সুদ ঘুষের দায় থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন:
বর্তমানে (হয়তো) গরিবরা ছাড়া সবাই বা অধিকাংশ মানুষ সুদ-ঘুষকে নিত্যদিনের প্রাপ্ত গণিমত বানিয়ে নিয়েছে। এখন যদি আল্লাহ তা’য়ালা কাউকে হেদায়েত দান করেন, তার বুঝ আসে যে, সুদ-ঘুষ খেলে জাহান্নামে জ্বলতে হবে। তাই সে তাওবা করতে চায়। তাহলে সে কীভাবে তাওবা করবে? সে যে সুদ-ঘুষের নামে মানুষের এত এত টাকা লুটপাট করে খেয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ কীভাবে দেবে? আর ক্ষতিপূরণ না দিলে কি তার তাওবা কবুল হবে?
বর্তমানেও তার কাছে সুদ-ঘুষের টাকা আছে, ওগুলো সে কী করবে? এমন কোন পদ্ধতি কি আছে, যার দ্বারা সে এ থেকে পবিত্র হতে পারবে? ওয়াজ মাহফিলে শুনেছি, টাকাগুলো নাকি সওয়াবের নিয়্ত ছাড়া দান করে দিলে, এ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এটি সঠিক হলে আমার প্রশ্ন হল, এ টাকা যাকে দান করা হবে, তার জন্য কি তা হালাল হবে? হলে কীভাবে? দয়া করে জানালে উপকৃত হবো।
প্রশ্নকারী-আবদুল মান্নান
উত্তর:
সুদ ঘুষের দায় থেকে পরিত্রাণের উপায় হল, যাদের থেকে সুদ ও ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছে, তাদেরকে ফেরত দেয়া। তারা না থাকলে তাদের ওয়ারিসদের ফেরত দেয়া। তাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে ওই টাকার মূল মালিকের পক্ষ থেকে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত কোনো গরিবকে দান করে দেয়া। -ফাতহুল বারি: ৯/৪৩০-৪৩১, রদ্দুল মুহতার: ৪/২৮৩
গরিবের জন্য শরীয়ত এটা গ্রহণ করা হালাল করেছে, এজন্যই হালাল। যাকাত, ফিতরা, মান্নত, কাফফারা ইত্যাদির মতো এমন অনেক কিছুই তো আছে, যেগুলো ধনী ব্যক্তির জন্য হারাম, কিন্তু গরিবের জন্য হালাল। কারো জন্যই যদি হালাল না হয়, তাহলে তো এই সম্পদগুলো নষ্ট করতে হবে। এ বিষয়ে আপনি সাইটে প্রকাশিত হারাম টাকায় লাগানো গাছের ফল খাওয়া যাবে? (ক্লিক করুন) লিংকে 35 নং ফতোয়াটি দেখতে পারেন।
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (গুফিরা লাহু)
২৮-১২-১৪৪১ হি.
১৯-০৮-২০২০ ইং
আরো পড়ূন
দায়মুক্তির উদ্দেশ্যে প্রদান কৃত হারাম টাকা গ্রহণ করা গরীবের জন্য কি তাকওয়া পরিপন্থী?