জিহাদ-কিতাল:ফাতওয়া  নং  ৪৩৪

তাগুত বাহিনীর যুদ্ধরত মুসলিম সৈন্যকে হত্যার বিধান

তাগুত বাহিনীর যুদ্ধরত মুসলিম সৈন্যকে হত্যার বিধান

তাগুত বাহিনীর যুদ্ধরত মুসলিম সৈন্যকে হত্যার বিধান

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্ন:

আমার জানা মতে তাগুতের সেনাবাহিনীর মধ্যে কেউ যদি কাফের থাকে, তাকে হত্যা করে তার কাছে থাকা রাইফেল কেড়ে নেয়া যাবে। তবে কোনো মুসলিমকে হত্যা করা তো খারেজিদের কাজ। বাংলাদেশের তাগুত সেনাবাহিনীর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম না জেনে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের মধ্যে অনেকেই এমন আছে, যারা আল্লাহকে ভয় করে। কিন্তু অজ্ঞতার কারণে কিংবা তাগুতের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে।

আমার মূল প্রশ্ন হল, তাগুতের বাহিনীর কোনো মুসলিম সেনা আমার উপর আক্রমণ করলে, তাকে পাল্টা আক্রমণ করা জায়েয হবে কি না? তার থেকে হাতিয়ার ছিনিয়ে নেওয়া জায়েয হবে কি না?

-মাহির সোভন

উত্তর:

বর্তমান তাগুত সরকার ও তার বাহিনী আন্তর্জাতিক কুফরি শক্তি এবং কুফরি বিশ্ব ব্যবস্থার পক্ষে ইসলাম, মুসলিম ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত। এযুদ্ধে কোনো মুসলিমও যদি তাদের সঙ্গে যোগ দেয়, তাহলে তার সঙ্গে কিতাল করা, তাকে হত্যা করা, তার অস্ত্রশস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া সবই জায়েয।[1] – সূরা নিসা: (৪) ৯৭; শারহুস সিয়ার, পৃ: ২২৬৩ (আশ-শারিকাতুশ শারকিয়্যাহ); রদ্দুল মুহতার: ৬/৫৩৭ (দারুল ফিকর, বৈরুত); সহীহ বুখারী: ৩:৬৫, ৬/৪৮ হাদীস নং: ২১১৮, ৪৫৯৬ (দারু তাইয়িবাহ) সহীহ মুসলিম: ৪/২২১০ হাদীস নং: ২৮৮৩ (দারু ইহয়াউত তুরাস); শারহুন নববী আলা মুসলিম: ১৮/৭ (দারু ইহয়াউত তুরাস); ফাতহুল বারী: ১৩/৩৮ (দারুল ফিকর); আস-সিয়াসাতুশ শরইয়্যাহ, পৃ: ৬৭ (ওযারাতুল আওকাফ, সৌদি); মুন্তাদাল আসয়িলাহ, মিম্বারুত তাওহীদ ওয়াল জিহাদ, প্রশ্ন নং: ৫৮৬৮

হেদায়া গ্রন্থকার ইমাম মারগিনানী রহিমাহুল্লাহ (৫৯৩ হি.) বলেন,

قال: “وإذا التقى الصفان من المسلمين والمشركين فقتل مسلم مسلما ظن أنه مشرك فلا قود عليه وعليه الكفارة”؛ … وكذا الدية على ما نطق به نص الكتاب ولما اختلفت سيوف المسلمين على اليمان أبي حذيفة قضى رسول الله عليه الصلاة والسلام بالدية قالوا: إنما تجب الدية إذا كانوا مختلطين، فإن كان في صف المشركين لا تجب لسقوط عصمته بتكثير سوادهم قال عليه الصلاة والسلام: “من كثر سواد قوم فهو منهم”. –الهداية في شرح بداية المبتدي (4/447 دار احياء التراث العربي – بيروت – لبنان)

“মুসলিম ও মুশরিকদের দুটি দল পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত অবস্থায় কোনো মুসলিম মুশরিক মনে করে অপর মুসলিমকে হত্যা করলে তার উপর কিসাস আসবে না। তবে তাকে কাফফারা ও দিয়ত দিতে হবে, যেমনটা পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে। (উহুদ যুদ্ধের দিন) হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহুর পিতা ইয়ামানকে (না চেনার কারণে) মুসলিমরা চতুর্দিক থেকে তরবারীর আঘাতে হত্যা করে ফেললে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়তের ফায়সালা দেন। মাশায়েখগণ বলেছেন, দিয়ত ওয়াজিব হবে যদি মুসলিম-কাফের সবাই মিশ্রিত হয়। কিন্তু যদি কোনো মুসলিম মুশরিকদের কাতারে থাকে, তাহলে দিয়তও ওয়াজিব হবে না। কেননা মুশরিকদের দল ভারী করার দ্বারা তার জানের নিরাপত্তা নিঃশেষ হয়ে গেছে।” –আল-হিদায়াহ: ৪/৪৪৭ (দারু ইহয়ায়িত তুরাস)

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ (৭২৮ হি.) বলেন,

إن هذه العصابة التي بالشام ومصر في هذا الوقت هم كتيبة الإسلام وعزهم عز الإسلام وذلهم ذل الإسلام. فلو استولى عليهم التتار لم يبق للإسلام عز ولا كلمة عالية ولا طائفة ظاهرة عالية يخافها أهل الأرض تقاتل منه. فمن قفز عنهم إلى التتار كان أحق بالقتال من كثير من التتار؛ فإن التتار فيهم المكره وغير المكره … فإنه لا ينضم إليهم طوعا من المظهرين للإسلام إلا منافق أو زنديق أو فاسق فاجر. ومن أخرجوه معهم مكرها فإنه يبعث على نيته. ونحن علينا أن نقاتل العسكر جميعه. -مجموع الفتاوى (28/534 ط. مجمع الملك فهد لطباعة المصحف الشريف، المدينة النبوية: 1416هـ)

“বর্তমানে শাম ও মিসরের এই দলটিই ইসলামের সেনাবাহিনী। তাদের মর্যাদাই ইসলামের মর্যাদা, তাদের পরাজয় ইসলামের পরাজয়। যদি তাতাররা তাদের উপর বিজয়ী হয়, তাহলে ইসলামের কোনো মান-মর্যাদা থাকবে না, কোনো বুলন্দ কালিমা থাকবে না এবং ইসলামের জন্য যুদ্ধ করার কোনো বিজয়ী বাহিনীও থাকবে না, যাদেরকে কাফেররা ভয় করবে। তাই মুসলিমদের মধ্যে যারা তাতারদের বাহিনীতে যোগ দিবে, তারা তাতারদের অনেকের চেয়েও যুদ্ধের বেশি উপযুক্ত হবে। কেননা তাতারদের মধ্যেও কেউ কেউ বাধ্য হয়ে যুদ্ধ করতে আসে। ….পক্ষান্তরে মুসলিম দাবিদারদের মধ্যে মুনাফিক, যিন্দীক বা ফাসেক ব্যতীত কেউ স্বেচ্ছায় তাতারদের সাথে মিলিতে হতে পারে না। তাতাররা যদি কাউকে বাধ্য করে (মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আসতে), তবে সে তার নিয়ত অনুযায়ী হাশরের ময়দানে উত্থিত হবে। আমাদের দায়িত্ব তো পুরো বাহিনীর সাথেই যুদ্ধ করা।” -মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৮/৫৩৪ (মাজমাউল মালিক ফাহাদ, সৌদি)

তবে কাফেরদের মোকাবেলায় যেহেতু বর্তমানে মুসলিমরা দুর্বল, এজন্য কখন কোন অঞ্চলে কার বিরুদ্ধে কিতাল করা হবে, কার বিরুদ্ধে করা হবে না, কাকে হত্যা করা হবে, কাকে করা হবে না, এসব বিষয়ে অবশ্যই মাফসাদা মাসলাহার (কল্যাণ-অকল্যাণের) বিচার বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে। বস্তুত যার সঠিক সিন্ধান্ত নিতে পারেন বিজ্ঞ আলেম ও সমর বিশেষজ্ঞ মুজাহিদরা। অন্যদের দায়িত্ব এবিষয়ে মুজাহিদ নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা। -আল-মুগনী: ৯/২০২, ২১৩-২১৪ (দারুল হাদীস); মুগনিল মুহতাজ: ৬/২৪ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ)

উল্লেখ্য, এ হচ্ছে সামগ্রিকভাবে তাগুত বাহিনীর বিরুদ্ধে কিতালের কথা। পক্ষান্তরে কোনো তাগুত সেনা যদি অন্যায়ভাবে আপনার উপর আক্রমণ করে, তাহলে আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মরক্ষা করবেন। প্রয়োজনে আপনি তার সাথে কিতাল করবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার হাতে সে নিহত হয়, তাহলে সে জাহান্নামী হবে, আর যদি তার হাতে আপনি নিহত হন তাহলে আপনি শহীদ গণ্য হবেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

مَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ، وَمَنْ قُتِلَ دُونَ أَهْلِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ، وَمَنْ قُتِلَ دُونَ دِينِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ، وَمَنْ قُتِلَ دُونَ دَمِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ. –مسند أحمد ط الرسالة: 1652، سنن الترمذي: 1421، قال الترمذي: هذا حديث حسن صحيح. اهـ

“যে ব্যক্তি তার মাল রক্ষার্থে নিহত হবে সে শহীদ। যে তার পরিবার-পরিজন রক্ষার্থে নিহত হবে সেও শহীদ। যে তার দীন রক্ষার্থে নিহত হবে সেও শহীদ। যে তার প্রাণ রক্ষার্থে নিহত হবে সেও শহীদ।” -মুসনাদে আহমাদ: ১৬৫২, সুনানে তিরমিযী: ১৪২১

অন্য হাদীসে এসেছে,

عن أبى هريرة قال جاء رجل إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال يا رسول الله أرأيت إن جاء رجل يريد أخذ مالى قال « فلا تعطه مالك ». قال أرأيت إن قاتلنى قال « قاتله ». قال أرأيت إن قتلنى قال « فأنت شهيد ». قال أرأيت إن قتلته قال « هو فى النار ». –صحيح مسلم: 377

“হযরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি আমার মাল কেড়ে নিতে আসে? তিনি উত্তর দেন, তাকে তোমার মাল দেবে না। ঐ ব্যক্তি আরজ করল, যদি সে আমার সাথে কিতালে জড়ায়? তিনি উত্তর দেন, তুমিও তার সাথে কিতাল কর। ঐ ব্যক্তি আরজ করল, যদি সে আমাকে হত্যা করে? তিনি উত্তর দেন, তাহলে তুমি শহীদ হবে। ঐ ব্যক্তি আরজ করল, যদি আমি তাকে হত্যা করি? তিনি উত্তর দেন, তাহলে সে জাহান্নামে যাবে।” -সহীহ মুসলিম: ৩৭৭

আর আপনি যা বলেছেন যে, ‘কোনো মুসলিমকে হত্যা করা তো খারেজিদের কাজ’ কথাটি ঢালাওভাবে সহীহ নয়। খাওয়ারিজরা মূলত কবীরা গুনাহের কারণে মুসলিমদের কাফের আখ্যায়িত করে তাদের জান মাল হালাল গণ্য করে। পক্ষান্তরে মুসলিম যখন হত্যার উপযুক্ত কোনো অপরাধে লিপ্ত হয়, তখন তাকে হত্যা করা জায়েয, বরং ক্ষেত্র বিশেষে ওয়াজিব। যেমন মুসলিম যদি অন্য মুসলিমের জান-মাল-ইজ্জতের উপর হামলা করে আর তাকে হত্যা ব্যতীত প্রতিহত করা সম্ভব না হয়, তখন তাকে হত্যা করে ফেলাই বিধান। যেমনটা উপর্যুক্ত হাদীসে দেখেছেন।

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০৫-১৪৪৫ হি.

০৩-১১-২০২৩ ঈ

[1] المصادر والمراجع:

{إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنْتُمْ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا فَأُولَئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَسَاءَتْ مَصِيرًا} [النساء: 97]

شرح السير الكبير (ص: 2263)

ولو كان حين قال: لا إله إلا الله كف عنه فأفلت ولحق بالمشركين، ثم عاد يقاتل فحمل عليه الرجل فلما رهقه قال: لا إله إلا الله فإن كانت له فئة يلجأ إليها فلا بأس بأن يقتله. لأنه الآن بمنزلة المسلم الباغي المقاتل مع المسلمين في فئة، ومثله يقتل وإن كان مسلما. وإن لم تكن له فئة بأن كان تفرق جمعهم فلا ينبغي له أن يقتله.

وكذلك إن كان أسره فإن كانت الفئة على حالها فلا بأس بقتله، وإن تفرقت الفئة فليس له أن يقتله، ولكن يؤدبه لما صنع.

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (6/ 537)

(لا قود بقتل مسلم مسلما ظنه مشركا بين الصفين) لما مر أنه من الخطأ وإنما أعاده ليبين موجبه بقوله (بل) القاتل (عليه كفارة ودية) قالوا هذا إذا اختلطوا، فإن كان في صف المشركين لا يجب شيء لسقوط عصمته. قال – عليه الصلاة والسلام – «من كثر سواد قوم فهو منهم» . قلت: فإذا كان مكثر سوادهم منهم وإن لم يتزي بزيهم فكيف بمن تزيا قاله الزاهدي وقال المصنف: حتى لو تشكل جني بما يباح قتله كحية فينبغي الإقدام على قتله ثم إذا تبين أنه جني فلا شيء على القاتل، والله أعلم

وقال الشامي تحته:

قال في المعراج: علم مسلما بعينه قد جاء به العدو مكرها فعمده بالرمي وهو يعلم يجب القود قياسا ولا يجب استحسانا؛ لأن كونه في موضع إباحة القتل يصير شبهة في إسقاط القصاص، وعليه الدية في ماله ولا كفارة. ولو قال وليه قصدته برميك بعد علمك أنه مكره وقال الرامي بل قصدت المشركين فالقول للرامي لتمسكه بالأصل وهو إباحة الرمي إلى صفهم اهـ

مجموع الفتاوى (28/ 534 مجمع الملك فهد لطباعة المصحف الشريف، المدينة النبوية، المملكة العربية السعودية

عام النشر: 1416هـ/1995م)

فهذا وغيره مما يبين أن هذه العصابة التي بالشام ومصر في هذا الوقت هم كتيبة الإسلام وعزهم عز الإسلام وذلهم ذل الإسلام. فلو استولى عليهم التتار لم يبق للإسلام عز ولا كلمة عالية ولا طائفة ظاهرة عالية يخافها أهل الأرض تقاتل منه. فمن قفز عنهم إلى التتار كان أحق بالقتال من كثير من التتار؛ فإن التتار فيهم المكره وغير المكره … فإنه لا ينضم إليهم طوعا من المظهرين للإسلام إلا منافق أو زنديق أو فاسق فاجر. ومن أخرجوه معهم مكرها فإنه يبعث على نيته. ونحن علينا أن نقاتل العسكر جميعه إذ لا يتميز المكره من غيره. وقد ثبت في الصحيح عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: {يغزو هذا البيت جيش من الناس فبينما هم ببيداء من الأرض إذ خسف بهم. فقيل يا رسول الله: إن فيهم المكره فقال: يبعثون على نياتهم} …. فالله تعالى أهلك الجيش الذي أراد أن ينتهك حرماته – المكره فيهم وغير المكره – مع قدرته على التمييز بينهم مع أنه يبعثهم على نياتهم فكيف يجب على المؤمنين المجاهدين أن يميزوا بين المكره وغيره وهم لا يعلمون ذلك بل لو ادعى مدع أنه خرج مكرها لم ينفعه ذلك بمجرد دعواه كما روي: {أن العباس بن عبد المطلب قال للنبي صلى الله عليه وسلم لما أسره المسلمون يوم بدر: يا رسول الله إني كنت مكرها. فقال: أما ظاهرك فكان علينا وأما سريرتك فإلى الله} . بل لو كان فيهم قوم صالحون من خيار الناس ولم يمكن قتالهم إلا بقتل هؤلاء لقتلوا أيضا فإن الأئمة متفقون على أن الكفار لو تترسوا بمسلمين وخيف على المسلمين إذا لم يقاتلوا؛ فإنه يجوز أن نرميهم ونقصد الكفار. ولو لم نخف على المسلمين جاز رمي أولئك المسلمين أيضا في أحد قولي العلماء. ومن قتل لأجل الجهاد الذي أمر الله به ورسوله – هو في الباطن مظلوم – كان شهيدا وبعث على نيته ولم يكن قتله أعظم فسادا من قتل من يقتل من المؤمنين المجاهدين. وإذا كان الجهاد واجبا وإن قتل من المسلمين ما شاء الله. فقتل من يقتل في صفهم من المسلمين لحاجة الجهاد ليس أعظم من هذا

صحيح البخاري (6/ 48)

باب من كره أن يكثر سواد الفتن والظلم

4596 – حدثنا عبد الله بن يزيد المقرئ، حدثنا حيوة، وغيره، قالا: حدثنا محمد بن عبد الرحمن أبو الأسود، قال: قطع على أهل المدينة بعث، فاكتتبت فيه، فلقيت عكرمة، مولى ابن عباس فأخبرته، فنهاني عن ذلك أشد النهي، ثم قال: أخبرني ابن عباس: «أن ناسا من المسلمين كانوا مع المشركين يكثرون سواد المشركين، على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، يأتي السهم فيرمى به فيصيب أحدهم، فيقتله – أو يضرب فيقتل» – فأنزل الله: {إن الذين توفاهم الملائكة ظالمي أنفسهم} [النساء: 97] الآية

فتح الباري لابن حجر (13/ 38)

وفيه تخطئة من يقيم بين أهل المعصية باختياره لا لقصد صحيح من إنكار عليهم مثلا أو رجاء إنقاذ مسلم من هلكة وأن القادر على التحول عنهم لا يعذر كما وقع للذين كانوا أسلموا ومنعهم المشركون من أهلهم من الهجرة ثم كانوا يخرجون مع المشركين لا لقصد قتال المسلمين بل لإيهام كثرتهم في عيون المسلمين فحصلت لهم المؤاخذة بذلك فرأى عكرمة أن من خرج في جيش يقاتلون المسلمين يأثم وإن لم يقاتل ولا نوى ذلك ويتأيد ذلك في عكسه بحديث هم القوم لا يشقى بهم جليسهم كما مضى ذكره في كتاب الرقاق

صحيح البخاري (3/ 65) 2118 –  صحيح مسلم (4/ 2210) (2883)

عن عائشة رضي الله عنها، قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «يغزو جيش الكعبة، فإذا كانوا ببيداء من الأرض، يخسف بأولهم وآخرهم» قالت: قلت: يا رسول الله، كيف يخسف بأولهم وآخرهم، وفيهم أسواقهم، ومن ليس منهم؟ قال: «يخسف بأولهم وآخرهم، ثم يبعثون على نياتهم»

شرح النووي على مسلم (18/ 7)

وفي هذا الحديث من الفقه التباعد من أهل الظلم والتحذير من مجالستهم ومجالسة البغاة ونحوهم من المبطلين لئلا يناله ما يعاقبون به وفيه أن من كثر سواد قوم جرى عليه حكمهم في ظاهر عقوبات الدنيا

السياسة الشرعية في إصلاح الراعي والرعية (ص: 63 وزارة الشئون الإسلامية والأوقاف والدعوة والإرشاد – المملكة العربية السعودية، الطبعة: الأولى، 1418هـ)

وإذا كان المحاربون الحرامية جماعة، فالواحد منهم باشر القتل بنفسه، والباقون له أعوان وردء له، فقد قيل: إنه يقتل المباشر فقط، والجمهور على أن الجميع يقتلون، ولو كانوا مائة، وأن الردء والمباشر سواء، وهذا هو المأثور عن الخلفاء الراشدين؛ فإن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- قتل ربيئة المحاربين، والربيئة هو الناظر الذي يجلس على مكان عال، ينظر منه لهم من يجيء. ولأن المباشر إنما تمكن من قتله بقوة الردء ومعونته. والطائفة إذا انتصر بعضها ببعض حتى صاروا ممتنعين فهم مشتركون في الثواب والعقاب، كالمجاهدين. فإن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «المسلمون تتكافأ دماؤهم، ويسعى بذمتهم أدناهم، وهم يد على من سواهم، يرد متسريهم على قعدهم» يعني أن جيش المسالمين إذا تسرت منه سرية فغنمت مالا، فإن الجيش يشاركها فيما غنمت، لأنها بظهره وقوته تمكنت؛ لكن تنفل عنها نفلا فإن النبي صلى الله عليه وسلم كان ينفل السرية إذا كانوا في بدايتهم الربع بعد الخمس، فإذا رجعوا إلى أوطانهم وتسرت سرية نفلهم الثلث بعد الخمس، وكذلك لو غنم الجيش غنيمة شاركته السرية، لأنها في مصلحة الجيش، كما قسم النبي صلى الله عليه وسلم لطلحة والزبير يوم بدر؛ لأنه كان قد بعثهما في مصلحة الجيش، فأعوان الطائفة الممتنعة، وأنصارها منها، فيما لهم وعليهم.

المدونة (4/  554 دار الكتب العلمية الطبعة: الأولى، 1415هـ – 1994م)

قال: ولقد قال لي مالك في قوم خرجوا فقطعوا الطريق، فتولى رجل منهم أخذ مال كان مع رجل ممن أخذ أخذه منه والآخرون وقوف إلا أنه بهم قوي وأخذ المال، فأراد بعض من لم يأخذ المال التوبة وقد أخذ المال الذي أخذه ودفع إلى الذي لم يأخذ حصته، ماذا ترى عليه حين تاب، أحصته الذي أخذ أم المال كله؟ قال بل أرى المال كله عليه، لأنه إنما قوي الذي أخذ المال بهم والقتل أشد من هذا فهذا يدلك على ما أخبرتك به من القتل. ولقد ذكر عن عمر بن الخطاب أن بعضهم كان ربيئة للذين قتلوه، فقتله عمر معهم.

منتدى الأسئلة (2/134)

كل من كثر سواد الكفار والمرتدين فحكمه حكمهم ويعامل كما يعاملون ويحكم عليه بظاهر حاله وتوكل سريرته إلى الله تعالى. وفي ذالك يقول شيخ الإسلام ابن تيمية: (وقد يقاتِلون وفيهم مؤمن يكتم إيمانه يشهد القتال معهم ولا يمكنه الهجرة، وهو مكره على القتال، ويُبعث يوم القيامة على نيته، كما في الحديث الصحيح عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال «يغزو جيش هذا البيت، فبينما هم ببيداء من الأرض إذ خُسِفَ بهم، فقيل: يا رسول الله، وفيهم المكره، قال يبعثون على نياتهم». وهذا في ظاهر الأمر وإن قُتِل وحكم عليه بما يُحكم على الكفار فالله يبعثه على نيته، كما أن المنافقين منا يُحكم لهم في الظاهر بحكم الإسلام ويُبعثون على نياتهم. والجزاء يوم القيامة على مافي القلوب لاعلى مجرد الظواهر، ولهذا روي أن العباس قال: يا رسول الله كنت مكرها، قال «أما ظاهرك فكان علينا وأما سريرتك فإلى الله») (مجموع الفتاوى) 19/ 224 ــ 225. فليس من الصواب القول بأنه يحرم قتل المنخرطين في جند الطاغوت بحجة أنهم قد يكونون مكرهين لأن الأدلة مصرحة بمشروعية معاملتهم بظاهر حالهم.

আরও পড়ুনঃ জিহাদের জন্য কি বৈধ অস্ত্র থাকা জরুরি?

Related Articles

Back to top button