ফাতওয়াফাতওয়া  নং  ৪০৬

দারুল হরবে কি জুমআর সাথে জোহরও পড়তে হয়?

দারুল হরবে কি জুমআর সাথে জোহরও পড়তে হয়?

দারুল হরবে কি জুমআর সাথে জোহরও পড়তে হয়?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্নঃ

আমার পরিচিত এক আলেমকে বলতে শুনেছি, বর্তমানে বাংলাদেশ যেহেতু দারুল হরব তাই এখানে জুমআ সহীহ হবে না। কারণ জুমআ সহীহ হওয়ার জন্য একটি শর্ত হলো, শাসক বা তার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা বা কমপক্ষে তাদের অনুমতি থাকা। এ শর্তটি এখানে পাওয়া যায় না। কারণ বর্তমান শাসকরা সবাই তাগুত। তাদের উপস্থিতি ও অনুমতি কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি এও বলেন, তবে বর্তমানে জুমআ না পড়লে যেহেতু ফিতনা সৃষ্টি হওয়া অনিবার্য, তাই জুমআ পড়ে জোহরও পড়তে হবে। বিষয়টি কি আসলে এমনই? এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রইলো।

-মুহাম্মাদ হাসান

 

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

نحمده و نصلي على رسوله الكريم أما بعد

জুমআর নামায ফরয হওয়া কিংবা সহীহ হওয়ার জন্য দারুল ইসলাম শর্ত নয়। দারুল হারবেও জুমআ ফরয এবং তা আদায় করতে হবে। জুমআ ছেড়ে জোহর পড়া যাবে না। এমনিভাবে জুমআ পড়ার পর আবার জোহর পড়ারও অনুমতি নেই।

ইবনুল হুমাম রহিমাহুল্লাহ (৮৬১ হি.) বলেন,

وإذا لم يكن سلطان ولا من يجوز التقلد منه كما هو في بعض بلاد المسلمين غلب عليهم الكفار كقرطبة في بلاد المغرب الآن وبلنسية وبلاد الحبشة وأقروا المسلمين عندهم على مال يؤخذ منهم يجب عليهم أن يتفقوا على واحد منهم يجعلونه واليا فيولى قاضيا أو يكون هو الذي يقضي بينهم وكذا ينصبوا لهم إماما يصلي بهم الجمعة. فتح القدير7/264 ،ط . دار الفكر؛ و كذا في رد المحتار نقلا عن الفتح 8/43 ،زكريابكدبو.

“যখন সুলতান বা এমন (কর্তৃত্বের অধিকারী) ব্যক্তি না থাকে, যিনি কাজী নিয়োগ দিতে পারেন, যেমন বর্তমান মরোক্কোর কর্ডোবা, ভ্যালেন্সিয়া ও আবিসিনিয়ার মতো যেসব মুসলিম রাষ্ট্র কাফেররা দখল করে নিয়েছে এবং মুসলিমদের থেকে অর্থ গ্রহণের বিনিময়ে তাদেরকে সেখানে বহাল রেখেছে, সেসব অঞ্চলের মুসলিমদের ওপর ফরয, একমত হয়ে নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে শাসক নির্ধারণ করা। যিনি তাদের জন্য কাজী নিয়োগ দিবেন বা নিজে তাদের বিচারকার্য সম্পাদন করবেন। একইভাবে তাদের ওপর ফরয একজন ইমাম নিয়োগ করা, যিনি তাদের নিয়ে জুমআ আদায় করবেন।” -ফাতহুল কাদীর: ৭/২৬৪

ইবনে আবিদীন শামী রহিমাহুল্লাহ (১২৫২ হি.) বলেন,

ولذا لو مات الوالي أو لم يحضر لفتنة ولم يوجد أحد ممن له حق إقامة الجمعة نصب العامة لهم خطيبا للضرورة كما سيأتي مع أنه لا أمير ولا قاضي ثمة أصلا وبهذا ظهر جهل من يقول لا تصح الجمعة في أيام الفتنة مع أنها تصح في البلاد التي استولى عليها الكفار كما سنذكره فتأمل. -رد المحتار 2\138، دار الفكر، بيروت

“যদি শাসনকর্তা মৃত্যুবরণ করেন অথবা ফিতনার কারণে উপস্থিত না হতে পারেন এবং এমন কাউকে না পাওয়া যায়, যার জুমআ কায়েমের অধিকার রয়েছে, তাহলে জরুরতের কারণে সাধারণ মানুষ নিজেদের জন্য একজন খতীব নির্ধারণ করে নেবে, যেমনটি সামনে এ বিষয়ে আলোচনা আসছে। অথচ এখানে আমীর কিংবা কাজী কেউ-ই নেই। আমাদের এ বক্তব্য থেকে ওই সব লোকের অজ্ঞতা স্পষ্ট হয়, যারা বলে, ফিতনার সময়ে (অর্থাৎ মুসলিম শাসকদের নিজেদের পরস্পরে মারামারির সময়ে) জুমআ সহীহ হবে না। অথচ ওই সমস্ত এলাকাতেও জুমআ সহীহ, যেগুলো কাফেররা দখল করে নিয়েছে, যেমনটি আমরা সামনে উল্লেখ করবো।” -রদ্দুল মুহতার: ২/১৩৮, দারুল ফিকর, বৈরুত

তিনি আরও বলেন,

لو منع السلطان أهل مصر أن يجمعوا إضرارا وتعنتا فلهم أن يجمعوا على رجل يصلي بهم الجمعة. اهـ -رد المحتار 2\143، دار الفكر.

فلو الولاة كفارا يجوز للمسلمين إقامة الجمعة. اهـ. -رد المحتار 2\144،دار الفكر

“সুলতান যদি একগুঁয়েমিবশত এবং ক্ষতি সাধনের জন্য কোনও এলাকার লোকজনকে জুমআ আদায়ে নিষেধ করেন, তাহলে তারা নিজেরা সম্মতিক্রমে একজনকে জুমআর জন্য নির্ধারণ করে তার পেছনে জুমআ পড়তে পারবে।” -রদ্দুল মুহতার: ২/১৪৩, দারুল ফিকর, বৈরুত

“যদি প্রশাসকরা কাফের হয়, তাহলেও মুসলমানদের জন্য জুমআ কায়েম করা সহীহ।” -রদ্দুল মুহতার ২/১৪৪, দারুল ফিকর, বৈরুত

রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী রহিমাহুল্লাহ (১৩২৩ হি.) বলেন,

اعلم أن مسألة الجمعة قد اختلفت فيه أقوال علمائنا في أنها تتأدى في بلادنا هذه أم لا؟ وهل يجوز أداؤها في القرى أم لا؟ فقد اشتهر في أكثر البلاد أنه لا تجب الجمعة على من هو في بلادنا، لأنها ليست بدار الإسلام. وليت شعري من أين اخترعوا هذا الشرط وليس لذلك في كتبهم أثر.  وأما تركه صلى الله عليه وسلم الجمعة بمكة فإنما كان لعدم الأمن وعدم القدرة على أدائها عيانًا لكونهم يتعرضون في ذلك لا لكونها دار حرب. … وأما اشتراط الإمام فمن اتفق جماعة المسلمين على إمامته فهو إمام ولا يحتاج إلى الخليفة أو نائبه عينًا، إذ الوجه في اشتراطهما الاتفاق ورفع النزاع، وهو حاصل”. -الكوكب الدري على جامع الترمذي: 1/198-199، أبواب الجمعة، باب: ما جاء في ترك الجمعة من غير عذر، ط. المكتبة الأشرفية، ديوبيد،

“আমাদের এ ভূমিতে (হিন্দুস্তানে) জুমআ সহীহ হবে কি না এবং গ্রামে জুমআ সহীহ হবে কি না, এবিষয়ে আমাদের উলামায়ে কেরামের মাঝে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ এলাকায় লোকমুখে রটে গেছে যে, আমাদের এ অঞ্চলের (হিন্দুস্তানের) বাসিন্দাদের উপর জুমআ ফরয নয়; কেননা আমাদের দেশ দারুল ইসলাম নয়। জানি না, কোত্থেকে তারা এ শর্ত আবিষ্কার করলো! অথচ তাদের (আইম্মাদের) কিতাবাদিতে এর স্বপক্ষে প্রমাণের কোনও নাম নিশানাও নেই।

… আর ইমামের শর্তের ব্যাপারে কথা হলো, জামাআতুল মুসলিমীন একমত হয়ে (জুমআর নামাযের জন্য) যাকে ইমাম বানাবে, তিনিই ইমাম (তার ইমামতিতেই জুমআ সহীহ হবে)। সরাসরি খলীফা বা তার প্রতিনিধির প্রয়োজন নেই। কেননা খলীফা বা তার প্রতিনিধি শর্ত করার পেছনে হেকমত ছিলো, মুসলিমদের একতা রক্ষা ও তাদের মতানৈক্য দূর করা। আর এভাবে (মুসলিমরা নিজেরা মিলে একজনকে জুমআর ইমাম বানানোর দ্বারা) তা রক্ষা হচ্ছে।” –আলকাওকাবুদ দুররী: ১/১৯৮-১৯৯, মুদ্রণ: আল-মাকতাবাতুল আশরাফিয়া, দেওবন্দ

তিনি তাঁর উর্দু ফতোয়ায় আরও বলেছেন,

قصبہ میں اور شہر میں جمعہ ادا ہوجاتا ہے، لہذا اسکے بعد ظہر نہ پڑھنا چاہئے”

“(হিন্দুস্থানে) বড় গ্রাম ও শহরে জুমআ সহীহ হয়ে যায়। সুতরাং জুমআর পর জোহর পড়া ঠিক নয়।” –ফতোয়ায়ে রশীদিয়া ২/৬৬, মুদ্রণ: মাকতাবায়ে ফকীহুল মিল্লাত, দেওবন্দ

দারুল উলুম দেওবন্দের এক ফতোয়ায় এসেছে,

سوال  (2333)  ہندوستان میں بعد ادائے جمعہ احتیاط الظہر ہے یا نہیں؟

الجواب: احتیاط الظہر نہیں ہے، شہروں وغیرہ میں اسلۓ کہ وہاں جمعہ صحیح ہے، اور قریہ صغیرہ میں جمعہ ادا نہیں ہوتا، وہاں نماز ظہر باجماعت پڑھنی چاہۓ- فقط –فتاوی دار العلوم دیوبند 5/38-39، ط ۔ مکتبۂ  دار العلوم دیوبند

“প্রশ্ন: হিন্দুস্থানে জুমআ আদায় করার পর সতর্কতাস্বরূপ যোহর পড়া হবে কি না?

উত্তর: সতর্কতাস্বরূপ জোহর আদায় করা যাবে না। শহর ইত্যাদিতে তো এ জন্য যে, সেখানে জুমআ সহীহ। আর ছোট গ্রামে জুমআ আদায় করা সহীহ নয়। সেখানে জামাআতের সাথে জোহর পড়তে হবে।” -ফতোয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৫/৩৮-৩৯

উল্লেখ্য, হানাফী মাযহাবের বিভিন্ন কিতাবে সুলতান বা তাঁর প্রতিনিধির উপস্থিতি বা তাঁদের অনুমতি থাকার যে শর্ত করা হয়েছে, তা সালাতুল জুমআর মৌলিক কোনও শর্ত নয়। এটি ইন্তিজামী তথা ব্যবস্থাপনাগত শর্ত। খলীফা বা সুলতান থাকতে অন্য কাউকে এই এখতিয়ার দিলে তা মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির কারণ হতে পারে। একইভাবে এই শর্ত তখনই প্রযোজ্য, যখন মুসলিমদের ইমাম বা সুলতান থাকবেন এবং তিনি যথাযথ জুমআর ইন্তেজাম করবেন। এর ব্যতিক্রম হলে মুসলিমদের দায়িত্ব, কাউকে ইমাম বানিয়ে জুমআর সালাত আদায় করা।

আশরাফ আলী থানভী রহিমাহুল্লাহ (১৩৬২ হি.) বলেন,

سوال  (545):  قدیم1/630- نما‎ز جمعہ کے انعقاد کے شرا‌‎‎‎ئط  سے جو سلطان اور امام کا ہونا نزدیک احناف کے معتبر ہے، اب زمانۂ موجودہ میں یہ شرط نہیں پائی جاتی تو اس صورت میں جمعہ ہو سکتا ہے؟  اگر ہے تو وہ کیا اسباب ہیں کن احناف علماء نے اس شرط کو شرط نہ سمجھا؟ بحوالۂ کتب و اقوال تحریر فرماۓ- اگرچہ فی زماننا سب جگہ جمعہ ہو رہا ہے؟

الجواب: في الهداية: ولا يجوز إقامتها إلا للسلطان أو لمن أمره السلطان لأنها تقام بجمع عظيم وقد تقع المنازعة في التقديم والتقدم. الخ.

و في الدر المختار: ونصب العامة الخطيب غير معتبر مع وجود من ذكر أما مع عدمهم فيجوز للضرورة.

روایت اولی سے معلوم ہوا کہ شرط وجود سلطان مقصود لذاتہ نہیں ہے، بلکہ بحکمت سد فتنہ کے ہے پس اگر تراضے مسلم سے یہ حکمت حاصل ہو جاوے تو معنی یہ شرط مفقود نہ ہوگی چناچہ روایت ثانیہ میں اس کی تصریح موجود ہے البتہ جہاں اور کوئی شرط صحت جمعہ کی مفقود ہو وہاں جائز نہ ہوگا- واللہ اعلم-  20/ذیقعدہ1322ھ

“প্রশ্ন. হানাফীদের মতে জুমআর নামায সহীহ হওয়ার জন্য সুলতান বা ইমাম থাকা শর্ত। বর্তমান যমানায় তো এ শর্তটি পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে এ সূরতে জুমআ আদায় করা যাবে কি …?

উত্তর: হেদায়া কিতাবে এসেছে, ‘সুলতান বা সুলতান যাকে আদেশ করবেন, তিনি ব্যতীত অন্য কারও জন্য জুমআ পড়ানো সহীহ নয়। কারণ, জুমআ বড় জামাআতের সাথে আদায় করা হয়। কে পড়াবে, কে পড়াবে না, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে (তাই সুলতান নিজে বা তার অনুমতিপ্রাপ্ত কেউ পড়ানো শর্ত করা হয়েছে)’।

দুররে মুখতারে এসেছে, ‘দায়িত্বশীল যাদের কথা আলোচনা গেছে, তারা বিদ্যমান থাকাবস্থায় জনসাধারণ কাউকে জুমআর খতীব নিয়োগ দিলে সহীহ হবে না। তাদের কেউ বিদ্যমান না থাকলে, জরুরতের কারণে সহীহ হয়ে যাবে’।

হেদায়া কিতাবের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হলো যে, (জুমআর সালাতের জন্য) সুলতানের উপস্থিতির শর্তটি জুমআর মৌলিক শর্ত নয়। মূলত তা ফিতনার পথ বন্ধ করার জন্য শর্ত করা হয়েছে। সুতরাং মুসলিমদের পারস্পারিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে –একজন খতীব নিয়োগের মাধ্যমে- যদি (ফিতনা নিরসনের) এই হিকমতটি অর্জিত হয়ে যায়, তাহলে বাহ্যিকভাবে এই শর্তটি না থাকলেও বস্তুত তা নেই বলা যায় না। এই কথাটিই আদ্দুররুল মুখতার কিতাবের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে এসেছে।

হ্যাঁ, কোথাও জুমআর অন্য কোনও শর্ত না পাওয়া গেলে সেখানে জুমআ সহীহ হবে না। ওয়াল্লাহু আলাম।” -ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৩/২০-২১, মুদ্রণঃ যাকারিয়া বুক ডিপো, দেওবন্দ

আরও দেখুন ফাতাওয়া হক্কানিয়া: ৩/৪০৪-৪০৫, মুদ্রণ: যাকারিয়া বুক ডিপো, দেওবন্দ

‘আলমাউসূয়াতুল ফিকহিয়্যাহ আলকুয়েতিয়া’তে সুলতানের শর্তের আলোচনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে,

الشرط الثاني: واشترطه الحنفية، إذن السلطان بذلك، أو حضوره، أو حضور نائب رسمي عنه، إذ هكذا كان شأنها على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وفي عهود الخلفاء الراشدين.

هذا إذا كان ثمة إمام أو نائب عنه في البلدة التي تقام فيها الجمعة، فإذا لم يوجد أحدهما، لموت أو فتنة أو ما شابه ذلك، وحضر وقت الجمعة كان للناس حينئذ أن يجتمعوا على رجل منهم ليتقدمهم فيصلي بهم الجمعة.

أما أصحاب المذاهب الأخرى فلم يشترطوا لصحة الجمعة أو وجوبها شيئا مما يتعلق بالسلطان، إذنا أو حضورا أو إنابة.-الموسوعة الفقهية الكويتية، 27\197، وزارة الأوقاف

“জুমআর জন্য দ্বিতীয় শর্ত – এই শর্তটি হানাফী মাযহাব মতে প্রযোজ্য – সুলতানের অনুমতি, তাঁর উপস্থিতি কিংবা তাঁর রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির উপস্থিতি। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং খুলাফায়ে রাশিদীনের যমানায় এভাবেই জুমআর নামায আদায় করা হতো।

অবশ্য এই শর্তটি তখনই প্রযোজ্য, যখন জুমআ আদায়ের শহরে ইমাম বা তার পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি উপস্থিত থাকেন। পক্ষান্তরে মৃত্যু, ফিতনা কিংবা এজাতীয় কোনও কারণে যদি তাদের কেউ না থাকেন এবং জুমআর সময় উপস্থিত হয়ে যায়, তখন মুসলমানদের দায়িত্ব হলো, একমত হয়ে কোনও একজনকে ইমাম বানানো, যাতে তিনি সকলকে নিয়ে জুমআ আদায় করতে পারেন।

কিন্তু অন্যান্য মাযহাবের উলামায়ে কেরাম জুমআ সহীহ বা ওয়াজিব হওয়ার জন্য সুলতানের সাথে সম্পৃক্ত; যেমন সুলতানের অনুমতি প্রদান, তাঁর উপস্থিতি বা তাঁর নায়েবের উপস্থিতি- এ জাতীয় কোনে শর্তই আরোপ করেননি।” -আলমাউসূয়াতুল ফিকহিয়্যাহ আলকুয়েতিয়্যাহ : ২৭/১৯৭, ওযারাতুল আওকাফ

অতএব, বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে জুমআকে বাতিল আখ্যা দিয়ে জুমআর পরে জোহর আদায়ের পরামর্শ দেওয়া সহীহ নয়।

আরও দেখুন-

ফতোয়া নং ৩৪ দারুল হারবে জুমআর নামাযের বিধান কি?

ফতোয়া নং ১১১ সেক্যুলার রাষ্ট্রে কি জুমআ পড়া বৈধ হবে?

فقط والله تعالى أعلم باالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৭-০১-১৪৪৫ হি.

০৫-০৮-২০২৩ ঈ.

Related Articles

Back to top button