কাফফারা এর টাকা কি জিহাদের ফাণ্ডে দান করা যাবে?
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন:
আমার এক আত্মীয়া একবার রমযানে সাওম রাখার পর একটি সাওম ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। এখন যদিও তার কর্তব্য হলো, কাফফারা স্বরূপ ষাটটি সাওম রাখা, কিন্তু লাগাতার এত সাওম রাখার মতো হিম্মত না থাকায় তিনি চাচ্ছেন,আপাতত ষাট জন মিসকীনকে খাওয়ানোর পরিমাণ টাকা জিহাদের কোন খাতে/ফান্ডে দান করে দিতে। পরবর্তীতে আল্লাহ তাওফীক দিলে তিনি সাওমও রাখবেন। তো প্রশ্ন হলো, কাফফারার টাকা জিহাদের কোন খাতে/ফান্ডে দান করা জায়েয কি না এবং যদি জায়েয হয়ে থাকে তাহলে এর পদ্ধতি কি হতে পারে?
উত্তর:
সাওম ভাঙ্গার কাফফারা হলো, গোলাম আযাদ করা। গোলাম আযাদ করার সামর্থ্য না থাকলে, দুই মাস লাগাতার সাওম রাখা। তবে অতিবার্ধক্যের কারণে কিংবা যে অসুস্থতা থেকে আরোগ্যের আশা নেই,এমন অসুস্থতার কারণে যদি লাগাতার দুই মাস সাওম রাখতে না পারে, তাহলে ষাটজন প্রাপ্তবয়স্ক মিসকীনকে দুই বেলা ভরপেট খানা খাওয়ানো কিংবা ষাটজনের প্রত্যেককে এক ফিতরার সমপরিমাণ খাদ্য বা তার মূল্য প্রদান করা। এই ষাট সাওমের ফিদইয়া একজনকে দিতে চাইলে এক ফিতরা করে ষাট দিনে দিতে হবে। একই দিনে এক ব্যক্তিকে একাধিক ফিদইয়া দিলে তাতে একটি সাওমের ফিদইয়াই আদায় হবে।
উক্ত কাফফারার টাকা জিহাদে দান করা যাবে না। কারণ কাফফারার খাত হচ্ছে গরীব ব্যক্তি। হ্যাঁ,কাফফারার উপর্যুক্ত নিয়ম অনুযায়ী জিহাদরত এক বা একাধিক গরীব মুজাহিদকে দিলে তাতে কাফফারা আদায়ের পাশাপাশি জিহাদে অংশ গ্রহণেরও সাওয়াব হবে ইনশাআল্লাহ। -আলহিদায়াহ: ২/২৬৯; আদ্দুররুল মুখতার: ৩/৪৭৮; তাবইনুল হাকায়েক: ৩/১২
এ ব্যাপারে আরো দেখুন-
ফতোয়া নং ১৭০ : মান্নতের জিনিস কি জিহাদের কাজে ব্যয় করা যাবে?
فقط والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৮-০১-১৪৪৪ হি.
০৭-০৮-২০২২ ঈ.