বিবিধফাতওয়া  নং  ৩৯৮

নামাযরত অবস্থায় মযি নির্গত হলে করণীয়

নামাযরত অবস্থায় মযি নির্গত হলে করণীয়

নামাযরত অবস্থায় মযি নির্গত হলে করণীয়

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্নঃ

ফজরের নামাযের সময় প্রায়ই আমার পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত থাকে। এতে করে আমার মযি (বীর্য অপেক্ষা পাতলা এক প্রকার সাদা পদার্থ) বের হতে থাকে। যতবার অযু করে নামাযে দাঁড়াই, ততবারই নামায শেষে দেখতে পাই, মযি বের হয়ে গেছে। এভাবে করতে করতে কোনও কোনও সময় নামাযের ওয়াক্তই শেষ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?

-মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ

উত্তরঃ

কোনও প্রকার যৌন চিন্তা ও কল্পনা ব্যতীত এমনিতেই এরকম হওয়াটা একটু অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে যৌন চিন্তার মতো যেসব কারণে সমস্যা তৈরি হয় বা বৃদ্ধি পায়, তা পরিহার করে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। নিজেকে অন্যমনস্ক রাখার চেষ্টা করুন। মুখস্থ তিলাওয়াত, অর্থ খেয়াল করে সকালের আযকার অথবা মনোযোগ দিয়ে করতে হয়, এমন কোনও পড়াশোনা ইত্যাদিতে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন। একাকী না থেকে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। আশা করি এতে ভালো ফায়দা পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া বিজ্ঞ কোনও দীনদার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে, পুরুষাঙ্গে সামান্য টিস্যু কিংবা তুলা প্রবেশ করিয়ে কিংবা অন্য যে কোনও উপায়ে যদি অযু করে নামায পড়া যায় পরিমাণ সময় বন্ধ রাখা যায়, তাহলে এভাবে বন্ধ রেখে নামায আদায় করুন। -আলবাহরুর রায়েক: ১/২২৭; রদ্দুল মুহতার: ১/৩০৫, ৩০৮

সর্বাবস্থায় আপনি নামাযের সময় হওয়ার প্রথম মুহূর্ত থেকেই লক্ষ রাখবেন, মযি বন্ধ অবস্থায় অযু করে নামায আদায় করার সুযোগ পান কি না? পেলে তখনই আদায় করে নিবেন। পক্ষান্তরে যদি ওয়াক্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অযু করে নামায পড়া যায় পরিমাণ সময় মযি বন্ধ না হয় বা বন্ধ করা না যায়, তাহলে ওয়াক্তের শেষদিকে মযি নির্গত অবস্থায়ই অযু করে নামায আদায় করে নিবেন। এক্ষেত্রে আপনি মাযূর গণ্য হবেন এবং উক্ত নামায সহীহ হয়ে যাবে।

হ্যাঁ, যদি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর থেকে অযু করে নামায পড়ার মতো সময় পাওয়া সত্ত্বেও নামায আদায় না করেন এবং পরে মযি বন্ধ না হয় বা বন্ধ করা না যায়, তাহলে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে এঅবস্থায়ই অযু করে নামায আদায় করে নিবেন। তবে পরে আবার উক্ত নামায কাযা করে নিতে হবে। কারণ আপনার ওযর পূর্ণ ওয়াক্ত না থাকায় আপনি মাযূর গণ্য হবেন না। যদি ফজরের পূর্ণ ওয়াক্ত কিংবা পরবর্তী যোহরের পূর্ণ ওয়াক্ত এই ওযর বহাল থাকত, তখন আপনি মাযূর গণ্য হতেন। –কিতাবুল আসল: ১/৫১ (দারু ইবনি হাযম, বৈরুত); রদ্দুল মুহতার: ১/৩০৫ (দারুল ফিকর, বৈরুত); মানহালুল ওয়ারিদিন, পৃ: ১১৫ (দারুস সিরাজ, তুরস্ক); আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়া: ১/৪০ (দারুল ফিকর); আল-বাহরুর রায়েক: ১/২২৮ (দারুল কিতাবিল ইসলামী)

فقط. والله تعالى أعلم بالصواب.

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০১-১৪৪৫ হি.

০৬-০৮-২০২৩ ঈ

আরওঃ পাসপোর্ট চেকিং কালে নিকাব খুলতে বললে কী করণীয়?

Related Articles

Back to top button