সালাতফাতওয়া  নং  ৫২০

অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চাদেরকে নামাযের কাতারে দাঁড় করানোর পদ্ধতি

প্রশ্ন: অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চাদেরকে মসজিদে আনার হুকুম কী এবং তাদেরকে নামাযের কাতারে দাঁড় করানোর পদ্ধতি কী?

-মুইনুদ্দিন

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم

حامدا ومصليا ومسلما، أما بعد!

 যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চা একদমই ছোট, ভালো মন্দের তমিয বুঝে না, তাদের মসজিদে না আনা কাম্য। পক্ষান্তরে যে বাচ্চাদের কিছুটা বুঝ হয়েছে, তাদেরকে গুরুত্বের সঙ্গে মসজিদে আনবে এবং জামাতের নামাযে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করবে।

এমন বাচ্চারা প্রথম কাতারে ইমামের পেছনে দাঁড়াবে না। ইমামের পেছনে আলেম হাফেজ ও তুলনামূলক বুঝমান লোকেরা দাঁড়াবে। যাতে নামাযে ইমামের কোনো সমস্যা হলে তারা সহযোগিতা করতে পারে।

স্বাভাবিক অবস্থায় অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চাদের নিয়ম হলো, তারা বড়দের কাতারের ডানে বা বামে দাঁড়াবে। বড়দের কাতার পূর্ণ হয়ে গেলে পেছনে আলাদা কাতার করে দাঁড়াবে। তবে যদি বিশেষ কোনো কারণ থাকে, যেমন বড় জমায়েতে বাচ্চাকে অভিভাবক থেকে আলাদা করার সুযোগ না থাকে কিংবা বাচ্চা আলাদা দাঁড়ালে দুষ্টুমি অথবা অন্যের নামাযের ক্ষতি করার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তাদেরকে বড়দের ফাঁকে ফাঁকে দাঁড় করিয়ে দিবে। এসব ক্ষেত্রে বাচ্চাদের আলাদা দাঁড় না করিয়ে বড়দের মাঝে দাঁড় করানো জরুরি।

বলা বাহুল্য, বর্তমান যামানায় ব্যাপকভাবে বড়দের মধ্যেই নামাযের যথাযথ আজমত ও গুরুত্ব নেই। বাচ্চাদের অবস্থা তো আরও নাযুক। মসজিদ ও নামাযের আদাবের লেহায খুব কমই লক্ষ করা যায়। এ অবস্থায় মক্তব মাদরাসার মতো যেসব প্রশিক্ষণালয়ে বাচ্চাদের উপর সুশৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণ থাকে, এমন কিছু ব্যতিক্রম বাদে সর্বত্রই বাচ্চাদের দুষ্টুমির বিষয়টি লক্ষ রাখা জরুরি এবং সে অনুযায়ী নামাযের কাতারে তাদের জায়গা ঠিক করা জরুরি। -সহীহ মুসলিম: ৪৩২; শারহু সুনানি আবি দাউদ, ইবনু রাসলান: ৪/১৭৫; আততাহরিরুল মুখতার, রাফিয়ি (রদ্দুল মুহতার, মাকতাবায়ে রশিদিয়া, কোয়েটা- এর সাথে মুদ্রিত): ২/৩৭৭[1]

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২৩-০৫-১৪৪৬ হি.

২৬-১১-২০২৪ ঈ.

[1] صحيح مسلم، ط. إحياء التراث (1/ 323): 122 – (432) عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ مَنَاكِبَنَا فِي الصَّلَاةِ، وَيَقُولُ: «اسْتَوُوا، وَلَا تَخْتَلِفُوا، فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ، لِيَلِنِي مِنْكُمْ أُولُو الْأَحْلَامِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ».

قال الرافعي رحمه الله : قال الرحمتي: ربما يتعين في زماننا إدخال الصبيان في صفوف الرجال، لأن المعهود منهم إذا اجتمع صبيان فأكثر تبطل صلاة بعضهم ببعض، وربما تعدى ضررهم إلى إفساد صلاة الرجال، انتهى. “سندي”. -التحرير المختار للرافعي (المطبوع مع رد المحتار بتحقيق فرفور) : 3/567

شرح سنن أبي داود لابن رسلان (4/ 175): فيه دلالة على أنه إذا كثر الرجال، والصبيان، والنساء، فيقدم الرجال، ثم الصبيان، ثم النساء. هكذا قال أصحابنا وأكثر (6) العلماء.  … هكذا إذا كان الغلمان عدد، فإن كان صبي واحد دخل مع الرجال، ولا ينفرد خلف الصف، قاله السبكي، وقيل عند اجتماع الرجال والصبيان يقف بين كل رجلين صبي ليتعلموا منهم الصلاة وأفعالها، والحديث حجة على هذا، قلت: ينبغي إذا كان الصبيان يكثر منهم اللعب إذا اجتمعوا صفًّا بانفرادهم، بأن يقع منهم الضحك، ودفع بعضهم لبعض في السجود، وغير ذلك مما شاهدناه في زماننا فيعمل بالأول. اهـ

Related Articles

Back to top button