যাকাত-ফিতরা:ফাতওয়া  নং  ৬৫

যাকাতের হুকুম কী? নেসাব কত? এবং কার ওপর ফরয?

যাকাতের হুকুম কী? নেসাব কত? এবং কার ওপর ফরয?

যাকাতের হুকুম কী? নেসাব কত? এবং কার ওপর ফরয?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

যাকাতের হুকুম কী? নেসাব কত? এবং কার ওপর যাকাত ফরয?

প্রশ্নকারী- খালিদ সাইফুল্লাহ

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبي بعده أما بعد:

যাকাত একটি ফরজ বিধান। ইসলামের পাঁচ রুকনের একটি।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ. سورة البقرة: 43

“তোমরা সালাত কায়েম কর এবং যাকাত আদায় কর।” -সূরা বাকারা (০২): ৪৩

হাদিসে আছে,

بني الإسلام على خمس شهادة أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله وإقام الصلاة وإيتاء الزكاة والحج وصوم رمضان. صحيح البخاري: 8

“ইসলামের ভিত্তি রাখা হয়েছে পাঁচটি বিষয়ের ওপর। (১) আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসুল, এ কথার সাক্ষ্য দেয়া (২) সালাত কায়েম করা। (৩) যাকাত আদায় করা। (৪) হজ্ব করা। (৫) রমজানের রোযা রাখা।” -সহিহ বুখারি, হাদীস নং ৮

যাকাত ইসলামের অকাট্য বিধান। তা অস্বীকারকারী কাফের। একারণে যেসব মুসলিম যাকাত আদায় করতে অস্বীকার করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযি. সকল সাহাবিকে নিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। -সহিহ বুখারি: ১৩৩৫

যাকাতের সর্বনিম্ন নেসাব সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো যাকাতযোগ্য সম্পদ।

যার কাছে ঋণ ও মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত; সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো যাকাতযোগ্য সম্পদ (যেমন নগদ অর্থ বা ব্যবসার পণ্য) থাকে এবং উক্ত সম্পদের মালিক হওয়ার পর; চান্দ্রবর্ষ হিসেবে এক বছর অতিক্রান্ত হয়, তার ওপর যাকাত ফরজ।

যেমন ধরুন, আপনি ১৪৪০ হিজরি রমজান মাসের ১১ তারিখ এই পরিমাণ রূপা, নগদ অর্থ বা ব্যবসায়িক সম্পদের মালিক হলেন। তাহলে পরবর্তী ১৪৪১ হিজরি রমজান মাসের ১০ তারিখ আপনার যাকাতবর্ষ পূর্ণ হল। এই ১০ তারিখে আপনার কাছে নিত্য প্রয়োজন বাদে যত নগদ অর্থ, ব্যবসায়িক সম্পদ, সোনা কিংবা রূপা (ব্যবহৃত হোক বা অতিরিক্ত) থাকবে, সবগুলো হিসেব করে শতকরা আড়াই ভাগ তথা চল্লিশ টাকায় এক টাকা করে যাকাত আদায় করতে হব। বছরের মাঝে যদি কখনো আপনার এই পরিমণ সম্পদ না থাকে, কিন্তু যাকাতবর্ষ পূর্তির দিন থাকে, তবুও যাকাত আদায় করতে হবে।

অবশ্য কারো কাছে যদি শুধু স্বর্ণ থাকে এবং এছাড়া অন্য কোনো প্রকার যাকাতযোগ্য সম্পদ না থাকে, সে ক্ষেত্রে যাকাতের নেসাব হবে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৩৪, আদ্দুররুল মুখতার, দারুল ফিকর: ২/২৫৯-২৯৬, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/১৭০, বাদায়েউস সানায়ে, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া: ২/২০, মাবসূতে সারাখসী, দারুল মা’রিফাহ: ২/১৪৯-১৫০,

فقط. والله أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২২-১১-১৪৪১ হি.

১৪-০৭-২০২০ ইং

আরো পড়ূন
যাকাতের টাকা দিয়ে বন্দী মুসলিমের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিলে কি যাকাত আদায় হবে?

Related Articles

Back to top button