হেবা-মীরাস-অসিয়তফাতওয়া  নং  ৩৮৩

স্বেচ্ছায় মীরাসের অংশ ত্যাগ করলে পরবর্তীতে কি তা দাবি করা যাবে?

স্বেচ্ছায় মীরাসের অংশ ত্যাগ করলে পরবর্তীতে কি তা দাবি করা যাবে?স্বেচ্ছায় মীরাসের অংশ ত্যাগ করলে পরবর্তীতে কি তা দাবি করা যাবে?

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

প্রশ্নঃ

কেউ স্বেচ্ছায় নিজের মীরাসের অংশ ছেড়ে দেয়ার পর পরবর্তীতে কি সে নিজে বা তার উত্তরাধিকারীরা তা দাবি করতে পারবে?

নাম- হাম্মাদ

উত্তরঃ

الحمد لله وسلام على عباده الذين اصطفى، أما بعد:

মীরাস বণ্টন করে বুঝে নেয়ার আগে নিজের প্রাপ্য অংশের দাবি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলেও তা কার্যকর হয় না। তাই পরবর্তীতে নিজে বা তার উত্তরাধিকারীরা তা দাবি করতে পারবে।

আব্দুল হাই লাখনৌভি রহিমাহুল্লাহ (১৩০৪ হি.) বলেন,

صرّحوا بأنّ الإرث لا يسقطُ بالإسقاط، بل هو جبري، حتى لو قال وارثٌ بعد موت مورثه: لا آخذ حصّتي من التركة، ثمّ أدعاها صحّت دعواه، صرّح به في ((تنقيح الفتاوي الحامدية)) وغيره. –عمدة الرعاية بتحشية شرح الوقاية (5/ 157)، كتاب العتاق، الناشر : مركز العلماء العالمي للدراسات وتقنية المعلومات

“আইম্মায়ে কেরাম সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, দাবি ছেড়ে দেয়ার দ্বারা উত্তরাধিকার বাতিল হয় না। … তাই কেউ মারা যাওয়ার পর যদি তার কোনো ওয়ারিস বলে, ‘মীরাসের সম্পদ থেকে আমি আমার প্রাপ্য অংশ নিবো না’, কিন্তু এরপর এসে আবার তার অংশ দাবি করে, তাহলে তার দাবি সহীহ।” –উমদাতুর রিআয়া: ৫/১৫৭

উল্লেখ্য, কোনো ওয়ারিস যদি নিজের অংশ না নিয়ে অন্য ওয়ারিসদের বা তাদের কাউকে দিয়ে দিতে চায়, তাহলে এর সহীহ পদ্ধতি হচ্ছে, প্রথমে সম্পদ বণ্টন করে নিজের প্রাপ্ত অংশ বুঝে নিবে। এরপর যাকে বা যাদেরকে দিতে চায় তাদের বুঝিয়ে দিবে। এভাবে বুঝিয়ে দিলে পরবর্তীতে আর দাবি করতে পারবে না।

একইভাবে কেউ যদি মীরাসের কোনো অংশ গ্রহণ করে সমঝোতার ভিত্তিতে বাকি অংশের দাবি ছেড়ে দেয়, তাহলেও সে পরবর্তীতে কোনো অংশ দাবি করতে পারবে না; চাই তার গৃহীত অংশ যে পরিমাণই হোক না কেন।

-আরও দেখুন রদ্দুল মুহতার: ৫/৬৯২; শারহুল মাজাল্লাহ্-খালিদ আতাসি: ৩/৩৮৮; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ১০/২৫, ৭/৪৯৪

والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২৮-১১-১৪৪৪ হি.

১৮-০৬-২০২৩ ঈ.

আরও পড়ুনঃআমি দাদার পরিত্যক্ত সম্পত্তির কত ভাগ পাব?

Related Articles

Back to top button