ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি করার হুকুম কী?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্নঃ
সরকারের অগোচরে (দেশের আইন অনুযায়ী অবৈধ পন্থায়) সীমান্ত এলাকা দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেগুলোর ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী? এভাবে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি করা এবং তা দ্বারা ব্যবসা করে অতিরিক্ত লাভ করা কি জায়েয?
নাম- মুসান্না আল-হাসান
উত্তরঃ
প্রচলিত ট্যাক্স অন্যায় ও জুলুম। এতে তাগুত ও জালিম শাসকগোষ্ঠী শক্তিশালী হয়। তা ফাঁকি দেয়া শুধু বৈধই নয়, বরং সামর্থ্য থাকলে তা ফাঁকি দেয়া জরুরি। কাজেই কাস্টমস ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি করা এবং তা দ্বারা ব্যবসা করা জায়েয; যদি পণ্যটি শরীয়তের দৃষ্টিতে হালাল হয়।
এক্ষেত্রে যেহেতু পণ্য আমদানির খরচ কমে যাচ্ছে, তাই বিক্রয় মূল্যও কমিয়ে দেয়া উচিত। যেন ট্যাক্সের জুলুম থেকে জনসাধারণও কিছুটা রক্ষা পায়। তাছাড়া অতি মুনাফাও শরীয়তে অপছন্দনীয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
رحم الله رجلا سمحا إذا باع، وإذا اشترى، وإذا اقتضى. -صحيح البخاري: 2076
“কেনা, বেচা এবং পাওনা তাগাদার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি উদার, আল্লাহ্ তায়ালা তার উপর রহম করুন।” -সহীহ বুখারী: ২০৭৬
তবে কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি যদি নিরাপদে সম্ভবপর না হয়; বরং এতে সম্মানহানির সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তা থেকে বিরত থাকা কাম্য। হাদীসে এসেছে,
عن حذيفة، قال: قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم -: “لا ينبغي للمؤمن أن يذل نفسه”. – سنن ابن ماجه ت الأرنؤوط (5/ 148)، الرقم: 4016
“হুযায়ফা (রাযি) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মুমিনের জন্য উচিত নয় নিজেকে লাঞ্ছিত করা।” –সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪০১৬
আরও দেখুন,
ফাতওয়া নং ১৯৫ ‘কাস্টমস ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অন্য দেশ থেকে স্বর্ণ নিয়ে আসার হুকুম কী?’
লিংকঃ কাস্টমস ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অন্য দেশ থেকে স্বর্ণ নিয়ে আসার হুকুম কী?
ফাতওয়া নং১৩৭‘বর্তমান তাগুত সরকারকে ট্যাক্স দেয়া কি জায়েজ হবে?’
লিংকঃ বর্তমান তাগুত সরকারকে ট্যাক্স দেয়া কি জায়েজ হবে?
ফাতওয়া নং ২০৯ ‘ভারত থেকে বেআইনিভাবে আনা বাইক ব্যবহারের হুকুম কী?’
লিংকঃ ভারত থেকে বেআইনিভাবে আনা বাইক ব্যবহারের হুকুম কী?
فقط والله تعالى أعلم بالصواب.
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৭-০৫-১৪৪৪ হি.
০২-১১-২০২২ ঈ.