হাকেমিয়্যাহ (শরীয়াহ আইন ও মানবরচিত আইন):ফাতওয়া  নং  ৫০৬

তাগুতি আদালতে জামিনের আবেদনের বিধান

তাগুতি আদালতে জামিনের আবেদনের বিধান

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন: অন্যায়ভাবে মামলার শিকার হলে তাগুতি আদালতে জামিনের আবেদন করা যাবে কি? বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

-সালাহুউদ্দিন

 

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم

الجواب بإسم ملهم الصواب

নিজেকে জুলুম থেকে রক্ষা করার জন্য তাগুতি আইনে জামিনের আবেদন করা জায়েয। যখন শরীয়াহ বিচার ব্যবস্থা না থাকে, তখন যদি কেউ অনন্যোপায় হয়ে তার ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য বা জুলুম থেকে বাঁচার জন্য তাগুতি বিচার ব্যবস্থার শরণাপন্ন হয় এবং শরীয়াহ বিচারই যে উত্তম, তার উপর তার পূর্ণ বিশ্বাস থাকে, তাহলে তা কুফর নয়।

তাছাড়া জামিনের আবেদন করা বিচার চাওয়ার অন্তর্ভুক্তও নয়। কেননা বিচার চাওয়ার অর্থ হলো অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করা বা নিজেদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের সমাধান চাওয়া। পক্ষান্তরে জামিনের আবেদন করা হয় জুলুম থেকে নিষ্কৃতি লাভের উদ্দেশ্যে। আর কাফেরের নিকট জুলুম থেকে মুক্তি লাভের আবেদন করা শরীয়াহ পরিপন্থী নয়।

আল্লাহ তাআলা ইউসুফ আলাইহিস সালামের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ইরশাদ করেন,

وقَالَ لِلَّذِي ظَنَّ أَنَّهُ نَاجٍ مِنْهُمَا اذْكُرْنِي عِنْدَ رَبِّكَ فَأَنْسَاهُ الشَّيْطَانُ ذِكْرَ رَبِّهِ فَلَبِثَ فِي السِّجْنِ بِضْعَ سِنِينَ. -سورة يوسف:42

 “সেই দুজনের মধ্যে যার সম্পর্কে তাঁর ধারণা ছিল যে, সে মুক্তি পাবে, তাকে তিনি বলে দিলেন, তোমার মনিবের কাছে আমার কথা বলো। কিন্তু শয়তান তাকে নিজ মনিবের নিকট ইউসুফের বিষয়ে আলোচনার কথা ভুলিয়ে দিল। ফলে তাঁকে আরও কয়েক বছর কারাগারে থাকতে হলো।” –ইউসুফ ১২: ৪২

উক্ত আয়াতের অধীনে আল্লামা জামালুদ্দিন কাসেমী রহিমাহুল্লাহ (১৩৩২হি.) বলেন,

دلت الآية على جواز الاستعانة بمن هو مظنة كشف الغمة، ولو مشركا. -محاسن التأويل:6\179 دار الكتب العلميه – بيروت  الطبعة: الأولى – 1418 هـ        

“আয়াতটি এমন ব্যক্তির নিকট সাহায্য চাওয়ার বৈধতা প্রমাণ করে, যার মাধ্যমে বিপদ মুক্তির আশা করা যায়, যদিও সে মুশরিক হয়।” -মাহাসিনুত তাবীল: ৬/১৭৯

আরও দেখুন ইমদাদুল ফাতাওয়া, কিতাবুল কাজা: ৭/৫২৫; কিতাবুন নাওয়াযিল, সালমান মানসরপুরী: ১২/৫৯-৬০

এ ব্যাপারে আরও জানতে সাইটে প্রকাশিত ১৯৩ নং ফতোয়াটি দেখুন।

নিরপরাধ কোনো মুসলিমকে মুক্ত করার জন্য তাগুতের কোর্টে কেইস লড়ার হুকুম কী?

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২৮-০৩-১৪৪৬ হি.

০২-১০-২০২৪ ঈ.

 

 

 

 

 

Related Articles

Back to top button