জিহাদ-কিতাল:ফাতওয়া  নং  ১০৫

মা বাবার অনুমতি ছাড়া কি জিহাদে যাওয়া যাবে?

মা বাবার অনুমতি ছাড়া কি জিহাদে যাওয়া যাবে

মা বাবার অনুমতি ছাড়া কি জিহাদে যাওয়া যাবে?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

মা বাবা জিহাদে যেতে বারণ করলে কি জিহাদে যাওয়া যাবে?

প্রশ্নকারী- মো : হামিম

ঠিকানা-অজ্ঞাত

 

প্রশ্ন:

আমি একটি সংশয়ের মধ্যে আছি। আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার রহ. এর লেকচারে শুনেছি, মা বাবার খেদমত করা ফরয। স্যার একটা হাদিস বলেন যে, এক সাহাবী জিহাদে যেতে চাইলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে তাঁর মা বাবার খেদমত করতে বলেন এবং বলেন, এটাই তোমার জিহাদ। আর একটা হাদিস শুনেছি যে, এক সাহাবী হিজরত করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে চলে এসে বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমি যখন আসছিলাম তখন আমার মা বাবা কাঁদছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ফিরে গিয়ে তাঁদের হাসাও। এখন আমার প্রশ্ন হল, আমি জিহাদ করতে চাই। কিন্তু আমার মা বাবা যেতে দিতে চান না। তাঁরা কান্নাকাটি করেন। তো এটি কি আমার জন্য জিহাদ থেকে বসে থাকার ওযর হবে?

প্রশ্নকারী- আসাদুল্লাহ

ঠিকানা- বগুড়া

 

উত্তর:

হাদিস শরিফে এসেছে,

عن عبد الله بن عمرو، قال: قال رجل للنبي صلى الله عليه وسلم أجاهد؟ قال: «لك أبوان؟» قال: نعم، قال: «ففيهما فجاهد. –صحيح البخاري: 5972

আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, আমি কি জিহাদে যাব? তিনি বললেন, তোমার পিতা-মাতা আছে? সে বলল হ্যাঁ। বললেন, তাহলে তাঁদের মাঝে (সেবায়) জিহাদ কর। -সহীহ বুখারী: ৫৯৭২

عن عبد الله بن عمرو، قال: أتى رجل رسول الله – صلى الله عليه وسلم – فقال: يا رسول الله، إني جئت أريد الجهاد معك، أبتغي وجه الله والدار الآخرة، ولقد أتيت وإن والدي ليبكيان! قال: “فارجع إليهما، فأضحكهما كما أبكيتهما . –سنن ابن ماجه: 2782، وقال الارنؤوط: حديث حسن.

আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আপনার সঙ্গে জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এসেছি। আমি আমার পিতা-মাতাকে কাঁদিয়ে এসেছি। তিনি বললেন, তাঁদের নিকট ফিরে যাও এবং তাঁদের মুখে হাসি ফুটাও, যেভাবে তাঁদেরকে কাঁদিয়েছ।-সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৭৮২

হাফেয ইবনে হাজার আসকলানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন:

قال جمهور العلماء: يحرم الجهاد إذا منع الأبوان أو أحدهما بشرط أن يكونا مسلمين، لأن برهما فرض عين عليه والجهاد فرض كفاية، فإذا تعين الجهاد فلا إذن. –فتح الباري: 6/140، دار المعرفة – بيروت.

জুমহুর উলামায়ে কেরাম বলেছেন, পিতা-মাতা মুসলিম হলে, তাঁরা যদি জিহাদে যেতে নিষেধ করেন, তাঁদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জিহাদে যাওয়া হারাম। কেননা তাঁদের সঙ্গে সদাচার করা ফরজে আইন; আর জিহাদ হল ফরজে কিফায়া। তবে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেলে অনুমতি নেয়ার বিধান নেই। -ফাতহুল বারী: ৬/১৪০।

এর কারণ, হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে,

عن عبد الله بن عمرو أن رجلا جاء إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فسأله عن أفضل الأعمال، قال: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “الصلاة”. قال: ثم مه؟ قال ثم: “الصلاة” قال: ثم مه؟ قال: “ثم الصلاة” ثلاث مرات، قال: ثم مه؟ قال: “ثم الجهاد في سبيل الله” قال: فإن لي والدين، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “آمرك بوالديك خيرا”، فقال: والذي بعثك نبيا لأجاهدن ولأتركنهما”. قال: فقال رسول الله، صلى الله عليه وسلم: “فأنت أعلم” -صحيح ابن حبان 1722، وقال الشيخ شعيب الأرنؤوط: إسناده حسن.

“হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে উত্তম আমল সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (উত্তম আমল হল) ‘নামায’। ওই ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তারপর কি?’ রাসূল বললেন: ‘নামায’। আবার প্রশ্ন করলেন, ‘তারপর কি?’ রাসূল বললেন: ‘নামায’। এভাবে তিনবার বললেন। তারপর ওই ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তারপর কি?’ রাসূল বললেন: ‘তারপর জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’। ওই ব্যক্তি বললেন: ‘আমার তো পিতা-মাতা আছে’। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘আমি তোমাকে তোমার পিতামাতার সঙ্গে সদাচারের নির্দেশ দিচ্ছি’। ওই ব্যক্তি বললেন: ‘কসম সেই সত্তার, যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন, আমি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করব এবং পিতামাতাকে ছেড়ে চলে যাব’। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘তুমিই ভালো জান’।” –সহীহ ইবনে হিব্বান: ১৭২২

ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি রাহিমাহুল্লাহ (৮৫২ হি.) বলেন,

وهو محمول على جهاد فرض العين اهـ. – فتح الباري: 6/180، مكتبة الصفا

“হাদিসটি ফরজে আইন জিহাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।” –ফাতহুল বারি: ৬/১৮০

 

এজন্যই ফুকাহায়ে কেরাম সুষ্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেলে পিতা মাতার অনুমতি ব্যতীত জিহাদে বেরিয়ে পড়তে হবে।

ইমাম কুরতুবী রহ. (মৃত্যু: ৬৭১ হি.) বলেন,

وقد تكون حالة يجب فيها نفير الكل، وهي: الرابعة- وذلك إذا تعين الجهاد بغلبة العدو على قطر من الأقطار، أو بحلوله بالعقر، فإذا كان ذلك وجب على جميع أهل تلك الدار أن ينفروا ويخرجوا إليه خفافا وثقالا، شبابا وشيوخا، كل على قدر طاقته، من كان له أب بغير إذنه ومن لا أب له، ولا يتخلف أحد يقدر على الخروج، من مقاتل أو مكثر. فإن عجز أهل تلك البلدة عن القيام بعدوهم كان على من قاربهم وجاور هم أن يخرجوا على حسب ما لزم أهل تلك البلدة، حتى يعلموا أن فيهم طاقة على القيام بهم ومدافعتهم. وكذلك كل من علم بضعفهم عن عدو هم وعلم أنه يدركهم ويمكنه غياثهم لزمه أيضا الخروج إليهم، فالمسلمون كلهم يد على من سواهم، حتى إذا قام بدفع العدو أهل الناحية التي نزل العدو عليها واحتل بها سقط الفرض عن الآخرين. ولو قارب العدو دار الإسلام ولم يدخلوها لزمهم أيضا الخروج إليه، حتى يظهر دين الله وتحمى البيضة وتحفظ الحوزة ويخزى العدو. ولا خلاف في هذا. اهـ -تفسير القرطبي:8/151-152

“কোনো কোনো অবস্থায় সকলের উপরই জিহাদে বেরিয়ে পড়া ফরজ হয়ে যায়। চতুর্থ মাসআলায় এটাই বর্ণনা করা উদ্দেশ্য। উক্ত অবস্থা হল, যখন কোনো (মুসলিম) ভূখন্ডে শত্রু দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলার কারণে বা কোনো ভূখন্ডে শত্রু ঢুকে পড়ার কারণে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় উক্ত ভূখন্ডে হালকা-ভারি, যুবক-বৃদ্ধ সকল অধিবাসীর উপর ফরজ, শত্রুর মোকবেলায় জিহাদে বেরিয়ে পড়া। প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী শত্রু প্রতিহত করবে। যার পিতা নেই সে তো যাবেই, যার পিতা আছে সেও পিতার অনুমতি ছাড়াই বেরিয়ে পড়বে। যুদ্ধ করতে সক্ষম কিংবা (অন্তত মুজাহিদদের) সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম, এমন কেউ বসে থাকবে না। ওই অঞ্চলের অধিবাসীরা যদি শত্রু প্রতিহত করতে অক্ষম হয়, তাহলে উক্ত ভূখন্ডের অধিবাসীদের মতো তাদের নিকটবর্তী এবং প্রতিবেশীদের উপরও আবশ্যক জিহাদে বের হয়ে পড়া; যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারবে যে, এখন তাদের শত্রু প্রতিহত করার এবং তাদেরকে বিতাড়িত করার সামর্থ্য অর্জন হয়েছে। তেমনি যে ব্যক্তিই জানতে পারবে যে, তারা শত্রু প্রতিহত করতে অক্ষম এবং সে বুঝতে পারছে, সে তাদের কাছে পৌঁছতে এবং তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে; তার উপরই আবশ্যক সাহায্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। কারণ, সকল মুসলমান তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে এক হস্তের ন্যায়। তবে যে এলাকায় শত্রু আগ্রাসন চালিয়েছে, তারা নিজেরাই যদি শত্রু প্রতিহত করতে পারে, তাহলে অন্যদের উপর থেকে ফরজ রহিত হয়ে যাবে। যদি এমন হয় যে, শত্রুরা দারুল ইসলামের নিকটবর্তী হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও দারুল ইসলামে আগ্রাসন চালায়নি, তাহলেও তাদের উপর ফরজ শত্রু প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। যাতে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী থাকে, ইসলামী ভূখন্ড সংরক্ষিত থাকে এবং শত্রু অপদস্থ ও পরাস্ত হয়। এ বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই।” -তাফসীরে কুরতুবী: ৮/১৫১-১৫২

 

শামসুল আইম্মাহ সারাখসী রহ. (মৃত্যু: ৪৯০ হি.) বলেন,

فأما إذا جاء النفير عاما فقيل لأهل مدينة: قد جاء العدو يريدون أنفسكم أو ذراريكم أو أموالكم، فلا بأس بأن يخرج بغير إذن والديه؛ لأن الخروج في مثل هذه الحالة فرض عين على كل واحد، قال الله تعالى {انفروا خفافا وثقالا} [التوبة: ৪১] . وما يفوته بترك هذه الفريضة لا يمكنه استدراكه، وما يفوته بالخروج بغير إذن الوالدين يمكنه استدراكه بعد هذا؛ فيشتغل بما هو الأهم، ولأن الضرر في تركه الخروج أعم، فإن ذلك يتعدى إليه وإلى والديه وإلى غيرهم من المسلمين، ولأنه لا يحل لوالديه أن ينهياه عن هذا الخروج، فيكون له أن يخرج ليسقط به الإثم عنهما، ولا طاعة لهما عليه فيما كانا عاصيين فيه. اهـ  -شرح السير الكبير: 1/199

“আর যখন নফিরে আমের অবস্থা সৃষ্টি হয়, যেমন কোনো শহরবাসীকে বলা হল, ‘শত্রু এসে পড়েছে; তোমাদের জান, মাল ও পরিবার পরিজনের উপর আগ্রাসন চালাতে চাচ্ছে’ তখন সন্তান তার পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া জিহাদে বের হতে কোনো অসুবিধা নেই। কেননা এ অবস্থায় জিহাদে বের হওয়া প্রত্যেকের উপর ফরজে আইন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ‘তোমরা হালকা-ভারী উভয় অবস্থায় যুদ্ধে বের হও।’ (সূরা তাওবা: ৪১)। তাছাড়া এই ফরজ ছেড়ে দেয়ার দ্বারা যে ক্ষতি হবে, তা আর পূরণ করা সম্ভব হবে না; কিন্তু পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া বের হওয়ার দ্বারা যা ছুটবে, তা পরে পুষিয়ে নেয়া যাবে। তাই যেটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ সেটাই করবে। তাছাড়া জিহাদ ছেড়ে দেয়ার ক্ষতি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এ ক্ষতি তার ব্যক্তি থেকে পিতা মাতা এবং অন্যান্য সকল মুসলমান পর্যন্ত গড়াবে। তাছাড়া এ সময় জিহাদে বের হতে নিষেধ করাও তার পিতা মাতার জন্য জায়েয নয়। তাই তার বের হওয়ার দ্বারা যেন পিতা মাতা (ফরজ আদায়ে বাধা দানের) গুনাহ থেকে রক্ষা পায়, এজন্যও বের হতে পারবে। আর যেখানে তারা (আল্লাহ তাআলার) নাফরমানি করবে, সেখানে তাদের আনুগত্য করা তার দায়িত্ব নয়।” -শরহুসসিয়ারিল কাবীর: ১/১৯৯

 

ফাতাওয়া তাতারখানিয়াতে এসেছে,

والمرأة تخرج بغير إذن زوجها، والولد بغير إذن أبويه، ولا يحل منعهم من ذلك حتى يزول الخوف منهم اهـ. –الفتاوى التاتارخانية: 7/9

“মহিলা তাঁর স্বামীর অনুমতি ব্যতীত বের হয়ে পড়বে, সন্তান তাঁর পিতামাতার অনুমতি ব্যতীত বের হয়ে পড়বে। এবং শত্রুভয় দূর হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে বের হতে নিষেধ করা জায়েয হবে  না।” –তাতারখানিয়া: ৭/৯

আরও দেখুন: রদ্দুল মুহতার: ৪/১২৭, দারুল ফিকর; আলবাহরুর রায়িক: ৫/৭৮, দারুল কিতাবিল ইসলামী; আলমুগনী: ১২/৪৪৪, দারুল হাদিস; মুগনিল মুহতাজ: ৬/২৪, দারুল হাদিস; মাওয়াহিবুল জালিল: ৪/৫৪১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া।

 

উল্লেখ্য, ফুকাহায়ে কেরামের উপরোক্ত বক্তব্যগুলো, যেগুলোতে তাঁরা বলেছেন, জিহাদ ফরজে আইন হয়ে গেলে সব কিছু বাদ দিয়ে তাৎক্ষণিক জিহাদে বেরিয়ে পড়তে হবে; পিতা মাতার অনুমতিও লাগবে না- তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল, যখন শত্রুরা মুসলিমদের ওপর আক্রমণ করে বসে বা তাদের ভূমিতে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার আগের কোনো স্তরে থাকে, এখনো দখল ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুসলিমরা তৎপর হলেই তাদের প্রতিহত করা সম্ভব।

কিন্তু আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি এমন নয়। বরং এখানে শত্রুরা আমাদের ওপর বিজয় লাভ করে দখল ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে এবং আমরা এত দুর্বল স্তরে পৌঁছেছি যে, তাদের বিরুদ্ধে ফিলহাল আমাদের জিহাদের পূর্ণ সামর্থ্য নেই। এই পরিস্থিতিতে জিহাদ ফরজে আইন ঠিক, কিন্তু এই মুহূর্তে বেরিয়ে পড়া জরুরি নয়; বরং সামর্থ্য অর্জন করা পর্যন্ত জিহাদ বিলম্বিত করার সুযোগ আছে। এখন মূল দায়িত্ব হচ্ছে জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ফরজের এই প্রস্তুতি পর্বটা যেহেতু পিতা মাতার খেদমতের ফরজের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, এজন্য জিহাদের প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের খেদমতের ফরজও আদায় করে যেতে হবে। তাঁদেরকেও জিহাদি কাজে শরিক করার চেষ্টা করতে হবে।

والله أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২২-০১-১৪৪২ হি.

১১-০৯-২০২০

আরো পড়ূন
পিতা-মাতার টাকা তাঁদের অনুমতি ছাড়া জিহাদে দান করা যাবে কি?

পিতা-মাতা জিহাদী সংগঠনে অংশগ্রহণে বাধা দিলে করণীয়

বর্তমান পরিস্থিতিতে পিতা-মাতার খেদমত করব, না জিহাদ করব?

বৃদ্ধ মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তান রেখে অন্যত্র হিজরত করার কী হুকুম?

বাবা জিহাদ নিয়ে কটাক্ষ করলে ছেলের করণীয় কী?

Related Articles

Back to top button