সামর্থ্যবানদের জন্য সম্পদ দিয়ে জিহাদ করা কি ফরজ?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন:
জিহাদ কি জান ও মাল উভয়টি দিয়ে করাই ফরজ? সামর্থ্যবানদের জন্য জিহাদের প্রয়োজনে অর্থ ব্যয় করা কি ফরজ?
উত্তর:
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدًا ومصليًا ومسلمًا
জান দিয়ে জিহাদ করা যেমন ফরজ, মাল দিয়ে জিহাদ করাও ফরজ। আল্লাহ তাআলা উভয়টি দিয়ে জিহাদ করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
{انْفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا وَجَاهِدُوا بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ (41) } [التوبة: 41]
“হালকা ভারী যে অবস্থায়ই থাক (জিহাদে) বেরিয়ে পড় এবং নিজেদের সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ কর। এটিই তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা জান।” -সূরা তাওবা (০৯): ৪১
অপর আয়াতে বলেন,
{يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ (10) تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ (11)} [الصف: 10، 11]
“হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের সম্পদ ও জীবন দিয়ে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম; যদি তোমরা জান।” –সূরা সাফ (৬১) : ১০-১১
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
جَاهِدُوا الْمُشْرِكِينَ بِأَمْوَالِكُمْ، وَأَنْفُسِكُمْ، وَأَلْسِنَتِكُمْ. -مسند أحمد ط الرسالة: 12246، سنن أبي داود ت الأرنؤوط: 2504؛ قال الشيخ الأرنؤوط وغيره من المحققين في تحقيق المسند و تحقيق سنن أبي داود: إسناده صحيح. اهـ
“তোমরা নিজেদের সম্পদ, জীবন ও যবান দিয়ে মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর।” -মুসনাদে আহমাদ: ১২২৪৬, সুনানে আবু দাউদ: ২৫০৬ (হাদিসটি সহীহ)।
এছাড়াও আরো অসংখ্য আয়াত ও হাদিসে জান মাল উভয়টি দিয়ে জিহাদ করার নির্দেশ এসেছে। অতএব, সামর্থ্যবানদের জন্য জিহাদের প্রয়োজনে জান দিয়ে শরীক হওয়ার পাশাপাশি অর্থ ব্যয় করাও ফরজ।
তবে কেউ যদি জান মালের কোনো একটিতে অক্ষম হয়, তাহলে সে অপরটি দিয়ে জিহাদ করবে। যার শারীরিক সক্ষমতা আছে কিন্তু অর্থ নেই, তিনি সশরীরে শরীক হবেন। যার অর্থ আছে কিন্তু যুদ্ধ করার মতো শারীরিক সক্ষমতা নেই, তিনি জিহাদে সম্পদ ব্যয় করবেন। প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়ে মুজাহিদদের সহায়তা করবেন। পাশাপাশি আরও যেভাবে পারেন সহায়তা করবেন। যেমন মুজাহিদদের পক্ষ অবলম্বন করবেন। অন্যদের উৎসাহ দেবেন। জিহাদের মাসায়েল শিখবেন ও বর্ণনা করবেন। সংশয়-সন্দেহ ও অপব্যাখ্যা দূর করার চেষ্টা করবেন ইত্যাদি।
আর যার অর্থও নেই, যুদ্ধ করার মতো শারীরিক সক্ষমতাও নেই তিনি যেভাবে যতটুকু সহায়তা করতে পারেন করবেন। যেমন বুদ্ধি পরামর্শ ও সমর্থন দেয়া, উৎসাহ দেয়া, সংশয়-সন্দেহ-অপব্যাখ্যা দূর করা ইত্যাদি। সামর্থ্যানুযায়ী সহায়তা করা ছাড়া মা’জুর ব্যক্তিরাও দায়মুক্ত হবেন না।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
{لَيْسَ عَلَى الْأَعْمَى حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْأَعْرَجِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْمَرِيضِ حَرَجٌ } [الفتح: 17]
(যুদ্ধ না করাতে) অন্ধ ব্যক্তির কোন গুনাহ নেই, খোঁড়া ব্যক্তিরও গুনাহ নেই এবং রুগ্ন ব্যক্তিরও গুনাহ নেই। -সূরা ফাতহ (৪৮) : ১৭
অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন,
{لَيْسَ عَلَى الضُّعَفَاءِ وَلَا عَلَى الْمَرْضَى وَلَا عَلَى الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ مَا يُنْفِقُونَ حَرَجٌ إِذَا نَصَحُوا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ مَا عَلَى الْمُحْسِنِينَ مِنْ سَبِيلٍ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ (91) وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوْا وَأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا مَا يُنْفِقُونَ (92)} [التوبة: 91، 92]
“দুর্বল লোকদের (জিহাদে না যাওয়াতে) কোনো গুনাহ নেই এবং রুগ্ন ও সেই সকল লোকদেরও গুনাহ নেই, যাদের কাছে খরচ করার মতো কিছু নেই; যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কল্যাণকামী হয়। মুহসিন ও সৎলোকদের সম্পর্কে কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সেই সকল লোকেরও (গুনাহ) নেই, যাদের অবস্থা এই যে, যখন আপনি তাদের জন্য কোনো বাহনের ব্যবস্থা করবেন, এই আশায় তারা আপনার নিকট আসল, আর আপনি তাদেরকে বললেন, আমার কাছে তো তোমাদেরকে দেয়ার মতো বাহন নেই, তখন তাদের কাছে খরচ করার মতো কিছু না থাকার দুঃখে তারা এভাবে ফিরে গেল যে, তাদের চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পরছিল।” -সূরা তাওবা (০৯): ৯১-৯২
ইমাম আবু বকর জাসসাস রহ. (৩৭০ হি.) বলেন,
وقوله: ﴿وجاهدوا بأموالكم وأنفسكم في سبيل الله﴾ فأوجب فرض الجهاد بالمال والنفس جميعا، فمن كان له مال وهو مريض أو مقعد أو ضعيف لا يصلح للقتال فعليه الجهاد بماله بأن يعطيه غيره فيغزو به، كما أن من له قوة وجلد، وأمكنه الجهاد بنفسه كان عليه الجهاد بنفسه- وإن لم يكن ذا مال ويسار بعد أن يجد ما يبلغه؛ ومن قوي على القتال، وله مال فعليه الجهاد بالنفس والمال، ومن كان عاجزا بنفسه معدما فعليه الجهاد بالنصح لله ولرسوله بقوله: ﴿ليس على الضعفاء ولا على المرضى ولا على الذين لا يجدون ما ينفقون حرج إذا نصحوا لله ورسوله﴾ -أحكام القرآن للجصاص: 3\151
“আল্লাহ তাআলার বাণী- ‘আর তোমরা তোমাদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর’ এখানে তিনি মাল ও জান উভয়টি দিয়ে জিহাদ করা ফরজ করেছেন। যার মাল আছে কিন্তু সে অসুস্থ কিংবা পঙ্গু বা দুর্বল, যার ফলে সে কিতাল করার সামর্থ্য রাখে না, তার জন্য মাল দিয়ে জিহাদ করা ফরজ। সে অন্য এমন কাউকে মাল দিয়ে দেবে, যে এ মাল দিয়ে জিহাদ করবে। আর যার শারীরিক শক্তি-সামর্থ্য আছে এবং যুদ্ধ করতে সক্ষম, সে যদি সম্পদশালী এবং প্রাচুর্য্যের অধিকারী নাও হয়, তবুও জিহাদে পৌঁছার মতো খরচের ব্যবস্থা হয়ে গেলে তাকে যুদ্ধে শরীক হতে হবে। যে যুদ্ধ করতে সক্ষম এবং তার মালও আছে, তাকে জান ও মাল উভয়টি দিয়ে জিহাদ করতে হবে। আর যে শারীরিক দিক থেকেও অক্ষম এবং তার মালও নেই, তার জন্য ‘আন-নুসহু লিল্লাহি ওয়া রাসূলিহি’-‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কল্যাণকামিতা’র মাধ্যমে জিহাদে শরীক হওয়া আবশ্যক। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘দুর্বল লোকদের জিহাদে না যাওয়াতে কোনো গুনাহ নেই এবং রুগ্ন ও সেই সকল লোকদেরও গুনাহ নেই, যাদের কাছে খরচ করার মতো কিছু নেই; যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কল্যাণকামী হয়’।” -আহকামুল কুরআন: ৩/১৫১
সূরা তাওবার ৪৪ নং আয়াতের তাফসীরে তিনি বলেন,
وهذه الآية أيضا تدل على وجوب فرض الجهاد بالمال والنفس جميعا لأنه قال تعالى أن يجاهدوا بأموالهم وأنفسهم فذمهم على الاستئذان في ترك الجهاد بهما والجهاد بالمال يكون على وجهين أحدهما إنفاق المال في إعداد الكراع والسلاح والآلة والراحلة والزاد وما جرى مجراه مما يحتاج إليه لنفسه والثاني إنفاق المال على غيره مما يجاهد ومعونته بالزاد والعدة ونحوها والجهاد بالنفس على ضروب منها الخروج بنفسه ومباشرة القتال ومنها بيان ما افترض الله من الجهاد وذكر الثواب الجزيل لمن قام به والعقاب لمن قعد عنه ومنها التحريض والأمر ومنها الإخبار بعورات العدو وما يعلمه من مكايد الحرب وسداد الرأي وإرشاد المسلمين إلى الأولى والأصلح في أمر الحروب … ونحو ذلك من كل قول يقوي أمر المسلمين ويوهن أمر العدو. -أحكام القرآن للجصاص: 3\153
“এই আয়াতটিও জান মাল সব দিয়ে জিহাদ ফরজ হওয়ার প্রতি নির্দেশ করছে। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন, أن يجاهدوا بأموالهم وأنفسهم- ‘তারা নিজেদের সম্পদ ও জান দিয়ে জিহাদ করতে …’। জান মাল দিয়ে জিহাদ পরিত্যাগ করার কারণে আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদের তিরস্কার করেছেন।
মাল দিয়ে জিহাদ দুই ভাবে হতে পারে।
এক. ঘোড়া, অস্ত্র, বাহন, সফরের পাথেয় এবং এ জাতীয় নিজের প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ প্রস্তুত করণে মাল খরচ করা।
দুই. জিহাদে যাবে, এমন কাউকে সম্পদ দেয়া এবং পাথেয় ও যুদ্ধসামগ্রী ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতা করা।
জান দিয়ে জিহাদ কয়েকভাবে হতে পারে। (১) নিজে জিহাদে বের হওয়া ও সরাসরি ক্বিতালে অংশ নেয়া। (২) আল্লাহ তায়ালা যে জিহাদ ফরজ করেছেন, তা (মানুষের সামনে) খুলে বর্ণনা করা। এ ফরজ যে ব্যক্তি আঞ্জাম দিবে তার প্রচুর সাওয়াব প্রাপ্তির কথা এবং যে পরিত্যাগ করবে তার শাস্তির কথা বর্ণনা করা। (৩) উদ্বুদ্ধ করা ও জিহাদের নির্দেশ দেওয়া। (৪) শত্রুদের গোপন সংবাদ অবগত করা, নিজের জ্ঞাত যুদ্ধকৌশল ও সঠিক মতামত জানানো এবং মুসলিমদেরকে যুদ্ধ সংক্রান্ত সঠিক ও উপযোগী দিকনির্দেশনা দেয়া। … এছাড়াও এমন প্রত্যেক কথা, যা মুসলিমদের শক্তিশালী ও কাফিরদের দুর্বল করতে পারে।” –আহকামুল কুরআন ৩/১৫৩
তিনি আরও বলেন,
فلم يخل من أسقط عنه فرض الجهاد بنفسه وماله للعجز والعدم من إيجاب فرضه بالنصح لله ورسوله فليس أحد من المكلفين إلا وعليه فرض الجهاد على مراتبه التي وصفنا. -أحكام القرآن للجصاص: 3\148
“শারীরিক অক্ষমতা ও সম্পদহীনতার কারণে আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করার ফরজ দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দিয়েছেন, তারাও আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি কল্যাণকামিতার মাধ্যমে জিহাদ করার ফরজ দায়িত্ব থেকে মুক্ত নয়। অতএব, প্রত্যেক মুকাল্লাফের উপরই কোনো না কোনো স্তরে জিহাদের ফরজ দায়িত্ব রয়েছে, যেমনটি আমরা বর্ণনা করেছি।” –আহকামুল কুরআন: ৩/১৪৮
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮ হি.) বলেন,
والعاجز عن الجهاد بنفسه يجب عليه الجهاد بماله فى أصح قولى العلماء وهو احدى الرواتيين عن أحمد فان الله أمر بالجهاد بالمال والنفس فى غير موضع من القرآن وقد قال الله تعالى ﴿فاتقوا الله ما استطعتم﴾ وقال النبى صلى الله عليه و سلم (اذا أمرتكم بأمر فأتوا منه ما استطعتم) أخرجاه فى الصحيحن فمن عجز عن الجهاد بالبدن لم يسقط عنه الجهاد بالمال كما ان من عجز عن الجهاد بالمال لم يسقط عنه الجهاد بالبدن. –مجموع الفتاوى: 28\87
“বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, শারীরিকভাবে জিহাদে অক্ষম ব্যক্তির ওপর নিজের মাল দিয়ে জিহাদ করা ফরজ। এক বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ রহ. এরও একই মত। কেননা, আল্লাহ তাআলা কুরআনের অনেক স্থানে মাল ও জান উভয়টি দিয়ে জিহাদ করতে আদেশ করেছেন। আল্লাহ তাআলা এও বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সামর্থ্যানুযায়ী আল্লাহকে ভয় কর’। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যখন আমি তোমাদেরকে কোন কিছুর আদেশ দেই, তার যতটুকু তোমাদের সাধ্যে কুলায় ততটুকু আদায় কর’। ইমাম বুখারী রহ. ও মুসলিম রহ. সহীহাইনে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি শারীরিক জিহাদে অক্ষম, তার থেকে মালের জিহাদ মওকুফ (স্থগিত) হবে না। যেমন মাল দিয়ে যে জিহাদ করতে অক্ষম, তার থেকে শারীরিক জিহাদ মওকুফ হয় না।” -মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৮/৮৭
তিনি আরও বলেন,
فمن كان له مال وهو عاجز ببدنه فليغز بماله ففى الصحيحين عن النبى انه قال (من جهز غازيا فقد غزا ومن خلفه فى اهله بخير فقد غزا) ومن كان قادرا ببدنه وهو فقير فليأخذ من اموال المسلمين ما يتجهز به سواء كان المأخوذ زكاة او صلة او من بيت المال او غير ذلك. –مجموع الفتاوى: 28\421
“যার মাল আছে, কিন্তু শারীরিকভাবে অক্ষম, সে মাল দিয়ে জিহাদ করবে। সহীহাইনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে, ‘যে ব্যক্তি জিহাদের সরঞ্জাম ও খরচাদি সরবরাহ করে আল্লাহর রাস্তার কোনো মুজাহিদকে প্রস্তুত করে দিল, সে যেন নিজেই জিহাদ করল। যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তার কোনো মুজাহিদের অনুপস্থিতিতে উত্তমভাবে তার পরিবারের দেখাশুনা করল, সেও যেন নিজেই জিহাদ করল।’ আর যে শারীরিকভাবে সক্ষম কিন্তু গরীব, সে যুদ্ধে যাওয়ার প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ অন্য মুসলমানদের থেকে গ্রহণ করবে, চাই উক্ত সম্পদ যাকাত হোক, দান হোক, বাইতুল মাল থেকে হোক বা অন্য কোনো সম্পদ হোক।” -মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৮/৪২১
আরও দেখুন, মাবসূতে সারাখসি: ১০/২০, তাবয়িনুল হাকায়িক: ৩/২৪২, রদ্দুল মুহতার: ৪/১২৮
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
১৮-০৩-১৪৪২ হি.
০৫-১১-২০২০ ঈ.
আরো পড়ূন
বর্তমানে বাংলাদেশে কি জিহাদ ফরজ?