কিতাব-রিসালাহপ্রবন্ধ-নিবন্ধ

পাহাড়ে আতংক – মুসলিম হলে খুন; খ্রিস্টান হলে অর্থ ও সেবা

পাহাড়ে আতংক

মুসলিম হলে খুন, নির্যাতন; খ্রিস্টান হলে মিলছে অর্থ ও সেবা

 

সাঈদ আবদুল্লাহ

 

পাহাড়ে আতংক – মুসলিম হলে খুন, নির্যাতন; খ্রিস্টান হলে মিলছে অর্থ ও সেবা fatwaa

সূচিপত্র

পাহাড়ে আতংক – মুসলিম হলে খুন, নির্যাতন; খ্রিস্টান হলে মিলছে অর্থ ও সেবা.. 4

বাংলাদেশের আইন কি বলে?. 4

পাহাড়ে মুসলিম নির্যাতনের কিছু নমুনা.. 5

ঘটনা ১ – ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যা: 5

ঘটনা ২ – পাহাড়ে আযান দেয়া নিষেধ: 7

ঘটনা ৩- পাহাড়ে ধর্মান্তরিত মুসলিমদের মৃতদেহ দাহ করছে পরিবার, প্রশাসন নীরব: 10

পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের শোডাউন. 11

পাহাড়ে খ্রিস্টানাইজেশন. 11

শেষ কথা.. 13

 

পাহাড়ে আতংক – মুসলিম হলে খুন, নির্যাতন; খ্রিস্টান হলে মিলছে অর্থ ও সেবা

 আয়তনের দিক দিয়ে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিশাল, সম্পূর্ণ বাংলাদেশের প্রায় ১০%। তবে সমগ্র দেশে যেখানে মানুষ গিজগিজ করে থাকে, পাহাড়ে সেরকম থাকে না। সেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক কম। মোট জনসংখ্যা মাত্র ১৮-১৯ লক্ষ প্রায়। এর মধ্যে বাঙ্গালি ৪৯%, আর বাকি ৫১% হল পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। পাহাড়ে প্রায় ৯ লক্ষ মুসলমান বাস করে। পাহাড়ের অধিকাংশ বাসিন্দা সরল, শান্তিপ্রিয় ও অতিথিপরায়ণ । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে পাহাড়ি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর অনেক সদস্যই দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজ যোগ্যতায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছে।

কিন্তু এত সুন্দর, প্রাকৃতিক ও শান্তিপ্রিয় সমাজে একদল সন্ত্রাসী আতংক ছড়াচ্ছে। বিস্ময়করভাবে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও প্রশাসন রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। পাহাড়ে মিশনারি বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও এনজিও রীতিমত আগ্রাসীভাবে, অনৈতিক পন্থায় ইসলাম প্রচারের ভান করে জনগোষ্ঠীকে খ্রিস্টান বানানোর কাজ করে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ঢাকার একটি দৈনিকে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে সেখানে ১২ হাজার উপজাতীয় পরিবারকে ধর্মান্তরিত করে খ্রিষ্টান বানানো হয়েছে। পার্বত্য চট্রগ্রামে বর্তমানে গির্জাই রয়েছে মোট ৭৩টি। কিন্তু এর উল্টোপিঠে এখানে কেউ মুসলিম হলে, ইসলামের দাওয়াত দিলে ও মসজিদ নির্মাণ করলে তার কপালে জুটছে হত্যা, নির্যাতন ও কারাবাস।

বাংলাদেশের আইন কি বলে?

বাংলাদেশ একটি মানবরচিত আইনে চালিত দেশ। যেখানে শাসন ও বিচার করা হয় তাগুতী বিধানে। কিন্তু পাহাড়ে মিশনারীদের কর্মকান্ড এবং বিপরীতে মুসলিমদের দাওয়াতি কাজের ক্ষেত্রে তাগুত নিজেই নিজের আইন মানছে না।

বাংলাদেশে প্রায় ৯০% জনগোষ্ঠী মুসলিম। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাস্ট্র। বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিক যেকোনো ধর্মপ্রচার বা স্বেচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তন করতে পারবে, এতে আইনত কোনো বাধা নেই। তবে দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে কাউকে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ ফৌজদারি অপরাধ। সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদের ১ নম্বর ধারার ক, খ, গ উপধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে এ দেশে যে কেউ স্বেচ্ছায় ধর্মাবলম্বন, ধর্মচর্চা, ধর্মানুশীলন, ধর্মপ্রচার, ধর্মীয় উপাসনালয় স্থাপন করতে পারবেন। এটা নাগরিকের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।

পাহাড়ে এ আইন মোটেই মানা হচ্ছে না। আর প্রশাসন তা দেখেও না দেখার ভান করছে। তাগুত নিজেই এক্ষেত্রে তার আইন মানছে না। পাহাড়ে সকল ধর্ম প্রচারের অধিকার  দিলেও  ইসলাম প্রচার করতে দিচ্ছে না প্রশাসন।

পাহাড়ে কেউ যদি মুসলিম হয় তাহলে সন্ত্রাসীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ইতোমধ্যে এরকম একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে যা একটু পরে আলোচনায় আসবে। পাহাড়ে গিয়ে আপনি  যদি  জনগোষ্ঠীকে ইসলামের দাওয়াত দেন তাহলে আপনাকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে। এবং আপনার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ছড়ানোর মামলা দিয়ে দেবে। ইসলামের দাওয়াত তো পরের কথা, আজ পাহাড়ে আযান দিলেও গ্রেফতার হতে হচ্ছে। অথচ  মুহাম্মাদ ﷺ এর হাদিস অনুযায়ী পাহাড়ে আযান দেবার ফজিলত অনেক।

সংখ্যালঘু নির্যাতনকে এদেশে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়। আর ৯০% মুসলিমের দেশে পাহাড়ে মুসলিমরা পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পান না। সাহাবীরা যেমন মক্কায় নির্যাতিত হয়েছিলেন, তেমনিভাবে বাংলাদেশের পাহাড়ী মুসলিমরাও নব্য আবু জেহেলদের হাতে নির্যাতন ও খুনের শিকার হচ্ছেন।

পাহাড়ে মুসলিম নির্যাতনের কিছু নমুনা

ঘটনা ১ – ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যা:

ওমর ফারুক ত্রিপুরা মূলত বান্দরবনের রোয়াংছড়ির ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বাসিন্দা। তার বাবাসহ এই জনগোষ্ঠীর অনেকেই খৃস্টান মিশনারিদের দাওয়াতে প্রভাবিত হয়ে হিন্দু থেকে খৃস্টান হয়। ওমর ফারুক ত্রিপুরাও পূর্বে খৃস্টান ছিলেন। এরপর ২০১৪ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর থেকেই সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আসছিলেন। সেসবের তোয়াক্কা না করে পাহাড়ে ইসলাম প্রচারের কাজ শুরু করেন। গত ২১ জুন, ২০২১ এ দৈনিক নয়াদিগন্তে প্রকাশিত প্রতিবেদন[1] থেকে জানা যায় যে, “ওমর ফারুক ২০১৪ সালে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে স্বপ্রণোদিত হয়ে সপরিবারে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার প্রচেষ্টায় ৩০টি অমুসলিম পরিবার ইসলামের পথে আসে। ওমর ফারুক প্রত্যন্ত এলাকায় টিনের একটি মসজিদ গড়ে তোলেন এবং নওমুসলিমদের এই মসজিদে তিনি নিয়মিত ইমামতি করতেন। একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ওমর ফারুক ও নবদীক্ষিত পরিবারের সদস্যদের হুমকি এবং তাদের ধর্মকর্ম সম্পাদনে বাধা দিয়ে আসছিল অনেক আগে থেকেই। অবশেষে ২০২১ সালের ১৭ই জুন ওমর ফারুক (৫৪) নামে মসজিদের এই উপজাতীয় ইমাম অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ হারালেন। এই হত্যাকাণ্ডে পাহাড়বাসী মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত নবদীক্ষিত পরিবারের মুসলিম সদস্যরা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ওমর ফারুক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী একটি বার্তা দিয়ে গেল যে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে, ইসলামের দাওয়াতি তৎপরতা চালালে এবং মসজিদ নির্মাণ করলে এভাবে লাশ পড়বে।”

সম্প্রতি ওমর ফারুকের মেয়ে আমেনা ত্রিপুরার সাক্ষাতকারে[2] [২] হত্যাকাণ্ডের  বিস্তারিত বিবরণ এসেছে। এশার নামাজের পর কিছু লোক এসে তড়িঘড়ি ওমর ফারুককে বাইরে নিয়ে যায়। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করে যে, তিনি নিজের জমিনে মসজিদ নির্মাণ করেছেন কিনা। ওমর ফারুক ইতিবাচক উত্তর দিলে তারা তৎক্ষণাৎ ব্রাশফায়ার করে ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস (সন্ত) গ্রুপের দিকে অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসীরা সেই এলাকায় এতই প্রভাবশালী যে, তারা কোন আইনের তোয়াক্কা করে না।

আশেপাশে প্রায় ৩০টি পরিবার বাস করলেও তাদের ভয়ে কেউই ওমর ফারুকের লাশের কাছে আসেন নি। এমনকি সারারাত প্রতিবেশীরা কেউ ঘরের বাতিও জ্বালায় নি। পরেরদিন এসে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী লাশ উদ্ধার করে। আরও জানা যায় যে, ওই এলাকায় ১২টি পরিবার ইসলাম গ্রহণ করলেও সন্ত্রাসীদের হুমকি খেয়ে আবার আগের ধর্মে ফিরে গেছে।

ঘটনা ২ – পাহাড়ে আযান দেয়া নিষেধ:

ইসলাম ধর্মে আযান দেয়া অনেক ফযিলতের কাজ। আযানের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার পাপ মোচন করেন ও জান্নাত দান করেন। অনেক অমুসলিম দেশে আযান দেয়া নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। আর বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেও আযান দেয়ার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বাংলাদেশের নানা স্থানে অবস্থিত অসংখ্য মসজিদেই  প্রত্যহ ৫ বার আযান দেয়া হয়। আযান দেয়াকে বাংলাদেশের কোথাও ধর্মীয় উসকানিমূলক কাজ হিসেবে অবহিত করা হয় না। উপরন্তু মুসলিম মুসাফিররা যদি পাহাড় পর্বতে বেড়াতে যায় আর আযান দিয়ে নামাজ পড়ে, তবে তা অত্যন্ত ফযিলতের কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হজরত উকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি- ‘তোমাদের রব বকরি চড়ানো সেই রাখালকে দেখে আশ্চর্যবোধ করেন। যে পাহাড়ের পাদদেশে আজান দেয় ও নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘আমার এ বান্দার দিকে দেখ, সে আজান দেয় ও ইকামত দেয় এবং আমাকে ভয় করে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম’। (সুনানে আবু দাউদ, নাসায়ী)

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবর[3] থেকে জানা যায় যে, গত ৩১শে আগস্ট কুমিল্লা থেকে দুইজন মাদ্রাসাপড়ুয়া যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের অপরাধ হল তারা গত ২৭ আগস্ট চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে আযান দেয়ার ভিডিও[4] করে ফেসবুকে পোস্ট দেয় এবং সেখানে ইসলামের পতাকা ওড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর ফলে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বাসুদেব রায় মামলাটি দায়ের করে। মামলায় ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া শিক্ষার্থীসহ যারা ওই পোস্ট শেয়ার এবং তাতে কমেন্ট করেছেন তাদেরসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলে, ‘হিন্দুদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়ে আজান দেওয়ার ছবি তুলে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়’।

ইচ্ছাকৃতভাবে নামাযের সময় বাদ্য বাজনা বাজিয়ে, সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিয়ে  উসকানি দেওয়া, মন্দির থেকে মুসল্লিদের উপর গুলি করা, মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের উপর মারধোর করা, নামায আদায় করতে না দেওয়া, মসজিদে তালা লাগিয়ে দেবার হুমকি দেওয়ার মতো চরম সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক অপরাধ একাধিকবার সম্পাদন করেছে বাংলাদেশের হিন্দুরা। অথচ তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উলটো হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের বুকে গুলি চালিয়েছে। আদালত মামলা ফিরিয়ে দিয়েছে। মিডিয়াও হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে  সংবাদ প্রচার করেছে। সত্যকে লুকিয়ে রেখেছে।

২০১৪ সালের ৩০ জুন রাজধানীর স্বামীবাগের প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী স্বামীবাগ মসজিদের মুসলিমদের ওপর হামলা চালায় হিন্দুরা। ইসকন সদস্যরা ভোর চারটা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করে উচ্চশব্দে এলাকা কাঁপিয়ে ঢোল-বাদ্য বাজায়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় ঢোল-বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করলে ইসকনের নেতৃস্থানীয়রা  তাতে রাজি না হয়ে বরং চরম দুর্ব্যবহার করে। এরপর রথযাত্রায় অসুবিধার অজুহাতে তারাবীর নামাজ সংক্ষিপ্ত করতে বলে হিন্দুরা। তাদের আবদার মতো নামায শেষ না করায়  তারা মসজিদে ঢিল ছুঁড়ে কয়েকজন মুসল্লিকে আহত করে। এর মধ্যে সেখানে এসে হাজির হয় গেন্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ। সে হিন্দুদের হয়ে মসজিদের ইমাম সাহেবকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে, কিন্তু মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে  ব্যর্থ হয়। এসআই অমল কৃষ্ণ হুমকি দেয়, ‘হিন্দুদের কথামতো যদি দশটার আগে নামায শেষ না করা হয়, তাহলে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে’।

ভারতে যেভাবে দাঙ্গার সময়ে পুলিশ আর সাধারণ হিন্দুরা মিলে মুসলমানদের হামলা করে, ঠিক সেভাবেই পুলিশের ছত্রছায়ায় সেখানে হিন্দুরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে বেশ কয়েকজন আহত করে। এরপর স্থানীয় ঢাকা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ উপস্থিত হলে হিন্দুরা স্লোগান দিতে থাকে ‘ওপার বাংলার হিন্দু এপার বাংলার হিন্দু এক হও, মসজিদে হামলা দিতে হবে’।

ঈদুল ফিতরের আগের দিন রথযাত্রার নামে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইট সংলগ্ন রাস্তায়ও হিন্দুরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানারূপ অঙ্গভঙ্গি, চেঁচামেচি এবং হৈ-হুল্লোড় করে। এবং উচ্চ আওয়াজে বাদ্য-যন্ত্র বাজিয়ে অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

এ বিষয়গুলোর কারণে ইসকনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে আদালত সে মামলা ফিরিয়ে দেয়।

অন্যদিকে সিলেটের কাজলাশাহ মসজিদের পাশেই ইসকন মন্দির। নামাযের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তারা বাদ্য-যন্ত্র বাজায় ও মন্ত্র পাঠ করে। তাদের  তাণ্ডবে নামাজ আদায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনেকবার তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে নামাযের সময় বাদ্যযন্ত্র না বাজানোর জন্য। কিন্তু তারা অনুরোধ রাখেনি।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জুমার নামাজের সময় মন্দিরে উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছিল, যা মুসল্লিদের নামাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। মন্দিরের লোকজনকে মুসল্লিরা কিছুক্ষণের জন্য গান বাজনা বন্ধ করতে বললে তারা সেই অনুরোধ রাখেনি। তাই নামাজের পর মুসল্লিরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মন্দিরে গেলে তারা চটে যায়। এক পর্যায়ে মন্দিরের ভেতর থেকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে মুসল্লিরাও ইট পাটকেল মারলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। ইসকন ভক্তরা অস্ত্র (দা বটি) নিয়েও মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়। এমনকি মন্দিরের ভেতর থেকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে হিন্দুরা গুলি ছোঁড়ে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে মুসল্লিদের উপর গুলি ছুড়তে থাকে। টিয়ার গ্যাসও নিক্ষেপ করে। এতে সাবেক কাউন্সিলর জেবুন্নাহার শিরিনসহ প্রায় ১২ জন মুসল্লি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ৭ জন। পথচারীসহ অনেকে ইট পাটকেল এর আঘাতে আহত হন। ১৫ জনের মতো মুসলিমকে আটক করে পুলিশ।[5]

হিন্দুদের অসংখ্য সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কর্মকান্ডের ব্যাপারে প্রশাসন নীরব। সব ঘটনায় তাদের সহযোগী। অথচ আযান দেবার মতো সাধারণ ঘটনাকেই ইস্যু বানিয়ে তারা  মুসলিমদের গ্রেফতার করছে।  মসজিদে ঢুকে তালা লাগিয়ে দেবার হুমকি দেওয়া বা মুসল্লিদের নামায আদায় করতে বাঁধা দেবার অধিকার রয়েছে বাংলাদেশের হিন্দুদের। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মুসলিমদের মন্দির থেকে অনেক দূরের ভূমিতেও আযান দেবার অধিকার নেই।

ঘটনা ৩- পাহাড়ে ধর্মান্তরিত মুসলিমদের মৃতদেহ দাহ করছে পরিবার, প্রশাসন নীরব:

ইসলাম ধর্মমতে কেউ ইসলাম গ্রহণ করে মারা গেলে তার লাশ পোড়ানো যাবে না। তাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করতে হবে। কিন্তু এই বিধানকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় পাহাড়ে মুসলিমদের লাশ পোড়ানো হচ্ছে। জীবিত অবস্থায় ইসলাম গ্রহণের কারণে নানা নির্যাতনের শিকার পাহাড়ি মুসলিমরা মরার পরেও কবর পাচ্ছেন না। এ ঘটনা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন।

২০২১ সালের ১৪ই জুন খাগড়াছড়িতে নুসরাত জাহান নামে এক নওমুসলিম নারীর লাশ চিতায় পোড়ানো হয়। নুসরাত ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন এবং মামুন নামে এক মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেন। একারণে তার উপর একের পর এক হুমকি আসলে তিনি এক পর্যায়ে খাগড়াছড়ি ছেড়ে ঢাকায় বসবাস করা শুরু করেন। গত ১২ই জুন রাজধানীর এক বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নুসরাত ধর্মান্তরিত হয়ে এফিডেভিট করিয়ে মুসলমান হয়েছিলেন[6] । তাই তার লাশ মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করাই ছিল উচিত কাজ। কিন্তু  বাংলাদেশের প্রশাসন চরম ন্যাক্কারজনক একটি কাজ করে বসে। তারা নুসরাতের লাশ তার হিন্দু পিতার হাতে হস্তান্তর করে এবং তারা হিন্দু ধর্ম মতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ চিতায় পুড়িয়ে ফেলে।

এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। টেকনাফের চাকমা কিশোরী লাকিংমে ইসলাম গ্রহণ করে হালিমাতুস সাদিয়া নাম গ্রহণ করে ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি আতাউল্লাহ নামের এক যুবককে বিয়ে করে। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি হালিমা আত্মহত্যা করে। হালিমার মৃত্যুর পর তার পিতামাতা দাবী করে যে, হালিমাকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তার বয়স ১৮ বছরের কম। তদন্তে হালিমার বয়স ১৬ বছর প্রমাণিত হলে তার লাশ আদালত হিন্দু পিতামাতার কাছে হস্তান্তর করে। তার পিতামাতা সীমা বৌদ্ধ বিহারে হালিমার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে লাশ দাহ করে।

ইসলাম ধর্মমতে মুসলিমের লাশ আগুনে পোড়ানো যাবে না। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কেউ যদি সজ্ঞানে মুসলিম হয় তাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করতে হবে। কিন্তু পাহাড়ে সেই আইন মানা হচ্ছে না।

পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের শোডাউন

সবচেয়ে বড় আতংকের বিষয় হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে শোডাউন করে, মুসলিমদের নানা হুমকি ধমকি দিয়ে তটস্থ করে রাখে। তাদের ভয়ে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে মুসলিম হতে পারে না। কারণ মুসলিম হলেই সে হবে বয়কট ও নির্যাতনের শিকার। ৯০% মুসলিমদের দেশে এ দৃশ্য সত্যিই অকল্পনীয়। তবে পাহাড়ের উপজাতিরা মুসলিম হলে এরকম বিরূপ আচরণের শিকার হলেও খ্রিস্টান হলে তাদের মিলছে অর্থ, নিরাপত্তা ও চিকিৎসা। তাই পার্বত্য অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে মিশনারিদের  যোগসাজেশ রয়েছে বলে অনেকে সন্দেহ করছেন।

পাহাড়ে খ্রিস্টানাইজেশন

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন[7] অনুযায়ী ১৯৯২-২০১০ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্রগ্রামে প্রায় ১২,২০০ পরিবার খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। অনেক ক্ষুদ্র উপজাতি সম্পূর্ণরূপে খ্রিস্টান হয়ে গেছে। পার্বত্য চট্রগ্রামে একসময় কোনো খ্রিস্টান ছিল না। এখন খৃষ্টধর্ম পার্বত্য চট্রগ্রামের সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। মূলত মিশনারি বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও মিশনারি ধর্মপ্রচারকদের দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল এটি। মিশনারিরা খৃষ্টান ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে কোনো পন্থাই বাদ রাখেনি। মিশনারিরা যখন বুঝতে পারে, সমতলে খৃষ্টধর্মের খোলাখুলি দাওয়াত দিতে গিয়ে ধোঁকাবাজি করলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তখন তারা দুর্গম, পার্বত্য অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে। কোনো জনগোষ্ঠী মুসলিম হলে তাদেরকে বুঝায় যে তারা যে দাওয়াত দিচ্ছে তা ভিন্ন কিছু নয়। তারা ঈসা নবীর (আলাহিস সালাতু ওয়াস সালাম-এর) দাওয়াত নিয়ে এসেছে। বাইবেলের নাম তারা দেয় ইঞ্জিল শরীফ। আর কুরআন থেকে ভুলভাল তাফসীর করে বুঝায় যে, কুরআনেই বলা হয়েছে তাদের অনুসরণ করতে। এভাবে নানা ধোকা-প্রবঞ্চনা দিয়ে তারা নিরক্ষর, সরলপ্রাণ মানুষদেরকে খৃষ্টধর্মে দীক্ষিত করে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যদিও ধোঁকার মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করা অপরাধ; কিন্তু মিশনারিদের বেলায় প্রশাসন নীরবতা পালন করে। কিন্তু মুসলিমরা যখন কোন ধোঁকাবাজি ও প্রলোভন ছাড়াই ইসলামের দাওয়াত দিতে যায়, তাদেরকে জঙ্গিবাদের দোহাই দিয়ে আটক করে। এ থেকেই মিশনারিদের দৌরাত্ম্য আন্দাজ করা যায়।

আপনি যদি পাহাড়ের বাসিন্দা হন, আর খৃষ্টান হয়ে যান; তাহলে আপনি পাবেন ফ্রি চিকিৎসা, প্রচুর সম্পদ ও নানান সুযোগ-সুবিধা।[8] সন্ত্রাসীরাও আপনাকে হুমকি দিবে না। মুসলিমরা তো পাহাড়ে মসজিদ পায় না, মসজিদ বানাতে সাহস পায় না, কেউ  বানালে বাকিরা ভয়ে মসজিদে যায় না। কিন্তু খৃষ্টানদের জন্য বিভিন্ন এনজিওগুলো পাহাড়ে অসংখ্য চার্চ নির্মাণ করেছে। তাদের জন্য পশ্চিমা দেশগুলো থেকে প্রচুর অর্থ সাহায্য আসে। এসব নব্য খৃষ্টানরা পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। অনেকে রোমান হরফে লিখতে শিখে। শুধু বাংলাদেশ না, ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, অরুণাচল পাহাড়ি অঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এখন ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টান। বাংলাদেশের পাহাড়ী খৃষ্টানরা ভারত ও মিয়ানমারের খৃষ্টানদের সাথে আলাদা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে যা এই অঞ্চলের দেশগুলোর সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরুপ।

এসব খৃষ্টানদের কেউ যদি ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য বুঝে মুসলিম হতে চায়, তাহলে তাদের ভাগ্যে জোটে নির্যাতন। অনেককে মিশনারিরা আবার চার্চে ধরে নিয়ে যায়। [বিস্তারিত জানতে পড়ুন[9] টিকাতে প্রদত্ত লিংকের লেখা দুটি)।] এনজিওগুলো মানবসেবামূলক কাজের ভান করে সমতলে বাহ্যত কিছু ভালো কাজ করলেও পাহাড়ে তারা নিজেদের আসল এজেন্ডা বাস্তবায়ন তথা খৃস্টধর্মের দাওয়াতে নগ্নভাবে লিপ্ত হয়।  মানুষকে খৃষ্টান বানাতে নানা ধরনের অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে।

মিশনারিদের বিরুদ্ধে কথা বলতে প্রশাসন ভয় পায়। এদেশের সেকুলাররাও এদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না। সন্ত্রাসীরাও মিশনারিদের গায়ে হাত দেয় না। এ থেকে আঁচ করা যায় পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে একটি আলাদা পশ্চিমা মদদপুষ্ট বাফার স্টেট বানানোর লক্ষ্যে পশ্চিমারা অনেক এগিয়ে গেছে। আর এ লক্ষ্যে তাদের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে, ইসলাম ধর্ম। তাই মুসলিম দাঈদের বিরুদ্ধে ও নওমুসলিমদের বিরুদ্ধে আসা একের পর এক আক্রমণের মুল হোতা হিসেবে কেউ মিশনারিদের দায়ী করলে তাদের যুক্তিকে একেবারেই ফেলে দেয়ার অবকাশ নেই।

শেষ কথা

বাংলাদেশের পাহাড় নিয়ে মিশনারিদের ষড়যন্ত্রের বাস্তবতা  খ্যাতনামা আলেম, লেখক ও কলামিস্ট মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ একটি রানিং রাফি নামের একটি বিজ্ঞাপনের উদাহরণ দিয়ে তুলে ধরেছেন। ২০১৯ সালের মে মাসে হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূন একটি মোবাইল কোম্পানির জন্য ‘রানিং রাফি’ নামের একটি বিজ্ঞাপন চিত্র (টিভিসি) নির্মাণ করে।[10]

সেই বিজ্ঞাপনে পাহাড়ের মুসলিমদের জীবন, সেহরি ইফতারের দৃশ্য দেখানো হয়। কিন্তু সেকুল্যার বুদ্ধিজীবি, মিডিয়া এবং বিজ্ঞাপন জগতের কিছু রাঘব বোয়াল ইসলাম বিদ্বেষী পাহাড়িদের সাথে মিলে দাবী করতে থাকে এই বিজ্ঞাপন পাহাড়ে মুসলিমদের আগ্রাসনের একটি নমুনা। শেষ পর্যন্ত নুহাশকে ওই বিজ্ঞাপনের জন্য ক্ষমা চাইতে হয়েছে। পাহাড়ে এবং পাহাড়িদের মাঝে মুসলমানের জীবন ও ইসলামি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে না পারার এটা ছিল একটা কঠিন সাংস্কৃতিক সংকেত।

সামান্য একটা সাংস্কৃতিক আলামত ইসলাম বিদ্বেষীরা সহ্য করতে চায়নি, সেই পাহাড়ে মাইকের উচ্চস্বরে আযানের শব্দ তারা কিভাবে সহ্য করবে! পাহাড় নিয়ে তাদের একচেটিয়া ‘সুরক্ষার’ চিন্তাটা অনেক জটিল ও ভয়ঙ্কর।

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আযান দেওয়ার জন্য গ্রেফতার, মুসলিম নির্যাতন এবং ওমর ফারুক ত্রিপুরার হত্যা ও চলমান  রক্তপাতের পর জাতীয়  নীরবতা, পাহাড় নিয়ে ষড়যন্ত্রে  পাহাড় ও সমতলের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক রাঘব বোয়ালদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও সমর্থন বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য এক ভয়ংকর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত প্রদান করে।

[1] পাহাড়ি মুসলমানদের ভবিষ্যৎ, দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২৮.০৬.২০২১-

https://tinyurl.com/2xhvdzkj

 

[2] তোমার জমিনে মসজিদ করেছো, তুমি মুসলিমদের ইমাম? হ্যাঁ বলার পরই উমর ফারুককে গুলি করে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা, পার্বত্য নিউজ, ২৭.০৬.২০২১ –  https://tinyurl.com/583ntefk

[3] চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আজানের ছবি ফেসবুকে, মাদ্রাসার ২ শিক্ষার্থী গ্রেফতার, বাংলা ট্রিবিউন, ০১.০৯.২০২১- https://tinyurl.com/r89p26p4

 

[4] চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যে আযান দেয়ার কারনে গ্রেফতার ২ যুবক। এ আমরা কেমন দেশে বাস করি, Toha Media, ০৩.০৯.২০২১- https://tinyurl.com/2c8ve7y3

[5] ইসকনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি আদালত, ঢাকা টাইমস, ২৪.০৭.২০২১ –

https://tinyurl.com/rpuc6kah

 

সিলেটের ইসকন মন্দির থেকে গুলির ভিডিও ফাঁস, অনলাইনে তোলপাড়, নিউজ নাইন, ০৬.০৯.২০২১-

https://tinyurl.com/haujmy3c

 

কি ঘটেছিল সিলেটের ইসকন মন্দিরে? কী বলা হচ্ছে? আউয়ার ইসলাম ২৪.কম, ০৩.০৯.২০২১-

https://tinyurl.com/y5rvjyjk

 

তারাবীহ নামায বন্ধ করার নির্দেশ, না হলে মসজিদে তালা ঝোলানোর হুমকি, আল ইহসান,

০৩.০৭.২০২১- https://tinyurl.com/5xpuf2fb

[6] পাহাড়ে ডি ইসলামাইজেশন চলছে কিনা খতিয়ে দেখার দাবী নেটিজেনদের, পার্বত্য নিউজ,  ১৯.০৬.২০২১-

https://tinyurl.com/2ch5tb4k

[7] পাহাড়ি মুসলমানদের ভবিষ্যৎ, দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২৮.০৬.২০২১-

https://tinyurl.com/2xhvdzkj

[8] পাহাড়ে ধর্মান্তরিত করে ১২ হাজার পরিবারকে খৃস্টান বানানো হয়েছে, পার্বত্য নিউজ, ১৬.০৭.২০১৬-

https://tinyurl.com/fwkaj3hs

[9] পাহাড়ে ধর্মান্তরিত করে ১২ হাজার পরিবারকে খৃস্টান বানানো হয়েছে, পার্বত্য নিউজ, ১৬.০৭.২০১৬- https://tinyurl.com/fwkaj3hs

 

নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকান্ডে কারা জড়িত,  পার্বত্য নিউজ, ২৭.০৬.২০২১- https://tinyurl.com/jujrbskw

[10] ক্ষমা চাইলেন নুহাশ হুমায়ূন, আমাদের সময়, ২২.০৫.২০১৯-

https://tinyurl.com/sphcmbkk

 

পাহাড়ে ইমাম হত্যা নিয়ে নুহাশ হুমায়ুনকে জড়িয়ে যা লিখলেন মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ, ফেস দ্যা পিপল, ৩০.০৬.২০২১- https://tinyurl.com/u45rdeu3

 

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

Related Articles

Back to top button