সুদ-ঘুষফাতওয়া  নং  ২৮৫

প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলোর মুদারাবা পদ্ধতির লেনদেন কতোটুকু শরীয়াহ সম্মত?

প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলোর মুদারাবা পদ্ধতির লেনদেন কতোটুকু শরীয়াহ সম্মত?

প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলোর মুদারাবা পদ্ধতির লেনদেন কতোটুকু শরীয়াহ সম্মত?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্নঃ

ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে কি মুদারাবা পদ্ধতিতে লেনদেন করা যাবে? না, এতেও সুদ হবে? সুদ হলে আগে যে লভ্যাংশ নিয়েছি তা কোন্ খাতে ব্যয় করা উত্তম হবে?

প্রশ্নকারী- আদনান

উত্তরঃ

আমাদের দেশে যেসব ব্যাংক ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী চলার দাবি করে, আমাদের জানা মতে তারা কেউই যথাযথ ইসলামী শরীয়াহ অনুসরণ করে না। কার্যত তাদের কারবার ও সুদি ব্যাংকের কারবারে তেমন ব্যবধান থাকে না। সুতরাং শরীয়াহ পরিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার আগে তাদের সঙ্গে মুদারাবাসহ অন্য যেকোনো ব্যবসা থেকে বিরত থাকা জরুরী। ইতোপূর্বে কেউ করে থাকলে, তার লাভ সাদাকা করে দেয়া চাই। যেকোনো গরীব ব্যক্তি কিংবা কোনো জনকল্যাণমূলক কাজে সাদাকা করা যায়। অবশ্য ইবনে তাইমিয়া (রহ) (৭২৮ হি.) বলেছেন, এমন অর্থ থেকে মুক্তি লাভের উত্তম পথ হচ্ছে, তা জিহাদের পথে খরচ করা। তিনি বলেন,

ومن أراد التخلص من الحرام والتوبة ولا يمكن رده إلى أصحابه فلينفقه في سبيل الله عن أصحابه فإن ذلك طريق حسنة إلى خلاصه مع ما يحصل له من أجر الجهاد”. اهـ مجموع الفتاوى 28/422

“যে ব্যক্তি হারাম থেকে দায়মুক্ত হয়ে চায় এবং তওবা করতে চায়; অথচ তা মালিকের নিকট পৌঁছানো সম্ভবপর নয়, তাহলে সে যেনো তা মালিকের পক্ষ থেকে জিহাদের পথে খরচ করে। এটা দায়মুক্তির উত্তম পথ এবং এতে সে জিহাদে অংশ গ্রহণেরও সওয়াব পাবে।” -মাজমুউল ফাতাওয়া ২৮/৪২১-৪২২

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২৭-০২-১৪৪৪ হি.

২৪-০৯-২০২২ ঈ.

আরো পড়ুনঃ সুদের টাকার ওপর যাকাত ও কুরবানী ওয়াজিব হয় কি?