দারুল হারবে জুমআর নামাযের বিধান কি?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন:
আমাদের জানামতে ফিকহে হানাফীর সকল কিতাবেই আছে, জুমআর নামায সহীহ হওয়ার জন্য সুলতান বা নায়েবে সুলতান থাকা শর্ত। এমতাবস্থায় আমাদের দেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশগুলো যেহেতু কুফরি শাসন দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে ‘দারুল ইসলাম’ থাকেনি এবং ওসব দেশের শাসনকর্তারাও মুসলিম হিসেবে বাকি থাকেনি, তাই আমরা যে জুমআর নামায পড়ছি তা কি সহীহ হচ্ছে? দারুল হারবে কি জুমআর নামায পড়া জায়েয আছে? অনেক সময়ই আমাদের আলোচনা পর্যালোচনায় এ বিষয়টি উঠে আসে এবং যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করে, তাই আশা করি, দলিল প্রমাণসহকারে স্ববিস্তারে এ বিষয়টির সঠিক সমাধান দিয়ে আমাদেরকে উপকৃত করবেন।
নিবেদক
উমায়ের আহমাদ, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : মুহতারাম মুফতি সাহেব, আপনার কাছে আমার জানার বিষয় হল, দারুল কুফরে জুমআর নামাজ আদায়ের বিধান কি? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রইল।
সাইফুদ্দীন
উত্তর:
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومسلما ومصليا
এক. হানাফী মাযহাবে সাধারণ অবস্থায় যখন সুলতান (রাষ্ট্রপ্রধান) থাকেন এবং তিনি জুমআর ব্যবস্থাপনা করেন, তখন জুমআর নামায সহীহ হওয়ার জন্য সুলতান বা নায়েবে সুলতানের উপস্থিতি কিংবা তাদের অনুমতি শর্ত। অন্যথায় জুমআ সহীহ হয় না। তবে সুলতান না থাকা বা সুলতানের জুমআ ছেড়ে দেয়ার মতো বিশেষ কিছু অবস্থা আছে, যেখানে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়। তখন মুসলিমদের জন্য তাদের মধ্য থেকে একজনকে ইমাম নিয়োগ করে জুমআ আদায় করা ফরজ। সুলতানের অনুমতি না থাকার অজুহাতে জুমআ ত্যাগ করা জায়েয নয়। পক্ষান্তরে অন্য তিন মাযহাবে জুমআ সহীহ হওয়ার জন্য কোনো অবস্থায়ই এই শর্তটি প্রযোজ্য নয়।
গত শতাব্দীতে কুয়েত থেকে বরেণ্য আহলে ইলমদের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ‘আলমাউসূয়াতুল ফিকহিয়্যাহ আলকুয়েতিয়া’তে সুলতানের শর্তের আলোচনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে,
الشرط الثاني: واشترطه الحنفية، إذن السلطان بذلك، أو حضوره، أو حضور نائب رسمي عنه، إذ هكذا كان شأنها على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وفي عهود الخلفاء الراشدين.
هذا إذا كان ثمة إمام أو نائب عنه في البلدة التي تقام فيها الجمعة، فإذا لم يوجد أحدهما، لموت أو فتنة أو ما شابه ذلك، وحضر وقت الجمعة كان للناس حينئذ أن يجتمعوا على رجل منهم ليتقدمهم فيصلي بهم الجمعة.
أما أصحاب المذاهب الأخرى فلم يشترطوا لصحة الجمعة أو وجوبها شيئا مما يتعلق بالسلطان، إذنا أو حضورا أو إنابة.-الموسوعة الفقهية الكويتية، ২৭/১৯৭، وزارة الأوقاف
“জুমআর জন্য দ্বিতীয় শর্ত – এই শর্তটি হানাফী মাযহাব মতে প্রযোজ্য – সুলতানের অনুমতি, তাঁর উপস্থিতি কিংবা তাঁর রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির উপস্থিতি। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং খুলাফায়ে রাশিদীনের যামানায় এভাবেই জুমআর নামায আদায় করা হত।
অবশ্য এই শর্তটি তখনই প্রযোজ্য, যখন জুমআ আদায়ের শহরে ইমাম বা তার পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি উপস্থিত থাকেন। পক্ষান্তরে মৃত্যু, ফিতনা কিংবা এজাতীয় কোন কারণে যদি তাদের কেউ না থাকেন এবং জুমআর সময় উপস্থিত হয়ে যায়, তখন মুসলমানদের দায়িত্ব হল, একমত হয়ে কোনো একজনকে ইমাম বানানো, যাতে তিনি সকলকে নিয়ে জুমআ আদায় করতে পারেন।
কিন্তু অন্যান্য মাযহাবের ওলামায়ে কেরাম জুমআ সহীহ বা ওয়াজিব হওয়ার জন্য সুলতানের সাথে সম্পৃক্ত; যেমন সুলতানের অনুমতি প্রদান, তাঁর উপস্থিতি বা তাঁর নায়েবের উপস্থিতি- এ জাতীয় কোনো শর্তই আরোপ করেননি।”-আলমাউসূয়াতুল ফিকহিয়্যাহ আলকুয়েতিয়্যাহ : ২৭/১৯৭, ওযারাতুল আওকাফ
দুই. সুতরাং হানাফী মাযহাব মতে জুমআ সহীহ হওয়ার জন্য সুলতান বা নায়েবে সুলতানের উপস্থিতি বা অনুমতি প্রদানের শর্ত তখনই প্রযোজ্য, যখন মুসলমানদের এমন একজন সুলতান থাকবেন, যিনি নিয়মতান্ত্রিকভাবে জুমআ কায়েম করবেন।
পক্ষান্তরে অবস্থা যদি এমন হয় যে, সুলতান থাকা সত্ত্বেও তিনি জুমআ কায়েম করার দায়িত্ব পালন না করেন কিংবা কোনো গোলযোগ বা অসুবিধার কারণে তাঁর অনুমতি গ্রহণ সম্ভব না হয় অথবা মুসলমানদের কোনো সুলতান-ই না থাকে, তাহলে এসব পরিস্থিতিতে ইমামের উপস্থিতি বা অনুমতির ওপর জুমআ মওকুফ থাকবে না। বরং এমন পরিস্থিতিতে মুসলমানদের ওপর আবশ্যক হল, নিজেরাই জুমআর জন্য একজন ইমাম ঠিক করে নিবে এবং তাঁর ইমামতিতে জুমআ আদায় করবে।
এক হাদীসে এসেছে,
عن أبي عبيد مولى ابن أزهر قال: شهدت العيد مع علي بن أبي طالب عليه السلام، وعثمان محصور، فجاء فصلى، ثم انصرف فخطب- اخرجه الطحاوي في مشكل الآثار، رق: ৪৫০০، والإمام مالك في موطأه، رقم: ৪৩০.
“আবু উবায়েদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (খলীফাতুল মুসলিমিন) উসমান রা. যখন অবরুদ্ধ, তখন আমি আলী রা.এর সঙ্গে ঈদের জামাতে উপস্থিত হয়েছি। তিনি (মানুষকে নিয়ে) ঈদের নামায আদায় করেছেন তারপর খুতবা প্রদান করেছেন।”-মুশকিলুল আছার, হাদীস: ৪৫০০; মুয়াত্তা মালেক, হাদীস: ৪৩০
উপরোক্ত হাদীস ও অন্যান্য দলিলের ভিত্তিতে ফুকাহায়ে কেরাম এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখ করেছেন। নীচে তাঁদের এ সংক্রান্ত কিছু বক্তব্য লক্ষ করুন,
১. ইমাম ত্বহাবী রহ. (৩২১ হি.) বলেন,
وذكر عن محمد أن أهل مصر لو مات واليهم جاز أن يقدموا رجلا يصلي بهم الجمعة حتى يقدم عليهم والقال أبو جعفر روى مالك عن الزهري قال شهدت العيد مع علي رضي الله عنه وعثمان محصور فجاء فصلى ثم انصرف فخطب وهذا أصل من أن كل سبب يخلف الإمام عن الحضور إذ على المسلمين إقامة رجل يقوم به وهذا كما فعل المسلمون يوم مؤتة لما قتل الأمراء اجتمعوا على خالد بن الوليد. -مختصر اختلاف العلماء: ১/৩৪৫، دار البشائر الإسلامية.
“ইমাম মুহাম্মাদ রহ. থেকে বর্ণিত, কোনো শহরবাসীর শাসনকর্তা যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তাদের জন্য জায়েয, একজন ব্যক্তিকে সামনে বাড়িয়ে দেয়া, যিনি নতুন শাসনকর্তা আসার পূর্ব পর্যন্ত তাদের নিয়ে জুমআ আদায় করবেন। আবু জাফর ত্বাহাবি রহ. বলেন, মালেক রহ. যুহরি রহ. থেকে বর্ণনা করেন, ‘আমি (যুহরি) আলী রা.র সঙ্গে ঈদের সালাতে উপস্থিত হয়েছি; উসমান রা. তখন অবরুদ্ধ। আলী রা. এসে সালাত আদায় করলেন, সালাত শেষ করে খুতবা প্রদান করলেন।’
যেসব কাজে ইমামুল মুসলিমিন উপস্থিত হতে পারেন না, সেসব কাজের এটি একটি মূলনীতি। মুসলিমদের দায়িত্ব তখন এমন একজন ব্যক্তি ঠিক করা, যিনি সেই কাজটি আঞ্জাম দিবেন। যেমন মুতার যুদ্ধে যখন একে একে (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিযুক্ত) সকল আমির শহীদ হয়ে গেলেন, তখন সবাই মিলে খালিদ বিন ওয়ালিদ রা.কে আমির নিযুক্ত করলেন।” -মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা ১/৩৪৫, দারুল বাশাইরিল ইসলামিয়্যাহ
২. আল্লামা তাহের বিন আহমাদ বিন আব্দুর রশীদ আল-বুখারী (৫৪২ হি.) বলেন,
وإن لم يكن ثمة قاض ولا خليفة الميت فاجتمعت العامة على تقديم رجل جاز لمكان الضرورة.-خلاصة الفتاوى: ১/২০৮
“কিন্তু যদি সেখানে কোনো কাজী (বিচারক) বা মৃত শাসকের প্রতিনিধি না থাকেন, আর জনসাধারণ নিজেদের কাউকে অগ্রসর করার ব্যাপারে একমত হয়, তবে জরূরতের কারণে তা জায়েয হবে।” -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২০৮
৩. সিরাজুদ্দিন আলী বিন উসমান আল-হানাফী (৫৬৯ হি.) বলেন,
وَالِي مِصْرٍ مَاتَ فَصَلَّى بِهِمْ خَلِيفَةُ الْمَيِّتِ أَوْ صَاحِبُ الشُّرَطِ أَوْ الْقَاضِي جَازَ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ ثَمَّةَ وَاحِدٌ مِنْهُمْ وَاجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَى رَجُلٍ فَصَلَّى بِهِمْ جَازَ، (السِّرَاجِيَّةِ: ১০৫)
“যদি কোনো শহরের শাসনকর্তা মারা যান, ফলে মৃত শাসকের প্রতিনিধি, পুলিশপ্রধান বা কাজী তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন, তাহলে তা জায়েয হবে। একইভাবে সেখানে যদি উপরোক্ত কেউ না থাকেন আর জনসাধারণ কারো ব্যাপারে একমত হয় এবং তিনি তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন তবে তাও জায়েয হবে।”-ফাতওয়ায়ে সিরাজিয়্যাহ ১০৫, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ
৪. আল্লামা কাসানী রহ. (৫৮৭ হি.) বলেন,
وأما السلطان فشرط أداء الجمعة عندنا حتى لا يجوز إقامتها بدون حضرته أو حضرة نائبه، وقال الشافعي السلطان ليس بشرط؛ …هذا إذا كان السلطان أونائبه حاضرا،فأما إذا لم يكن إماما بسبب الفتنة أو بسبب الموت ولم يحضر وال آخر بعد حتى حضرت الجمعة ذكر الكرخي أنه لا بأس أن يجمع الناس على رجل حتى يصلي بهم الجمعة، وهكذا روي عن محمد ذكره في العيون؛ لما روي عن عثمان – رضي الله عنه – أنه لما حوصر قدم الناس عليا – رضي الله عنه – فصلى بهم الجمعة. -بدائع الصنائع: ১/৫৮৮
“আমাদের নিকট জুমআ আদায়ের জন্য সুলতান শর্ত। সুলতান বা তার নায়েবের উপস্থিতি ছাড়া জুমআ কায়েম করা সহীহ নয়। ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, সুলতান শর্ত নয়। … এই বিধান হল, যখন সুলতান বা তার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। পক্ষান্তরে ফেতনা কিংবা মৃত্যুর কারণে যদি সুলতান না থাকেন এবং আরেকজন নিয়োগের আগেই জুমআর সময় হয়ে যায়, ইমাম কারখী রহ. বলেছেন, এক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা নেই যে, জনসাধারণ কোনো একজন ব্যক্তির ওপর একমত হবে, যাতে তিনি তাদেরকে নিয়ে জুমআ আদায় করতে পারেন। ইমাম মুহাম্মাদ রহ. থেকে এমনটিই বর্ণিত রয়েছে। কারণ উসমান রা.কে যখন অবরুদ্ধ করা হয়, জনসাধারণ আলী রা.কে আগে বাড়িয়ে দেয়। তিনি তাদের নিয়ে জুমআ আদায় করেন।” -বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৮৮; যাকারিয়্যা বুক ডিপো, দেওবন্দ
৫. আল্লামা কাজীখান রহ. (৫৯২ হি.) বলেন,
وإن لم يكن ثمة قاض ولا خليفة الميت فاجتمعت العامة على تقديم رجل جاز لمكان الضرورة، -قاضي خان:১/১০৯، دار الكتب العلمية.
“কিন্তু যদি সেখানে কোন কাজী (বিচারক) বা মৃত শাসকের খলীফা না থাকেন, আর জনসাধারণ কাউকে অগ্রসর করার ব্যাপারে একমত হয়, তবে জরূরতের কারণে তা জায়েয হবে।”-ফাতাওয়া কাজীখান ১/১০৯ দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ
৬. আল্লামা বুরহানুদ্দিন আবু বকর আলী আল-মারগিনানী রহ. (৫৯৩ হি.) বলেন,
والي مصر مات، ولم يبلغ الخليفة موته حتى مضت بهم جمع، فإن صلى بهم خليفة الميت أو صاحب شرطة أو متولى القضاء جاز، لأنه فوض إليهم أمر العامة. ولو اجتمعت العامة على أن يقدموا رجلا، لم يأمره القاضي، ولا خليفة الميت لا يجوز، ولم يكن لهم جمعة، لأنهم لم يفوض إليهم أمورهم. إلا إذا كان لم يكن ثمة قاض ولا خليفة الميت، بأن كان الكل هو الميت، فحينئذ جاز للضرورة، ألا ترى أن عليا رضي الله عنه صلى بالناس. -التجنيس والمزيد للمرغيناني: ২/২০০، ادارة القرآن، كراتشي.
“কোনো শহরের শাসনকর্তা মৃত্যু বরণ করলেন। খলীফার কাছে তার মৃত্যুসংবাদ পৌঁছল না। এমতাবস্থায় কয়েক জুমআ অতিক্রান্ত হয়ে গেল এবং মৃতের খলীফা, পুলিশপ্রধান বা কাজী (বিচারক) তাদেরকে নিয়ে নামায আদায় করলেন তাহলে তাদের জুমআ সহীহ হবে। কারণ জনগণের বিষয় আশয় দেখভালের দায়িত্ব তাদের ওপর ন্যাস্ত। কিন্তু যদি জনসাধারণ কোনো ব্যক্তিকে অগ্রসর করার ব্যাপারে একমত হয়; যাকে কাজী বা মৃতের খলীফা আদেশ করেননি, তাহলে জায়েয হবে না এবং জুমআও আদায় হবে না। কারণ জনগণের দেখভালের দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পিত নয়।
তবে হ্যাঁ, সেখানে যদি কাজী বা মৃত্যুবরণকারীর কোনো প্রতিনিধি না থাকে, যেমন মৃত ব্যক্তিই এই সবকিছুর দায়িত্বে ছিলেন, তাহলে এমতাবস্থায় জরুরতের কারণে তা জায়েয হবে। দেখুন না, আলী রা. লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেছেন!”-আত তাজনীস ওয়াল মাযীদ: ২/২০০; ইদারাতুল কুরআন, করাচি
৭. জমালুদ্দীন আহমাদ বিন মাহমুদ আলগাযনাভী (৫৯৩ হি.) বলেন,
ولا تجوز إقامتها إلا بأمر السلطانوإذا مات والي مصر، فجمع بهم خليفة الميت، أو صاحب الشرطة، أو القاضي، أو جمع الناس على رجل، فجمع بهم بغير إذن الخليفة، جاز. -الحاوي القدسي: ১/২৩৭
“সুলতানের আদেশ ছাড়া জুমআ কায়েম করা জায়েয নয়। তবে কোনো শহরের শাসনকর্তা যদি মারা যান, এমতাবস্থায় মুসল্লিদেরকে নিয়ে মৃত শাসনকর্তার খলীফা, সেনাপ্রধান বা কাজী জুমআ আদায় করেন, অথবা লোকেরা কারো ব্যাপারে একমত হয় এবং তিনি খলীফার অনুমতি ছাড়াই তাদেরকে নিয়ে জুমআ আদায় করেন, তাহলে জায়েয হবে।” -আল-হাবীল-কুদসী: ১/২৩৭, দারুন নাওয়াদিন, সিরিয়া
৮. আল্লামা বুরহানুদ্দিন মাহমুদ আল-মারগিনানী (৬১৬ হি.) বলেন,
ولو اجتمعت العامة على أن يقدموا رجلاً مع قيام واحد من هؤلاء الذين ذكرنا من غير أمرهم لم يجز؛ لأنه لم يفوض إليهم أمورهم إلا إذا لم يكن ثمة قاض ولا خليفة الميت بأن كان الكل هو الميت حينئذٍ جاز لضرورة. ألا ترى أن علياً رضي الله عنه صلى بالناس يوم الجمعة وعثمان رضي الله عنه محصور؛ لأن الناس اجتمعوا على علي رضي الله عنه. -المحيط البرهاني:২/৪৪৪-৪৪৫. إدارة القرآن، كراتشي.
“আমাদের বর্ণিত ব্যক্তিবর্গের কেউ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাদের নির্দেশ ছাড়াই সাধারণ মানুষ যদি কাউকে অগ্রসর করে দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়, তাহলে তা জায়েয হবে না। কেননা তাদের বিষয়াবলী তাদের কাছে অর্পণ করা হয়নি। তবে হ্যাঁ, সেখানে যদি কাজী বা মৃত শাসকের কোনো প্রতিনিধি না থাকেন, যেমন মৃত ব্যক্তিই এই সবকিছুর দায়িত্বে ছিলেন, তাহলে এমতাবস্থায় জরুরতের কারণে তা জায়েয হবে। দেখুন না, আলী রা. লোকদের নিয়ে জুমআর সালাত আদায় করেছেন, যখন উসমান রা. অবরুদ্ধ ছিলেন। কারণ সবাই আলী রা.-র ব্যাপারে একমত হয়েছিল।”-আলমুহীতুল বুরহানী: ২/৪৪৪-৪৪৫; ইদারাতুল কুরআন, করাচী
৯. ফাতাওয়া তাতারখানিয়ার গ্রন্থকার; ফরীদুদ্দীন আলেম বিন আলা দেহলভী রহ. (৭৮৬ হি.) বলেন,
ولو اجتمعت العامة على أن يقدموا رجلا مع قيام واحد من هؤلاء الذين ذكرنا من غير أمره لم يجز، إلا إذا لم يكن ثمة قاض ولا خليفة الميت، فحينئذ جاز للضرورة، ألا ترى أن عليا رضي الله عنه صلى بالناس يوم الجمعة، وعثمان رضي الله عنه محصور. لأن الناس اجتمعوا على علي رضي الله عنه. (الفتاوى التاتارخانية)
“আমাদের বর্ণিত ব্যক্তিবর্গের কেউ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাদের নির্দেশ ছাড়াই সাধারণ মানুষ যদি কাউকে অগ্রসর করে দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়, তাহলে তা জায়েয হবে না। তবে হ্যাঁ, সেখানে যদি কাজী বা মৃত্যুবরণকারীর কোনো প্রতিনিধি না থাকে, তাহলে জরুরতের কারণে তা জায়েয হবে। দেখুন না, আলী রা…. ” -ফাতাওয়া তাতারখানিয়াহ : ২/৫৬ মাকতাবায়ে যাকারিয়্যা, দেওবন্দ
১০. হাফিযুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন শিহাব আলবাযযাযী রহ. (৮২৭ হি.) বলেন,
ولو اجتمعوا أعني: أهل البلدة على تقديم رجل، لا يصح إلا إذا لم يكن للميت خليفة ولا قاض ولا شرطي، فحينئذ يصح للضرورة. (الفتاوى البزازية)
“যদি তারা একত্রিত হয়, অর্থাৎ শহরবাসী কাউকে অগ্রসর করে দেয়ার ব্যাপারে, তাহলে তা সহীহ হবে না। তবে যদি মৃতের কোনো প্রতিনিধি না থাকেন বা কাজী কিংবা পুলিশপ্রধান না থাকেন, তাহলে জরুরতের কারণে তা সহীহ হবে।” -আল ফাতাওয়াল বায্যাযিয়্যাহ: ১/৫০, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ
১১. আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী রহ. (৮৫৫ হি.) বলেন,
واحتجاجهم بما روي عن عثمان – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – ساقط، لأنه يحتمل أن عليا – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – فعل ذلك بأمره أو لم يتوصل إلى عثمان، وعندنا إذا لم يتوصل إلى إذن الإمام، فللناس أن يجتمعوا ويقدموا من يصلي بهم، كذا ذكره الشيخ أبو نصر البغدادي – رَحِمَهُ اللَّهُ – (البناية:১/৩৪৫)
“… আমাদের মাযহাব হল, ইমামের অনুমতি নেয়ার যদি কোনো পন্থা না থাকে, তাহলে মানুষের ওপর দায়িত্ব হল একত্র হয়ে একজনকে অগ্রসর করে দেয়া, যিনি তাদেরকে নিয়ে জুমআ পড়বেন। শায়খ আবু নসর বাগদাদী রহ. এমনটিই উল্লেখ করেছেন।” -আলবিনায়াহ: ১/৩৪৫; দারুল ফিক্র, বৈরুত
১২. আল্লামা ইবনুল হুমাম রহ. (৮৬১ হি.) বলেন,
وإذا لم يكن سلطان ولا من يجوز التقلد منه كما هو في بعض بلاد المسلمين غلب عليهم الكفار كقرطبة في بلاد المغرب الآن وبلنسية وبلاد الحبشة وأقروا المسلمين عندهم على مال يؤخذ منهم يجب عليهم أن يتفقوا على واحد منهم يجعلونه واليا فيولى قاضيا أو يكون هو الذي يقضي بينهم وكذا ينصبوا لهم إماما يصلي بهم الجمعة. فتح القدير: ৭/২৬৪،ط . دار الفكر؛ و كذا في رد المحتار نقلا عن الفتح ৮/৪৩،زكريابكدبو
“যখন সুলতান বা এমন (কর্তৃত্বের অধিকারী) ব্যক্তি না থাকে, যিনি কাজী নিয়োগ দিতে পারেন, যেমন বর্তমান মরোক্কোর কর্ডোবা, ভ্যালেন্সিয়া ও আবিসিনিয়ার মতো যেসব মুসলিম রাষ্ট্রে কাফেররা বিজয় লাভ করেছে এবং মুসলিমদের থেকে সম্পদ গ্রহণের বিনিময়ে তাদেরকে সেখানে বহাল রেখেছে, সেসব অঞ্চলের মুসলিমদের ওপর ফরজ, একমত হয়ে নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে শাসক নির্ধারিত করা। যিনি তাদের জন্য বিচারক নিয়োগ দিবেন বা নিজে তাদের বিচারকার্য সম্পাদন করবেন। একইভাবে তাদের ওপর ফরজ একজন ইমাম নিয়োগ করা, যিনি তাদের নিয়ে জুমআ আদায় করবেন।” -ফাতহুল কাদীর: ৭/২৬৪; রদ্দুল মুহতার: ৮/৪৩
১৩. ইবনে নুজাইম হানাফী রহ. (৯৭০ হি.) বলেন,
وفيها والي مصر مات، ولم يبلغ الخليفة موته حتى مضت بهم جمع، فإن صلى بهم خليفة الميت أو صاحب الشرط أو القاضي أجزأهم، ولو اجتمعت العامة على تقديم رجل لم يأمره القاضي، ولا خليفة الميت لم يجز، ولم تكن جمعة، ولو لم يكن ثمة قاض ولا خليفة الميت فاجتمع العامة على تقديم رجل جاز للضرورة، (البحر الرائق:২/২৫২)
“তাতে (খুলাসাতুল ফাতাওয়ায়) আরো এসেছে, কোনো শহরের শাসনকর্তা মৃত্যু বরণ করল। খলীফার কাছে তার মৃত্যুসংবাদ পৌঁছল না। এমতাবস্থায় কয়েক জুমআ অতিক্রান্ত হয়ে যায়। মৃতের খলীফা, সেনাপ্রধান বা কাজী যদি তাদেরকে নিয়ে জুমআ আদায় করেন, তাহলে যথেষ্ট হবে। কিন্তু যদি জনসাধারণ কোনো ব্যক্তিকে অগ্রসর করার ব্যাপারে একমত হয়, যাকে কাজী বা মৃতের খলীফা আদেশ করেননি, তাহলে জায়েয হবে না এবং জুমআ আদায় হবে না। পক্ষান্তরে সেখানে যদি কোনো কাজী না থাকেন বা মৃতের খলীফাও না থাকেন, আর জনসাধারণ কাউকে অগ্রসর করার ব্যাপারে একমত হয়, তবে জরুরতের কারণে তা জায়েয হবে।” -আলবাহরুর রায়েক: ২/২৫২, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ
১৪. আল্লামা মুহাম্মাদ বিন আলী হাসকাফী রহ. (১০৮৮ হি.) বলেন,
(ونصب العامة) الخطيب (غير معتبر مع وجود من ذكر، أما مع عدمهم فيجوز) للضرورة (الدر المختار: ৩/১৪)
“বর্ণিত কারো উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও (সাধারণ মানুষ কর্তৃক) খতীব নিয়োগ গ্রহণযোগ্য নয়, তবে তাদের কারো না থাকা অবস্থায় জরুরতের কারণে তা জায়েয।” -আর্দ্দুরুল মুখতার: ৩/১৪, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ
১৫. ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়্যাহ’র গ্রন্থাকার বলেন,
وَلَوْ تَعَذَّرَ الِاسْتِئْذَانُ مِنْ الْإِمَامِ فَاجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَى رَجُلٍ يُصَلِّي بِهِمْ الْجُمُعَةَ جَازَ. (الهندية: ১/২০৬)
“যদি ইমাম থেকে অনুমতি গ্রহণ অসম্ভব হয়, আর জনসাধারণ কারো ব্যাপারে একমত হয়, যিনি তাদেরকে নিয়ে জুমআ আদায় করবেন তাহলে জায়েয হবে।” -ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়্যাহ ১/২০৬, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ
১৬. আল্লামা ইবনে আবিদীন শামী রহ. (১২৫২ হি.) বলেন,
ولذا لو مات الوالي أو لم يحضر لفتنة ولم يوجد أحد ممن له حق إقامة الجمعة نصب العامة لهم خطيبا للضرورةكما سيأتي مع أنه لا أمير ولا قاضي ثمة أصلا وبهذا ظهر جهل من يقول لا تصح الجمعة في أيام الفتنة مع أنها تصح في البلاد التي استولى عليها الكفار كما سنذكره فتأمل -رد المحتار:২/১৩৮، دار الفكر، بيروت
“যদি শাসনকর্তা মৃত্যুবরণ করেন অথবা ফিতনার কারণে উপস্থিত না হতে পারেন এবং এমন কাউকে না পাওয়া যায়, যার জুমআ কায়েমের অধিকার রয়েছে, তাহলে জরুরতের কারণে সাধারণ মানুষ নিজেদের জন্য একজন খতীব নির্ধারণ করে নেবে, যেমনটি সামনে এ বিষয়ে আলোচনা আসছে। অথচ এখানে আমীর কিংবা কাজী কেউ-ই নেই। আমাদের এ বক্তব্য থেকে ওই সব লোকের অজ্ঞতা স্পষ্ট হয়, যারা বলে, ফেতনার দিনগুলোতে জুমআ সহীহ হবে না। অথচ ওই সমস্ত শহরেও জুমআ সহীহ, যেগুলো কাফেররা দখল করে নিয়েছে, যেমনটি আমরা সামনে উল্লেখ করব।” -রাদ্দুল মুহতার: ২/১৩৮, দারুল ফিকর, বৈরুত
তিনি আরও বলেন,
لومنعالسلطانأهلمصرأنيجمعواإضراراوتعنتافلهمأنيجمعواعلىرجليصليبهمالجمعة. اهـ -رد المحتار، ২/১৪৩، دار الفكر.
فلو الولاة كفارا يجوز للمسلمين إقامة الجمعة ويصير القاضي قاضيا بتراضي المسلمين ويجب عليهم أن يلتمسوا واليا مسلما.اهـ. -رد المحتار: ২/১৪৪،دار الفكر.
“সুলতান যদি একগুঁয়েমিবশত এবং ক্ষতি সাধনের জন্য কোনো এলাকার লোকজনকে জুমআ আদায়ে নিষেধ করেন, তাহলে তারা নিজেরা সম্মতিক্রমে একজনকে জুমআর জন্য নির্ধারণ করে নিয়ে তার পেছনে জুমআ পড়তে পারবে।”-রদ্দুল মুহতার: ২/১৪৩, দারুল ফিকর, বৈরুত
“যদি প্রশাসকরা কাফের হয়, তাহলেও মুসলমানদের জন্য জুমআ কায়েম করা জায়েয। এক্ষেত্রে মুসলমানদের সন্তুষ্টিক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী শরঈ কাজী হিসেবে পরিগণিত হবেন। আর মুসলমানদের ওপর ফরয হবে, একজন মুসলমান প্রশাসক তালাশ করা।” -রাদ্দুল মুহতার ২/১৪৪, দারুল ফিকর, বৈরুত
এ বিষয়ে আরও দেখুন,
১৭. কিফায়াতুল মুফতী
(سوال) هند ميںاج كل جمعه پڑھنا فرض هے يا نهيں؟ اگر فرض هے تو پھر فقهاء كي دو شرائط يعني امامت اور مصريت كا جواب كيا هے؟ المستفتي نمبر 822 محمد نذر شاه-6 محرم 1355 ه 30 مارچ 1936ع- ضلع گجرات (جواب 370) هندوستان ميں جمعه فرض هے اور امام يعني سلطان اور مصر كي وه تعريف جو نفاذ حدود احكام شرعيه پر مشتمل هے خود فقهاء حنفيه كي تصريح سے متروك هو چكي هے بلاد عليها ولاة كفار يجوز للمسلمين إقامة الجمع والأعياد فيها (رد المحتار) (كفايت المفتي: 3/240) وكذا في ص: 256،250،245 من نفس المجلد؛ دار الاشاعت) محمد كفايت الله كان الله له
১৮. ফাতওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ
(سوال 2410) اگر هندوستان كو دار الحرب قرار ديا جاوے تو جمعة فرض هے يا نهيں- اور بادشاه مسلم هونے كي شرط كا كيا جواب هو ا؟ (جواب) جمعه پھر بھي فرض هے اور بادشاه مسلمان كا هونا اس كیلئے شرط نهيں هے شامي ميں هے فلو الولاة كفارا يجوز للمسلمين إقامة الجمعة ويصير القاضي قاضيا بتراضي المسلمين الخ) (فتوى دار العلوم ديوبند: 5/75؛ وكذا في 42، 59، 80، 98 من نفس المجلد؛ دار الاشاعت)
১৯. ফাতাওয়া মাহমূদিয়াহ
(سوال 3680): جمعه كے شرائط ميں سے سلطان هے اور اس ملك ميں سلطان مسلمان نهيں، پھر تو جمعه كي نماز نهيں هوني چاهئے، جواز كس طور پر هے؟
الجواب حامدا ومصليا: فلو الولاة كفارا يجوز للمسلمين إقامة الجمعة ويصير القاضي قاضيا بتراضي المسلمين ويجب عليهم أن يلتمسوا واليا مسلما، اه رد المحتار- جب كه سلطان مسلم نه هو تو اس كا حل وبدل عبارت منقوله ميں موجود هے- فقط والله تعالى أعلم- حرره العبد محمود غفر له، دار العلوم ديوبند، 5/2/90ه- (فتوى محموديه: 8/47-48 وكذا في 49-52 من نفس المجلد)
- الإسلام سؤال وجواب
هل تقام صلاة الجمعة في دار الحرب ؟ أو دار الكفر ؟ 26800 تاريخ النشر : 07-05-2002 المشاهدات : 16152
السؤال لو قلنا إن بلداً من البلاد دار حرب أو دار كفر ، فهل تجب الجمعة فيها ؟ أو بمعنى آخر هل يجب أن نجمع لصلاة الجمعة في دار الحرب أو الكفر ؟. نص الجواب الحمد لله
فرض الله تعالى صلاة الجمعة على المسلمين المستوطنين في مدينة أو قرية ، ونهى عن التشاغل عنها ببيع أو شراء أو نحوهما ، لعموم قوله تعالى : ( يا أيها الذين آمنوا إذا نودي للصلاة من يوم الجمعة فاسعوا إلى ذكر الله وذروا البيع ذلكم خير لكم إن كنتم تعلمون ) الجمعة/9 ، ولما ثبت من حديث عبد الله بن عمر وأبي هريرة رضي الله عنهم ، أنهما سمعا رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول على أعواد منبره : ( لينتهن أقوام عن ودعهم الجمعات أو ليختمن الله على قلوبهم ثم ليكونن من الغافلين ) مسلم 2/591 . ولإجماع الأمة على ذلك وليس في الشريعة دليل صحيح يدل على اختصاص افتراضها بدار الإسلام دون دار الحرب فوجب على المسلمين المستوطنين في دار الكفر أن يؤدوا صلاة الجمعة إذا توافرت شروطها عملاً بعموم نصوص الكتاب والسنة الدالة على أنها فرض عين على المسلمين بشروطها المعتبرة شرعاً
সূত্র : https://islamqa.info/ar/answers/26800
- islamweb.net
الجمعة واجبة على من قام ببلاد الكفر إذا توفرت شرائطها رقم الفتوى: 27188 تاريخ النشر:الإثنين 4 ذو القعدة 1423 هـ – 6-1-2003 م التقييم:
7703 0 283
السؤال ما هو حكم صلاة الجمعة في ديار الكفر؟ وهل يأثم من لم يصلها في ديار الكفر سواء كانت ديار كفر أصلية أو غير أصلية؟ أرجو أن توافونا كما تعودتم بالأدله من كتاب الله وسنة رسوله؟ و جزاكم الله خيراً…
الإجابــة الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أما بعد: فإن الجمعة إذا توفرت شرائطها وجب أداؤها، لأن فرضية صلاة الجمعة ثابتة بالكتاب والسنة والإجماع، وهذه الفرضية لا تعلق لها بدار دون دار، فهي فرض في دار الكفر كما أنها فرض في دار الإسلام. وسبق بيان أدلة وجوب الجمعة في الفتوى رقم: 8688 ولم تقيد هذه الأدلة الواجب بمن كان في دار الإسلام دون غيره، فمن تركها في دار الكفر من غير عذر فهو آثم. والله أعلم
.
সূত্র : https://www.islamweb.net/ar/fatwa/27188
فقط. والله تعالى اعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মাহদি (আফাল্লাহু আনহু)
১৮ ই শাওয়াল, ১৪৪১ হি.
১১ ই জুন, ২০২০ ইং