হালাল-হারাম:ফাতওয়া  নং  ২০২

তাওবা করার পর চুরিকৃত সম্পদের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?

তাওবা করার পর চুরিকৃত সম্পদের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?

তাওবা করার পর চুরিকৃত সম্পদের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্নঃ
এক ব্যক্তি একসময় অনেকের কাছ থেকে অনেক কিছু চুরি করেছে। কিন্তু পরে অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করেছে। এখন সে জানতে চায়, চুরিকৃত সম্পদের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী? যাদের কাছ থেকে চুরি করেছে, তাদের অনেকের নাম ঠিকানা মনে নেই। যাদের কথা মনে আছে তাদেরকেও লজ্জার কারণে বলতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে তার করণীয় কী?

প্রশ্নকারী-আহমাদ

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

:الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد

চুরিকৃত সম্পদ তার মালিকের কাছে পৌঁছে দেয়া জরুরি। সে মারা গেলে তার ওয়ারিসদের কাছে দেয়া জরুরি। দেয়ার সময় এটা চুরিকৃত সম্পদের ক্ষতিপূরণ; তা বলে দেয়া জরুরি নয়। যে কোনো উপায়ে মালিকের কাছে পৌঁছে দিলেই চলবে। তা না করে দান করার দ্বারা দায়মুক্ত হওয়া যাবে না। লজ্জার কারণে তার মুখোমুখী হতে না চাইলে তার নাম্বার সংগ্রহ করে বিকাশ করে দিতে পারে। তবে বিকাশ করলে টাকাটা কী বাবদ, তা লিখে অবশ্যই একটি বার্তা তার মোবাইলে পাঠিয়ে দিবে। অন্যথায় তিনি উক্ত টাকা নিয়ে পেরেশান হবেন। তবে যদি মালিক জানা না থাকে বা মালিক খুঁজে পাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে তার পক্ষ থেকে তা গরিবদেরকে সদকা করে দিতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। জিহাদের ফান্ডেও দেয়া যেতে পারে।
তবয়ীনুল হাকায়েক, (যাকারিয়া বুক): ৬/৩১৬; আদ্দুররুল মুখতার (দারুল ফিকর): ৬: ১৮৩; মাজমাউল আনহুর (দরুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ): ৪/১০০
বিস্তারিত জানতে নিচের ফতোয়াগুলো পড়ুন:
বান্দার হক ফিরিয়ে না দিয়ে দান করে দিলে কি দায়মুক্ত হওয়া যাবে?
পাওনাদার মারা গেলে তার পাওনা টাকার ব্যাপারে করণীয় কী?
সুদের টাকা কোথায় সদকা করা উত্তম?

والله تعالى أعلم

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
০৮-০৩-১৪৪৩ হি.
১৬-১০-২০২১ ঈ.

Related Articles

Back to top button