প্রশ্ন: বর্তমানে ফিলিস্তিনে যারা যুদ্ধ করছেন—হামাস ও অন্যান্য দলের যোদ্ধারা—তারা কি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর অন্তর্ভুক্ত? তাদের এ যুদ্ধ কি শরঈ জিহাদ? আমরা কি তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে পারব? আগে হামাসের ব্যাপারে নানান নেতিবাচক কথা শুনেছি। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রইল।
-মুহাম্মদ ইমরান
উত্তর: হামাসের মধ্যে কিছু নেতিবাচক বিষয় অবশ্যই ছিল এবং হয়তো এখনো আছে। কিন্তু সেসব নেতিবাচক বিষয় থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে উলামায়ে কেরাম আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর অন্তর্ভুক্ত মুসলিম মনে করেন। আর তাদের এই জিহাদ যে শরঈ জিহাদ এই বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো আলেমেরই দ্বিমত নেই। সুতরাং যারা শরঈ জিহাদ করবে, অন্য ক্ষেত্রে তাদের ত্রুটি বিচ্যুতি যাই থাকুক, তাদের জিহাদে সামর্থ্য অনুযায়ী সকল মুসলিমের সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়া জরুরি। হাঁ, তাদের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো সম্পর্কেও গাফেল হয়ে যাওয়া কাম্য নয়; বরং সামর্থ্য থাকলে শরীয়তের নীতি অনুযায়ী সেগুলোর সংশোধনে সচেষ্ট হওয়া কাম্য।
হাদীসে এসেছে,
عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الدِّينُ النَّصِيحَةُ» قُلْنَا: لِمَنْ؟ قَالَ: «لِلَّهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ» -رواه مسلم (55)
“তামীম দারী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দ্বীন হচ্ছে নসীহত (কল্যাণকামিতা–এর নাম) । আমরা জানতে চাইলাম, কার জন্য (কল্যাণকামিতা)? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূল, মুসলিমদের শাসকবৃন্দ এবং সাধারণ মুসলিমদের জন্য (অর্থাৎ সকলের জন্য)।” -সহীহ মুসলিম: ৫৫
عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى إِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ» -رواه البخاري (57) ومسلم (56)
“জারীর বিন আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নামায কায়েম করা, যাকাত দেওয়া এবং প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কল্যাণকামিতার বাইয়াত দিয়েছি।” -সহীহ বুখারী: ৫৭; সহীহ মুসলিম: ৫৬
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৭-০১-১৪৪৭ হি.
০৩-০৭-২০২৫ ঈ.