ব্যবসা ও ক্রয় বিক্রয়:ফাতওয়া  নং  ৫১৬

মোবাইল বিক্রির বিধান

পিডিএফ ডাউনলোড করুন

 

প্রশ্ন: এ সাইটের একটি ফাতোয়ায় দেখলাম, টিভি বা এ জাতীয় পণ্য, যা সাধারণত নাজায়েয কাজেই ব্যবহৃত হয়, তা বিক্রি করা জায়েয নেই। কেউ বিক্রি করে ফেললে, তার মূল্য সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে কিংবা জনকল্যাণমূলক কোনো কাজে ব্যয় করবে।

আমার জানার বিষয় হলো, আমরা যে মোবাইলগুলো ব্যবহার করি, তা দিয়ে গুনাহের কাজই বেশি হয়, যেমনটা টিভি দিয়ে হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো, যদি কোনো ব্যক্তি মোবাইল কোম্পানির মালিক হয় কিংবা অন্য কারো মোবাইলের শোরুমে অথবা দোকানে কাজ করে, তাহলে তার এ উপার্জন হালাল? না, হারাম? দলীলসহ জানানোর অনুরোধ রইল।

-আবিদুর রহমান

 

 

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم

وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين، أما بعد!

মোবাইল ও টিভির বিষয়টি এক নয়। টিভি বানানোই হয়েছে শরীয়ত পরিপন্থী বিনোদন তথা নাটক-সিনেমা ইত্যাদির জন্য এবং টিভি এধরনের নাজায়েয কাজেই ব্যবহৃত হয়। পক্ষান্তরে মোবাইলের মূল উদ্দেশ্য হলো যোগাযোগ ইত্যাদির মতো জায়েয বিষয়। স্মার্ট ফোনও মৌলিকভাবে যোগাযোগসহ বিভিন্ন জায়েয কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নির্মিত। ব্যবহারকারী নাজায়েয কাজে ব্যবহার করলে এর দায়ভার তার নিজের উপর বর্তাবে। কাজেই মোবাইলের ব্যবসা করা বা এর শোরুমে চাকুরি করা জায়েয এবং উপার্জনও হালাল। হ্যাঁ, কোনো ব্যবহারকারীর ব্যাপারে যদি জানা থাকে যে, তিনি একে নাজায়েয কাজে ব্যবহার করবেন, তাহলে তার কাছে তা বিক্রি করা যাবে না। তবে কেউ নাজায়েয কাজে ব্যবহার করবে কি না, এই তথ্য জানা না থাকলে অনুসন্ধান করে বের করার প্রয়োজন নেই।

-ফাতাওয়া শামী: ৪/২৬৮, ৫/৬৯; জাওয়াহিরুল ফিকহ: ৭/২৯৬-২৯৭; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ১৬/১২৯; দারুল ইফতা, দারুল উলূম দেওবন্দ, ভারত, ফতোয়া  নং: ৬৪৫৯০, ১৭৫৩২৩; দারুল ইফতা, জামিয়া ইসলামিয়া বিন্নুরী টাউন, পাকিস্তান, ফতোয়া নং: ১৪৪১১১২০০১২৯, ১৪৩৯০৯২০১৪৮২

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২০-০৫-১৪৪৬ হি.

২৩-১১-২০২৪ ঈ.

 

আরো পড়ুন লিংক:

বাকি বিক্রিতে নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য নেওয়ার হুকুম কী?

Related Articles

Back to top button