গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ইমামের পেছনে নামায পড়ার বিধান
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন:
গণতন্ত্রে বিশ্বাসী অথবা গণতান্ত্রিক ইসলামী দল করে, এমন ইমামের পেছনে কি নামায পড়া যাবে?
-আবু আসাদুল্লাহ আল-হিন্দী
উত্তর:
দেখুন আমাদের দেশে যত মানুষ গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে, সকলেই কুফরি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং গণতন্ত্রের হাকীকত ও স্বরূপ সম্পর্কে ধারণা রাখে না। অনেক সাধারণ মানুষই গণতন্ত্র বলতে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বুঝে। প্রকৃত গণতন্ত্র যে এর বাইরেও অসংখ্য কুফর শিরককে সন্নিবেশিত করে, তা তাদের ধারণা ও জ্ঞানের উর্ধ্বে। এই নির্বাচন পদ্ধতিকে গণতন্ত্র যেরকম ব্যাপক মূলনীতি হিসেবে মূল্যায়ন করে, শরীয়তের দৃষ্টিতে যদিও তা ঠিক নয়; কিন্তু তা কুফরও নয়। তাই কোনো সূত্রে গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত যে কোনো ব্যক্তিকেই কাফের মনে করার সুযোগ নেই। বিশেষত যেসব গণতান্ত্রিক দল নিজেদের ইসলামী দাবি করেন, তারা যে গণতন্ত্রের কুফরে বিশ্বাসী না, তা তারা স্পষ্টই বলেন। তারা মূলত তাদের দাবি অনুযায়ী বাধ্য হয়ে তাবীলের ভিত্তিতে সাময়িক প্রক্রিয়া হিসেবে গণতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হন। যদিও তাদের এই তাবীল গ্রহণযোগ্য মনে হয় না, তবে এটা নিশ্চিত যে, এভাবে গণতন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে কেউ কাফের হয় না। সুতরাং এমন কারো পেছনে নামায আদায় করলে নামায সহীহ হয়ে যাবে। -ফাতহুল কাদীর: ১/৩৫১ (দারুল ফিকর); মিনহাতুল খালেক: ১/৩৭১ (দারুল কিতাবিল ইসলামী)
হাঁ, কারো সম্পর্কে যদি এমন কোনো তথ্য থাকে যে, সে প্রকৃত অর্থেই গণতন্ত্রের কুফরে বিশ্বাস রাখে, চাই সে কোনো গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক বা না রাখুক, যেমন সে মনে করে, আল্লাহর আইনের মোকাবেলায় মানুষের আইন করার ইখতিয়ার আছে কিংবা সকল ধর্ম সমান, যেমনটা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের বিশ্বাস, তাহলে সে অবশ্যই ঈমান থেকে বের হয়ে যাবে এবং তার পেছনে নামায আদায় করা যাবে না। -তাবয়ীনুল হাকায়েক: ১/১১৪ (আল-মাতআবাতুল কুবরা, বোলাক) রদ্দুল মুহতার: ১/৫৬১ (দারুল ফিকর); মাজমাউল আনহুর: ১/১০৮ (দারু ইহয়ায়িত তুরাস); হাশিয়াতুত তাহতাভী আলাল মারাকী, পৃ: ৩০৩ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ)
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
২২-০৫-১৪৪৫ হি.
০৭-১২-২০২৩ ঈ.
আরও পড়ুনঃ গণতান্ত্রিক শাসন ইসলামি শাসন নয় কেন?