة القدسي، القاهرة. و قال الشيخ شعيب الأرنؤوط رحمه الله تعالى في تعليقه على سنن ابن ماجه: حسن لغيره، وهذا إسناد ضعيف لجهالة سعيد بن أبي راشد.

قال العلامة علي القاري رحمه الله تعالى: (مبخلة) : بفتح الميم وسكون الموحدة أي: مسبب ومحصل للبخل، ففي النهاية: المبخلة مفعلة من البخل ومظنة له أي: يحمل أبويه على البخل، ويدعوهما إليه فيبخلان بالمال لأجله (مجبنة) : بفتح ميم وسكون جيم وفتح موحدة أي: باعث على الجبن. اهــــــ – مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح: 7/ 2970 ط. دار الفكر، بيروت – لبنان.

“ইয়ালা আল-আমেরী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাসান ও হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহুমা দৌড়াতে দৌড়াতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলেন। তিনি তাঁদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন, সন্তান মানুষের কৃপণতা ও কাপুরুষতার কারণ।” -সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৬৬৬, মুসনাদে আহমাদ: ১৭৫৬২

অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে,

خَوْلَةُ بِنْتُ حَكِيمٍ قَالَتْ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ وَهُوَ مُحْتَضِنٌ أَحَدَ ابْنَيْ ابْنَتِهِ وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّكُمْ لَتُبَخِّلُونَ وَتُجَبِّنُونَ وَتُجَهِّلُونَ، وَإِنَّكُمْ لَمِنْ رَيْحَانِ اللَّهِ. –سنن الترمذي: 1910 قال الإمام الترمذي رحمه الله تعالى: وفي الباب عن ابن عمر، والأشعث بن قيس: حديث ابن عيينة، عن إبراهيم بن ميسرة لا نعرفه إلا من حديثه، ولا نعرف لعمر بن عبد العزيز سماعا من خولة. اهــــــ –سنن الترمذي: 4/317 ط. مطبعة مصطفى البابي الحلبي – مصر.

“খাওলা বিনতে হাকীম রাযিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দৌহিত্রের একজনকে কোলে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে এলেন। তিনি তখন বলছিলেন, তোমরা কৃপণতা, ভীরুতা ও অজ্ঞতার কারণ হও। তবে তোমরা তো হলে আল্লাহর সুগন্ধময় ফুল।” –সুনানে তিরমিযী: ১৯১০

এ হাদীসের ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী কারী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

وقوله: وإنهم لمن ريحان الله من باب الرجوع؛ ذمهم أولا ثم رجع منه إلى المدح، قلت: بل نبه أولا على ما قد يترتب على وجودهم من الأمور المذمومة احتراسا عنها، ثم مدحهم بأنهم مع ذلك راحة للروح، وبيان للرزق والفتوح، … ولذا قيل: الولد إن عاش نفع، وإن مات شفع. اهــــــ. -مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح: 7/ 2970 ط. دار الفكر، بيروت – لبنان

“এবং এরা হলো আল্লাহর সুগন্ধময় ফুল- এ কথা বলে তিনি পূর্বের বক্তব্য থেকে ফিরে এসেছেন; প্রথমে তাদের (সন্তানদের) নিন্দা করেছেন। এরপর নিন্দা তুলে নিয়ে তাদের প্রশংসা করেছেন।

আমি বলি, বরং তিনি প্রথমে সন্তানের কারণে (বাবা-মার পক্ষ থেকে) যে নিন্দনীয় কাজগুলো হয়ে থাকে সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, যেন তারা তা থেকে বেঁচে থাকতে পারে। এরপর তাদের প্রশংসা করেছেন- তারা আত্মার প্রশান্তি, রিযিক ও বরকতের কারণ, … এজন্য বলা হয়ে থাকে, সন্তান বেঁচে থাকলে উপকার করে আর মরে গেলে সুপারিশ করে।” -মিরকাতুল মাফাতীহ: ৭/২৯৭০

আল্লামা মুনাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

(وإنه مجبنة مبخلة محزنة) أي يجبن أباه عن الجهاد خشية ضيعته وعن الإنفاق في الطاعة خوف فقره فكأنه أشار إلى التحذير من النكول عن الجهاد والنفقة بسبب الأولاد بل يكتفى بحسن خلافة الله فيقدم ولا يحجم … فالكامل لا يطلب الولد إلا لله فيربيه على طاعته ويمتثل فيه أمر ربه {ربنا هب لنا من أزواجنا وذرياتنا قرة أعين}.اهـــــ. -فيض القدير: 6/378 ط. المكتبة التجارية الكبرى – مصر

“নিশ্চয় সন্তান ভীরুতা, কৃপণতা এবং দুশ্চিন্তার কারণ। এর অর্থ হচ্ছে, সন্তান হারানোর ভয় তার বাবাকে জিহাদে যেতে দেয় না। সন্তানের দারিদ্র্যের ভয় বাবাকে আল্লাহর পথে দান করা থেকে বিরত রাখে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্তানের কারণে জিহাদ ও সাদাকা থেকে দূরে সরে পড়ার ব্যাপারে সতর্ক করলেন। তাই বাবা যেন আল্লাহর উত্তম প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে পূর্ণ আস্থাশীল হয়ে (জিহাদে) বের হয়ে পড়ে এবং কোনো ধরনের হীনম্মন্যতার শিকার না হয়। … মুমিন ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই সন্তান গ্রহণ করবে। তাঁর নির্দেশিত পথেই তাকে লালন-পালন করবে এবং তাদের জন্য মহান রবের শিখিয়ে দেওয়া শব্দে দোয়া করবে-

{ربنا هب لنا من أزواجنا وذرياتنا قرة أعين}

“হে আমাদের রব! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন, যারা হবে আমাদের চোখের শীতলতা।” –ফয়জুল কাদীর: ৬/৩৭৮

আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

)مبخلة مجبنة مجهلة، وإنهم لمن ريحان الله)، أي: مع كونهم مظنة أن يحملوا الآباء على البخل والجبن عن الغزو، من ريحان الله، أي: رزقه وعطائه ورحمته.اهـــــ -لمعات التنقيح في شرح مشكاة المصابيح: 9/ 704 ط. دار النوادر، دمشق – سوريا.

“….সন্তান পিতাকে কৃপণ ও যুদ্ধ থেকে ভীরু বানিয়ে দিবে– এ আশংকা থাকার পরও তারা আল্লাহর সুগন্ধময় ফুল, আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক এবং তাঁরই বিশেষ দান ও দয়া।” -লামআতুত-তানকীহ: ৯/৭০৪

রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

قوله [وإنكم لمن ريحان الله] دفع لما أوهمه الكلام السابق من أنهم لما كان شأنهم ذلك فلا ينبغي أن يتوجه إليهم أحد بل ولا ينظر إليهم بمؤخرة عينية أيضًا، فقال إنكم من ريحانة الله، والريحانة محبوبة مشمومة تورث فرحًا في القلب وحبورًا وتوجب تسلية للكئيب وسرورًا فكذلك ينبغي أن يكون الرجل بأولاده الأدنين منهم والأقصين.اهــــــ. – الكوكب الدري على جامع الترمذي: 3/ 48 ط. مطبعة ندوة العلماء الهند.

“(তোমরা হলে আল্লাহ তাআলার ফুল)- একথা বলে পূর্বের কথা থেকে সৃষ্ট সংশয় দূর করা হয়েছে। প্রথম কথা থেকে মনে হয়, যেহেতু তারা এতসব অকল্যাণের কারণ, অতএব তাদের প্রতি কোনো ধরনের ভ্রূক্ষেপ করা কারো জন্য উচিত নয়, বরং আড়চোখেও দেখা উচিত না। তাই (এই সংশয় দূর করার জন্য) তিনি বলেছেন, তোমরা আল্লাহ তাআলার ফুল। আর ফুল (সকলের কাছেই) প্রিয়। তা সুবাস ছড়ায়। মনকে আনন্দিত ও উৎফুল্ল করে। বিষণ্ণ মনকে দেয় সান্ত্বনা ও প্রফুল্লতা। অতএব প্রত্যেকের উচিত তার ছোট বড় সকল সন্তানের সাথে ফুলের মতো আচরণ করা।” -আল কাউকাবুদ্দুররী: ৩/৪৮

فقط. والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

০৬-০৭-১৪৪৫ হি.

২০-০১-২০২৪ ঈ.

আরও পড়ুনঃ বিয়ের পূর্বে কৃত পাপের কথা কি পাত্রীকে জানানো জরুরি?

Related Articles

Back to top button