ইমাম সাহেব দ্রুত নামায পড়ালে করণীয় কী?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্নঃ
আমি যে ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়ি তিনি খুব দ্রুত নামায পড়ান, ফলে নামাযের তাসবীহগুলো ঠিক মতো পড়তে পারি না, এমনকি যে নামাযে সূরা ফাতেহা পড়তে হয়; সে নামাযে সূরা ফাতেহা শেষ করার আগেই ইমাম সাহেব রুকূতে চলে যান। এখন আমি যদি জামাআতের সাথে নামায পড়ার পর একাকী আবার ফরয নামায পড়ে নিই, তাহলে কি চলবে?
প্রশ্নকারী- আব্দুল্লাহ
উত্তরঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
না, ফরয নামায একবার জামাআতের সঙ্গে আদায় করার পর দ্বিতীয়বার আদায় করা যাবে না। হাদীসে এসেছে,
عن سليمان مولى ميمونة قال: رأيت ابن عمر جالسا على البلاط والناس يصلون قلت: يا أبا عبد الرحمن ما لك لا تصلي؟ قال: إني قد صليت. إني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «لا تعاد الصلاة في يوم مرتين» -سنن النسائي، كتاب الصلاة، سقوط الصلاة عمن صلى مع الإمام في المسجد جماعة (2/140 رقم: 860 مكتب المطبوعات الإسلامية – حلب الطبعة: الثانية، 1406، وصححه النووي (676هـ) في خلاصة الأحكام (2/668، مؤسسة الرسالة – لبنان – بيروت(.
“মায়মুনা রাযিয়াল্লাহু আনহা-এর আযাদকৃত গোলাম সুলাইমান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুমাকে বালাত নামক স্থানে বসা দেখলাম। মানুষজন তখন নামায আদায় করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আবু আব্দুর রহমান! আপনার কি হলো, নামায আদায় করছেন না কেন? তিনি বললেন, আমি (একবার জামাআতের সাথে) নামায আদায় করে ফেলেছি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, একদিনে এক নামায দুবার আদায় করা যাবে না।” –সুনানে নাসায়ী: ৮৬০
তাই প্রথমত এমন ইমামের পেছনে নামায আদায়ের চেষ্টা করবেন, যিনি ধীরে সুস্থে নামায আদায় করেন এবং নামাযের আযকারগুলো আদায়ের জন্য যথেষ্ট সময় নেন। তা সম্ভব না হলে, নামাযের যেসব জায়গায় আপনাকে ইমামের পেছনে আযকার আদায় করতে হয়, যেমন তাসবীহ, তাশাহহুদ ইত্যাদি, সেগুলো আপনি বিশুদ্ধ উচ্চারণ নিশ্চিত করে একটু দ্রুত আদায় করবেন। তাতেও যদি ইমামের সঙ্গে শেষ করতে না পারেন, তাহলে রুকূ সিজদার তাসবীহের মতো সুন্নত আযকারগুলো, যতটুকুই হোক, বাকিটা রেখে ইমামের সঙ্গে উঠে যাবেন। পক্ষান্তরে তাশাহহুদের মতো ওয়াজিব আযকার পূর্ণ করে পরবর্তী অংশে ইমামের সঙ্গে শরীক হবেন। -রদ্দুল মুহতার: ১/৪৭০ দারুল ফিকর; হাশিয়াতুত তহতাভী আলাল মারাকি, পৃ: ২৫৫-২৫৬ দারুল কিতাব দেওবন্দ
উল্লেখ্য, হানাফী মাযহাবে ইমামের পেছনে কেরাত পড়ার কোনও জায়গা নেই। সূরা ফাতেহাও না। সুতরাং আপনি যদি হানাফী মাযহাবের অনুসারী হয়ে থাকেন, তাহলে ইমামের পেছনে কেরাত পড়ার প্রসঙ্গ আসে না।
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
১৮-০৬-১৪৪৪ হি.
১২-০১-২০২৩ ঈ.