সুদ-ঘুষফাতওয়া  নং  ১৯৬

যোগ্য ব্যক্তির জন্য ঘুষ দিয়ে সরকারি চাকরি নেওয়া কি বৈধ হবে?

যোগ্য ব্যক্তির জন্য ঘুষ দিয়ে সরকারি চাকরি নেওয়া কি বৈধ হবে?

যোগ্য ব্যক্তির জন্য ঘুষ দিয়ে সরকারি চাকরি নেওয়া কি বৈধ হবে?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু দুর্নীতির কারণে কেউ যদি স্বাভাবিক ভাবে সরকারি চাকরি না পায়, তাহলে তার জন্য কি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়া বৈধ হবে?

প্রশ্নকারী-এমদাদুল হক

 

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم

ঘুষ দেয়া-নেয়া উভয়ই হারাম এবং লা’নতযোগ্য অপরাধ। হাদিসে ঘুষ আদান-প্রদানকারী উভয়ের উপর লা’নত করা হয়েছে।

عن عبد الله بن عمرو، قال: لعن رسول الله – صلى الله عليه وسلم – الراشي والمرتشي”. – سنن الترمذي 1337 قال الإمام الترمذي رحمه الله: هذا حديث حسن صحيح. سنن أبي داود 3580، سنن ابن ماجة 2313، قال المحقق شعيب الأرنؤوط رحمه الله: إسناده قوي.

“আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহীতা উভয়কেই লা’নত করেছেন।” –সুনানে তিরমিযি: ১৩৩৭, সুনানে আবু দাউদ: ৩৫৮০, সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৩১৩

অবশ্য কেউ যদি বাস্তবেই চাকরির যোগ্য হয়, তাহলে চাকরিটি পাওয়া তার অধিকার। তথাপিও যদি কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির কারণে ঘুষ ব্যতীত চাকরিটি না পাওয়া যায়, তাহলে নিজের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের জন্য ঘুষ দিয়ে চাকুরি নেয়ার অবকাশ আছে। এতে সে গোনাহগার হবে না; ঘুষ গ্রহীতা গোনাহগার হবে। দেখুন, মাআলিমুস সুনান-খাত্তাবি: ৪/১৬১, রদ্দুল মুহতার: ৬/৪২৩, আলমুহাল্লা: ৮/১১৮

উল্লেখ্য, চাকরিটা অবশ্যই বৈধ হতে হবে। কুফরি বা হারাম চাকরির তো এমনিতেই সুযোগ নেই, ঘুষ দিয়ে নেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আর তাগুতের অধীনে বৈধ চাকরি থেকেও বিরত থাকা যে উত্তম, তা তো বলাই বাহুল্য।

এ ব্যাপারে ১৩৩ নং ফতোয়াটি দেখতে পারেন:

‘ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার হুকুম কী?

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৪-০২-১৪৪৩ হি.

২২-০৯-২০২১ ইং

Related Articles

Back to top button