প্রশ্ন: আমরা জানি, ফাসেক ইমামের পিছনে নামায পড়া নিষেধ। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, অনেক ইমাম জিহাদে অংশগ্রহণ করেন না কিংবা জিহাদের প্রতি কোনো রূপ আগ্রহ দেখান না। ফরযে আইন জিহাদ ত্যাগের কারণে তারা কি ফাসেক গণ্য হবেন? যদি তাই হয়, তাহলে আমাদের কি নিজ বাসায় একা নামায আদায় করা উচিত?
আব্দুল করিম
উত্তর: আপনি যে কারণে ইমামদের অনেককে ফাসেক মনে করছেন, এটি বর্তমান সময়ে কাউকে ফাসেক গণ্য করার সুনিশ্চিত কারণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থাৎ কোনো ইমাম মুজাহিদ না হলে কিংবা কার্যত জিহাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলেই যে তিনি ফাসেক হবেন এমন ধারণা ঠিক নয়। কারণ, হতে পারে তিনি গোপনে জিহাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, কিন্তু আপনি জানেন না অথবা তার জিহাদে যুক্ত না হওয়ার মতো গ্রহণযোগ্য কোনো তাবিল ও ব্যাখ্যা অথবা ওজর আছে। এসব কারণে বাহ্যত জিহাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলে কেউ ফাসেক হয় না।
দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, যদি বাস্তবে কোনো ইমাম ফাসেক হয়ও, তবুও একারণে সালাতের জামাত ত্যাগ করা যাবে না। ফাসেকের পেছনে নামায না পড়ার বিধান হচ্ছে যখন ভালো ইমাম থাকবে, তখন এমন ব্যক্তিকে ইমাম বানানো যাবে না। কিন্তু যদি ভালো ইমাম না থাকে কিংবা কর্তৃপক্ষ ভালো ইমাম নিয়োগ না দেয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ তার পেছনেই নামায আদায় করবে। তবুও জামাত ছাড়বে না। -আকীদাতুত তাহাবী, পৃ: ২৩ (দারু ইবনি হাযম); মাজমাউল ফাতাওয়া: ২৩/৩৫৩ (মাজমাউল মালিক ফাহাদ); রদ্দুল মুহতার: ১/৫৬২ ও ২/৫০ (দারুল ফিকর); আল-বাহরুর রায়েক: ১/৩৭০ (দারুল কিতাবিল ইসলামী); গুনয়াতুল মুতামাল্লী, পৃ: ৫১৩-৫১৪ (আল-মাকতাবাতুল আশরাফিয়্যাহ); দুরারুল হুক্কাম শরহু গুরারিল আহকাম: ১/৮৬ (দারু ইহয়ায়িল কুতুবিল আরাবিয়্যাহ)
আরো জানতে দেখুন:
ফাতওয়া নং ৫৭৩ –
দরবারি আলেমের পেছনে নামায পড়া কি নিষেধ?
والله تعالى أعلم بالصواب
-আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
২০-০৪-১৪৪৭ হি.
১৩-১০-২০২৫