হালাল-হারাম:ফাতওয়া  নং  ১১৭

সমকামীর ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী?

সমকামীর ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী?


সমকামীর ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

সমকামীর ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী?

প্রশ্নকারী-ফয়সাল আহমাদ

উত্তর:

সমকামিতা মানব-প্রকৃতি বিরুদ্ধ জঘন্য ও কুরুচিপূর্ণ একটি পাপ কাজ। মানব জাতির মধ্যে সর্বপ্রথম প্রিয় নবী লূত আলাইহিস সালামের সম্প্রদায় এ প্রকৃতি বিরোধী ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হয়। আল্লাহর নাফরমানির জন্য তারা যেমন মানব প্রকৃতির উল্টো পথ বেছে নিয়েছিল, আল্লাহ তাআলাও পাথর বৃষ্টি বর্ষণ করে পুরো বস্তি উল্টে দিয়ে তাদের ধ্বংস করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ الْعَالَمِينَ (80) إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ (81) وَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا أَخْرِجُوهُمْ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ (82) فَأَنْجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ (83) وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ (84) [الأعراف: 80-84]

“আর আমি লূতকেও পাঠিয়েছিলাম। তিনি তার সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, ‘তোমরা দেখি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের আগে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি? তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারীদের ছেড়ে পুরুষের কাছে যাও, বরং তোমরা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়’। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল, ‘এদের (লূত ও তার সঙ্গীদের)কে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক, যারা পবিত্র থাকতে চায়’। অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিজনদের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম, তার স্ত্রী ছাড়া। সে ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি তাদের উপর ভয়ঙ্কর (পাথর) বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম। কাজেই দেখুন, অপরাধীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছিল।” –সূরা আরাফ (০৭) : ৮০-৮৪

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে,

كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ (160) إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ (161) إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ (162) فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ (163) وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ (164) أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ (165) وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ (166) قَالُوا لَئِنْ لَمْ تَنْتَهِ يَالُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ (167) قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُمْ مِنَ الْقَالِينَ (168) رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ (169) فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ (170) إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ (171) ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ (172) وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِينَ (173) إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُؤْمِنِينَ (174) وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ (175) [الشعراء: 160 – 176]

“লূতের সম্প্রদায় রাসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না? আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকটই আছে। সৃষ্টিকুলের মধ্যে কি তোমরাই এমন, যারা (যৌন চাহিদা পূরণ করার জন্য) পুরুষে উপগত হও? অথচ তোমাদের রব তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে তোমরা বর্জন কর। বরং তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। তারা বলল, হে লূত! তুমি যদি নিবৃত্ত না হও, তবে অবশ্যই তুমি নির্বাসিত হবে। লূত বললেন, আমি অবশ্যই তোমাদের এ কাজকে ঘৃণা করি। হে আমার রব! আমাকে এবং আমার পরিবার-পরিজনকে, তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা করুন। তারপর আমি তাকে এবং তার পরিবার-পরিজন সকলকে রক্ষা করলাম; এক বৃদ্ধা ছাড়া, যে ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর সবাইকে ধ্বংস করে দিলাম। আর আমি তাদের উপর ভয়ঙ্কর (পাথর) বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম, ভীতি প্রদর্শিতদের জন্য এ বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট! অবশ্যই এতে রয়েছে নিদর্শন, কিন্তু তাদের অধিকাংশই মুমিন নয়। নিশ্চয় আপনার রব, পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।” –সূরা শুআ’রা (২৬) : ১৬০-১৭৫

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে,

فَلَمَّا جَاءَ آلَ لُوطٍ الْمُرْسَلُونَ (61) قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ مُنْكَرُونَ (62) قَالُوا بَلْ جِئْنَاكَ بِمَا كَانُوا فِيهِ يَمْتَرُونَ (63) وَأَتَيْنَاكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّا لَصَادِقُونَ (64) فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِنَ اللَّيْلِ وَاتَّبِعْ أَدْبَارَهُمْ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ وَامْضُوا حَيْثُ تُؤْمَرُونَ (65) وَقَضَيْنَا إِلَيْهِ ذَلِكَ الْأَمْرَ أَنَّ دَابِرَ هَؤُلَاءِ مَقْطُوعٌ مُصْبِحِينَ (66) وَجَاءَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَسْتَبْشِرُونَ (67) قَالَ إِنَّ هَؤُلَاءِ ضَيْفِي فَلَا تَفْضَحُونِ (68) وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ (69) قَالُوا أَوَلَمْ نَنْهَكَ عَنِ الْعَالَمِينَ (70) قَالَ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ (71) لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ (72) فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ مُشْرِقِينَ (73) فَجَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ (74) إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ (75) [الحجر: 61 – 76]

“অতঃপর যখন লূত পরিবারের কাছে ফেরেশতাগণ আসলেন, লূত বললেন, তোমরা তো অপরিচিত লোক। তারা বললেন, আমরা আসলে আপনার কাছে (কাফেরদের জন্য) সেই শাস্তিই নিয়ে এসেছি যা সম্পর্কে তারা সন্দেহ করত। আমরা আপনার কাছে সত্য সংবাদ নিয়ে এসেছি এবং অবশ্যই আমরা সত্যবাদী। আপনি রাতের কোনো এক সময়ে আপনার পরিবারবর্গকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন এবং আপনি তাদের পেছনে চলুন। আর আপনাদের মধ্যে কেউ যেন পেছনে না তাকায়; আপনাদেরকে যেখানে যেতে বলা হয়েছে, সেখানে চলে যান। আমি তাকে (লূতকে) এ বিষয়ে অবহিত করলাম যে, প্রত্যূষে তাদেরকে সমূলে বিনাশ করা হবে। আর নগরবাসী উল্লসিত হয়ে উপস্থিত হল। লূত বললেন, ‘এঁরা আমার মেহমান, সুতরাং আমাকে অপমানিত করো না। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আমাকে লাঞ্ছিত করো না’। তারা বলল, ‘আমরা কি আপনাকে তামাম দুনিয়ার লোকদের আশ্রয় দিতে নিষেধ করিনি’? লূত বললেন, ‘একান্তই যদি তোমরা কিছু করতে চাও, তবে আমার এই কন্যাগণ রয়েছে’। (হে নবী) আপনার জীবনের শপথ! নিশ্চয় তারা তাদের নেশায় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর সূর্যোদয়ের সময় বিকট আওয়াজ তাদেরকে পাকড়াও করল। আমি (তাদের) জনপদ উল্টিয়ে উপর-নীচ করে দিলাম এবং তাদের উপর পোড়ামাটির প্রস্তর-বৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে সূক্ষ্মদর্শী চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য।” –সূরা হিজর: ৬১-৭৫

শাব্বীর আহমাদ উসমানি রহ. বলেন:

جو سزا اس قوم کو اوپر نیچے کرنے کی ملی ان کی شرمناک حرکت سے ظاہری مناسبت بھی رکھتی ہے۔تفسير عثماني: 1/494

“সেই সম্প্রদায়ের উপর উল্টে-পাল্টে দেয়ার যে শাস্তি আপতিত হয়েছিল, তা তাদের লজ্জাকর কার্মকাণ্ডের সাথে বাহ্যত সাদৃশ্যও রাখে।” –তাফসিরে উসমানি: ১/৪৯৪

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

وَلَعَنَ اللهُ مَنْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيهِ، وَلَعَنَ اللهُ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ، وَلَعَنَ اللهُ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ، وَلَعَنَ اللهُ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ. -مسند أحمد ط الرسالة: 2816. قال المحققون –منهم الشيخ الأرنؤوط رحمه الله: إسناده جيد، رجاله رجال الصحيح. اهـ

“আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে লানত করেন, যে নিজের মনিব ব্যতীত অন্যকে মনিব বলে দাবি করে। আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে লানত করেন, যে লূত আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের মতো কুকর্মে লিপ্ত হয়! আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে লানত করেন, যে লূত আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের মতো কুকর্মে লিপ্ত হয়! আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে লানত করেন, যে লূত আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের মতো কুকর্মে লিপ্ত হয়! (কথাটি তিনি তিন বার বলেন)।” –মুসনাদে আহমাদ: ২৮১৬

এরকম অনেক আয়াত ও হাদীস এবং উলামাদের ইজমা অনুযায়ী তা হারাম ও কবীরা গুনাহ। যদি কেউ একে বৈধ বা ভালো মনে করে, এর নিষেধাজ্ঞাকে অযৌক্তিক কিংবা মানবতাবিরোধী ও স্বাধীনতা পরিপন্থী মনে করে, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে। তাওবা করে মুসলমান না হলে হত্যা করে দিতে হবে। -মারাতিবুল ইজমা, ইবনে হাজম: ১৩১, মাজমুউল ফাতাওয়া-ইবনে তাইমিয়া: ১১/৫৪৩

আর যদি কেউ হারাম মনে করা সত্ত্বেও প্রবৃত্তির তাড়নায় এতে লিপ্ত হয়, তাহলে তার শাস্তি কী হবে, তা নিয়ে উলামায়ে কেরামের মাঝে মতভেদ রয়েছে।

কারো মতে এর একমাত্র শাস্তি রজম তথা প্রস্তরাঘাতে হত্যা। বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত; সর্বাবস্থায় তাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হবে। যেমন আল্লাহ তাআলা কওমে লূতকে পাথরবৃষ্টি দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

কারো মতে তার বিধান যিনা ও ব্যভিচারের অনুরূপ। বিবাহিত হলে রজম করে হত্যা করা হবে, অবিবাহিত হলে একশ দোররা মারা হবে।

হানাফী মাযহাব মতে এর শাস্তি ‘তাযীর’। অর্থাৎ কর্তৃপক্ষ যার জন্য যে শাস্তি যথোপোযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক মনে করবেন, তাকে তাই প্রদান করবেন, যাতে কেউ এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের সাহস না করে। এমনকি কেউ যদি লঘু শাস্তিতে নিবৃত্ত না হয়, প্রয়োজন মনে করলে তাকে হত্যা করতে হবে। -ফাতহুল কাদির: ৫/২৬২-২৬৩; রদ্দুল মুহতার: ৪/২৭; আলমুগনি, ইবনে কুদামা: ৯/৬০-৬১

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

وَاللَّذَانِ يَأْتِيَانِهَا مِنْكُمْ فَآذُوهُمَا فَإِنْ تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا عَنْهُمَا إِنَّ اللَّهَ كَانَ تَوَّابًا رَحِيمًا. –سورة النساء: 16

“আর তোমাদের মধ্যে যে দুই পুরুষ অশ্লীল কর্ম করবে, তাদেরকে শাস্তি দাও। অতঃপর যদি তারা তাওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে নেয়, তবে তাদেরকে ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাওবা কবুলকারী, দয়ালু।” –সূরা নিসা (০৪): ১৬

ছানাউল্লাহ পানিপতি রহ. (১২২৫ হি.) উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন,

والإيذاء غير مقدر فى الشرع فهو مفوض الى رأى الامام كذا قال ابو حنيفة رحمه الله يعزرهما الامام على حسب ما يرى ومن تعزيره إذا تكرر فيه الفعل والتعزير ولم ينزجر ان يقتل عند ابى حنيفة محصنا كان او غير محصن سياسة قال ابن همام لا حدّ عليه عند ابى حنيفة لكنه يعزر ويسجن حتى يموت ولو اعتاد اللواطة قتله الامام. – التفسير المظهري :2 ق 2/ 45

“আয়াতে উল্লেখিত শাস্তি, শরীয়তে সুনির্দিষ্ট নয়; বরং তা ইমামের সিদ্ধান্তের উপর ন্যস্ত। ইমাম আবু হানিফা রহ. এমনটিই বলেছেন। ইমাম যে শাস্তি সঙ্গত মনে করবেন, তাদেরকে সে শাস্তিই প্রদান করবেন। যদি অপকর্মটি একাধিকবার করে এবং একাধিকবার শাস্তি প্রদানের পরও নিবৃত্ত না হয়, তাহলে আবু হানিফা রহ.র মতে তার শাস্তি হত্যা। চাই সে বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত। তবে এটি ‘হদ’ নয়; তাযীর। (যে শাস্তি শরীয়তে সুনির্দিষ্ট করে দেয়া আছে, তাকে পরিভাষায় ‘হদ’ বলে। যেমন চুরির শাস্তি হাত কাটা, অবিবাহিত ব্যক্তির যিনার শাস্তি একশ দোররা, বিবাহিতের জন্য প্রস্তরাঘাতে হত্যা ইত্যাদি। পক্ষান্তরে যে শাস্তি সুনির্দিষ্ট করে দেয়া নেই, তাকে ‘তাযীর’ বলে)। ইমাম ইবনুল হুমাম রহ. বলেন, আবু হানিফা রহ.র মতে তাকে ‘হদ’ লাগানো হবে না, বরং তাকে তাযীর করা হবে এবং আমৃত্যু বন্দী করে রাখা হবে। যদি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তাহলে ইমাম তাকে হত্যা করে দিবেন।” –তাফসীরে মাযহারি: ২/৪৫

 

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

০৫-০৩-১৪৪২ হি.

২২-১০-২০২০ ইং

আরো পড়ূন
ইসলামে সমকামিতার শাস্তি কি?

Related Articles

Back to top button