তাসাওউফ এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এবং আসল ও নকল কিভাবে পার্থক্য করব?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন:
তাসাওউফের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এবং আসল ও নকল কিভাবে পার্থক্য করব?
রবিন
উত্তর:
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمدلله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله ومن والاه أمابعد.
দ্বীনের যে বিধানগুলো অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত, সেগুলোর কিছু আদেশ সূচক। যেমন সবর, শোকর, তাকওয়া, ইখলাস, রিযা বিল ক্বাযা তথা আল্লাহ তায়ালার ফায়সালার ওপর সন্তুষ্ট থাকা ইত্যাদি। এসব গুণে নিজেকে গুণান্বিত করা ফরজ। আর কিছু নিষেধসূচক। যেমন অহংকার, লোভ, হিংসা ও লৌকিকতা ইত্যাদি। এগুলো থেকে অন্তরকে পবিত্র করাও ফরজ। অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই আহকাম ও বিধি বিধানগুলো যে শাস্ত্রে আলোচনা করা হয়, তার নামই তাসাওউফ। কোরআনে কারীমের ভাষায় এই ইসলাহে বাতেন তথা অন্তরাত্মার সংশোধন ও পরিশুদ্ধিকে তাযকিয়া বলা হয়েছে।
তাসাওউফ ও তাযকিয়ার উক্ত পরিচয়ের পর আশা করি তাযকিয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা যে কত বেশি এবং তা কত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ, তা আর খুলে বলার অপেক্ষা রাখে না। এত গুরুত্বের কারণেই একে একে এগারটি বিষয়ের শপথ করে আল্লাহ তাআলা বলছেন, যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফল এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সেই ব্যর্থ। ইরশাদ হচ্ছে,
وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا (1) وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا (2) وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّاهَا (3) وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَاهَا (4) وَالسَّمَاءِ وَمَا بَنَاهَا (5) وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا (6) وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا (7) فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا (8) قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا (9) وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا (10)
(১) শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, (২) শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে, (৩) শপথ দিবসের যখন তা সূর্যকে প্রখর ভাবে প্রকাশ করে, (৪) শপথ রাত্রির যখন তা সূর্যকে আচ্ছাদিত করে, (৫) শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর। (৬) শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর, (৭) শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর, (৮) অতঃপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন, (৯) যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়। (১০) এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়। -সুরা শামস (৯১) : ১-১০
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণের অন্যতম উদ্দেশ্য, উম্মতের তাযকিয়া ও পরিশুদ্ধি। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
“আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তাদের নিজেদের মধ্য হতে তাদের নিকট রাসুল প্রেরণ করেছেন। যিনি তাঁর আয়াত তাদের নিকট তেলাওয়াত করেন, তাদের তাযকিয়া করেন এবং কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেন। তারা তো পুর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে ছিল।” –সুরা আলে ইমরান (০৩) : ১৬৪
অন্তর পরিশুদ্ধ থাকলে গোটা দেহই পরিশুদ্ধ, অন্যথায় পুরো দেহই কলুষিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
أَلاَ وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ. أَلاَ وَهِيَ الْقَلْبُ “. روه البخاري 52 ومسلم 4178
“জেনে রেখো! তোমার শরীরে একটি গোশতের টুকরা রয়েছে। যা সুস্থ থাকলে তোমার সমস্ত শরীর সুস্থ, আর তা অসুস্থ হয়ে পড়লে, সমস্ত শরীরটাই অসুস্থ। আর সেটি হল ‘কলব’ (অন্তর)।” -সহীহ বুখারি: ৫২, সহিহ মুসলিম:৪১৭৮
খোদ রাসূলে কারীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের অন্তরের তাযকিয়াও পরিশুদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعُ، وَمِنْ قَلْبٍ لَا يَخْشَعُ، وَمِنْ نَفْسٍ لَا تَشْبَعُ، وَمِنْ دَعْوَةٍ لَا يُسْتَجَابُ لَهَا. صحيح مسلم: 7081
“হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরে তাকওয়া দান কর! আমার অন্তরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ কর, তুমি তো আত্মার শ্রেষ্ঠ পবিত্রতা দানকারী। তুমিই তো হৃদয়ের মালিক, অভিভাবক ও বন্ধু। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই এমন ইলম থেকে, যা কোন উপকার দেয়না, এমন হৃদয় থেকে যা বিনম্র হয়না, এমন আত্মা থেকে, যা পরিতৃপ্ত হয়না এবং এমন দোয়া থেকে, যা কবূল হয়না।” -সহিহ মুসলিম: ৭০৮১
শরীয়তের অন্যান্য শাখার মতো তাযকিয়া ও তাসাওউফের জ্ঞান ও সাহাবায়ে কেরামকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তাঁরা যেভাবে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে নামায রোযা হজ্ব যাকাত ইত্যাদির মতো বাহ্যিক আমলগুলোর বিধি বিধান জেনে আমল করতেন, তেমনি হৃদয় ও আত্মার কোনো সমস্যা অনুভূত হলে নিজেদের দিলের অবস্থা পেশ করে তাযকিয়া বিষয়ক বিধি বিধানগুলো ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই গ্রহণ করতেন এবং সে অনুযায়ী আমল করতেন।
আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে এসেছে,
جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ: إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ. قَالَ: “وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟” قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: “ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ”. رواه مسلم
“সাহাবীদের একদল লোক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আগমণ করে জিজ্ঞাসা করল, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব ভয়ঙ্কর মনে হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সত্যিই কি তোমরা এরকম অনুভব কর? তাঁরা বললেন হ্যাঁ, আমরা এরকম অনুভব করি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা তোমাদের ঈমানের স্পষ্ট প্রমাণ।” -সহীহ মুসলিম: ২০৯
অন্য এক হাদীসে এসেছে,
عَنْ حَنْظَلَةَ الأُسَيِّدِيِّ، قَالَ – وَكَانَ مِنْ كُتَّابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ – لَقِيَنِي أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ كَيْفَ أَنْتَ يَا حَنْظَلَةُ قَالَ قُلْتُ نَافَقَ حَنْظَلَةُ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ مَا تَقُولُ قَالَ قُلْتُ نَكُونُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُذَكِّرُنَا بِالنَّارِ وَالْجَنَّةِ حَتَّى كَأَنَّا رَأْىَ عَيْنٍ فَإِذَا خَرَجْنَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَافَسْنَا الأَزْوَاجَ وَالأَوْلاَدَ وَالضَّيْعَاتِ فَنَسِينَا كَثِيرًا قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَوَاللَّهِ إِنَّا لَنَلْقَى مِثْلَ هَذَا . فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ نَافَقَ حَنْظَلَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَمَا ذَاكَ ” . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ نَكُونُ عِنْدَكَ تُذَكِّرُنَا بِالنَّارِ وَالْجَنَّةِ حَتَّى كَأَنَّا رَأْىَ عَيْنٍ فَإِذَا خَرَجْنَا مِنْ عِنْدِكَ عَافَسْنَا الأَزْوَاجَ وَالأَوْلاَدَ وَالضَّيْعَاتِ نَسِينَا كَثِيرًا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنْ لَوْ تَدُومُونَ عَلَى مَا تَكُونُونَ عِنْدِي وَفِي الذِّكْرِ لَصَافَحَتْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ عَلَى فُرُشِكُمْ وَفِي طُرُقِكُمْ وَلَكِنْ يَا حَنْظَلَةُ سَاعَةً وَسَاعَةً ” . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের (অহি) লিখক হানযালা আল উসায়দী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আবূ বকর সিদ্দীক (রা.)র সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন,কেমন আছ হানযালা? আমি বললাম, হানযালা তো মুনাফিক হয়ে গেছে। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ তুমি কি বলছ? আমি বললাম হাঁ, আমরা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থাকি, তিনি আমাদের জান্নাত-জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে নসিহত করেন, (তখন মনে হয়) যেন আমরা তা চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করছি। কিন্তু যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে বের হয়ে স্ত্রী-সন্তান এবং ধন-সম্পদের মাঝে ডুবে যাই, তখন আমরা তার অনেক কিছুই ভুলে যাই।
আবূবকর (রা.) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমারও তো একই অবস্থা। তারপর আমি এবং আবূ বকর (রা.) রওয়ানা হলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হলাম। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! হানযালা মুনাফিক হয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কি বলতে চাও খুলে বল? আমি বললাম, আমরা আপনার নিকট থাকি, আপনি আমাদের জান্নাত-জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে নসিহত করেন, (তখন মনে হয়) যেন আমরা তা চাক্ষুষ দেখতে পাই। কিন্তু এরপর আমরা যখন আপনার কাছ থেকে বের হই এবং স্ত্রী-সন্তান ও ধন-সম্পদের মাঝে যাই, তখন তার অনেক কিছুই ভুলে যাই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ আমি তাঁর শপথ করে বলছি, আমার নিকট থাকা কালে তোমাদের যে অবস্থা হয়, যদি তোমরা সব সময় এ অবস্থায় থাকতে এবং সব সময় আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকতে, তবে তো ফিরিশতাগণ তোমাদের বিছানায় ও রাস্তায় তোমাদের সাথে মুসাফাহা করত। কিন্তু হে হানযালা! কখনো এরকম হবে (যখন আল্লাহর হক আদায় করবে), কখনো সেরকম হবে (যখন নফসের হক আদায় করবে)। কথাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বললেন। -সহিহ মুসলিম: ২১০৬
সুতরাং একজন মুসলিমের কর্তব্য হল, তাযকিয়া বিষয়ক ইলম অর্জন করে সে অনুযায়ী নিজের অন্তরাত্মাকে পরিশুদ্ধ করা। অন্তরকে কুফুরি ও শিরকি আকিদা বিশ্বাস, হিংসা, কিবির, রিয়া ও লৌকিকতা, উজুব ও আত্মম্ভরিতা, পার্থিব লোভ লালসা, গোনাহের মোহ ইত্যাদি থেকে পবিত্র করা এবং তাওহীদ ও ঈমান, সবর ও শোকর, তাকওয়া ও ইখলাস, মুমিনের প্রতি ভালোবাসা, কাফেরের প্রতিক্রোধ, রিযা বিল ক্বাযা তথা আল্লাহর তায়ালার ফায়সালার ওপর সন্তুষ্টি ইত্যাদির মতো উত্তম গুণাবলী দ্বারা নিজেকে গুণান্বিত করা। এক্ষেত্রে কোনো সংশয় ও অস্পষ্টতা থাকলে তা বিজ্ঞ ও মুত্তাকি কোনো আলেমের কাছে পেশ করে, তার সমাধান নেয়া এবং সে অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করা।
তাযকিয়ার এই দীক্ষা ও সমাধান গ্রহণের জন্য প্রচলিত পীর হওয়া জরুরি নয়। বরং এজন্য শরীয়তের ইলমে বিজ্ঞ এবং তাকওয়ার অধিকারী হওয়াই মূল বিষয়। কোনো পীর সাহেব যদি বাস্তবেই উক্ত দুই গুণে গুণান্বিত হন, তাহলে তার থেকেও তা গ্রহণ করতে সমস্যা নেই। কিন্তু বাস্তবতা হল বর্তমান প্রচলিত ধারার অসংখ্য পীর কুফুর শিরক ও বিদাআত কুসংস্কারে লিপ্ত। সুতরাং এবিষয়ে সতর্কতা খুবই জরুরি।
শরীয়তের অন্য সব বিষয়ের মতো তাসাওউফ ও তাযকিয়ার ভিত্তি ও মানদণ্ড ও কোরআন সুন্নাহ। সুতরাং কোরআন সুন্নাহর মানদণ্ডে যা উত্তীর্ণ, তাই সঠিক ও বিশুদ্ধ। কোরআন সুন্নাহর মানদণ্ডে যা উত্তীর্ণ নয়, তা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক হাফিযাহুল্লাহ রচিত ‘তাসাওউফ তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ’ নামক বইটি পড়ুন। পূর্ণ দ্বীনের অনুসারী মুত্তাকি মুজাহিদ আলেমদের সংশ্রবে থাকার চেষ্টা করুন। ফরজে আইন ইলম হাসিল করুন। বেশী বেশী কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করুন। আশা করি এবিষয়গুলো তাসাওউফ ও তাযকিয়ার নামে সমাজে প্রচলিত সত্য মিথ্যা ও আসল নকল নির্ণয়ে অনেক বড় সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
فقط. والله تعالى اعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
৮ই শাওয়াল, ১৪৪১হি.
১লা জুন, ২০২০ইং
আরো পড়ূন
বারবার তাওবা ভঙ্গ করলে কি তাওবার রাস্তা একদম বন্ধ হয়ে যায়?