বিবিধফাতওয়া  নং  ৪৩০

কুনূতে নাযিলা পড়ার বিধান ও পদ্ধতি

কুনূতে নাযিলা পড়ার বিধান ও পদ্ধতি

কুনূতে নাযিলা পড়ার বিধান ও পদ্ধতি

পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

 

প্রশ্ন:

গাজা উপত্যকায় বর্তমানে ইহুদীদের যে বর্বর আক্রমণ চলছে, এমতাবস্থায় কুনূতে নাযিলা পড়ার বিধান কী? কুনূতে নাযিলা কীভাবে পড়তে হয়? জামাতে পড়তে হবে? না, একাও পড়া যাবে? এই বিষয়ে একটু বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

 

الحمد لله وسلام على عباده الذين اصطفى، أما بعد:

মুসলিমদের উপর বড় রকমের কোনো বিপদ বা দুর্যোগ আপতিত হলে সামর্থ্যানুযায়ী সব রকমের সহযোগিতার পাশাপাশি কুনূতে নাযিলা পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনাও করা উচিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম এমনটা করতেন।

যেমন বিরে মাউনায় সত্তরজন সাহাবী শহীদ হওয়ার ঘটনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস কুনূতে নাযিলা পড়েছেন।

عن أنس رضي الله عنه  : أن النبي صلى الله عليه و سلم أتاه رعل وذكوان وعصية وبنو لحيان فزعموا أنهم قد أسلموا واستمدوه على قومهم فأمدهم النبي صلى الله عليه و سلم بسبعين من الأنصار قال أنس كنا نسميهم القراء يحطبون بالنهار ويصلون بالليل فانطلقوا بهم حتى بلغوا بئر معونة غدروا بهم وقتلوهم فقنت شهرا يدعو على رعل وذكوان وبني لحيان. –صحيح البخاري (3/ 1115): 2899

“আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রিল, যাকওয়ান, উসাইয়্যা ও বনু লিহয়ান গোত্রসমূহের কিছু লোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসে এবং দাবি করে, তারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। স্বজাতির বিরুদ্ধে (জিহাদের জন্য) তারা তাঁর নিকট (কিছু যোদ্ধা দিয়ে) সাহায্য করার আবেদন করে। সাহায্যের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্তরজন আনসারী সাহাবী (তাদের সাথে) প্রেরণ করেন। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, (সে সত্তরজন সাহাবী এতো বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতো যে,) আমরা তাদেরকে কারী বলতাম। (আহলে সুফফার খাবার যোগান দেয়ার জন্য) তারা দিনের বেলায় লাকড়ি সংগ্রহ (করে বিক্রি) করতেন, আর (রাতের বেলায় তাদের আমল ছিল) রাতভর নামাযে দাঁড়িয়ে থাকতেন। প্রতিনিধি দলটি তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছিল। বিরে মাউনায় পৌঁছলে তারা তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সকলকে হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এতো বেশি কষ্ট পান যে,) রিল, যাকওয়ান ও বনু লিহয়ানের বিরুদ্ধে একমাস পর্যন্ত কুনূতে নাযিলা পড়ে বদদোয়া করেন।” –সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৯৯

عَنْ عَاصِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ –صلى الله عليه وسلم- وَجَدَ عَلَى سَرِيَّةٍ مَا وَجَدَ عَلَى السَّبْعِينَ الَّذِينَ أُصِيبُوا يَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ كَانُوا يُدْعَوْنَ الْقُرَّاءَ فَمَكَثَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى قَتَلَتِهِمْ. –صحيح مسلم للنيسابوري (2/ 136): 1582

“আসিম রহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি; বিরে মাউনায় শহীদ হওয়া সে সত্তরজন সাহাবীর ঘটনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতটা কষ্ট পেয়েছেন, আমি অন্য কোনো সারিয়্যার জন্য তাঁকে এত বেশি কষ্ট পেতে দেখিনি। তাঁদেরকে কারী বলে ডাকা হতো। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দীর্ঘ) এক মাস পর্যন্ত (কুনূতে নাযিলা পড়ে) বদদোয়া করেছেন।” –সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৮২

এমনিভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় নির্যাতিত সাহাবীদের মুক্তির পথ সহজ করার প্রার্থনা করে এবং মক্কার মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করে কুনূতে নাযিলা পড়েছেন।

عَنْ أَبِى سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُمْ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- قَنَتَ بَعْدَ الرَّكْعَةِ فِى صَلاَةٍ شَهْرًا إِذَا قَالَ « سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ». يَقُولُ فِى قُنُوتِهِ « اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ اللَّهُمَّ نَجِّ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ اللَّهُمَّ نَجِّ عَيَّاشَ بْنَ أَبِى رَبِيعَةَ اللَّهُمَّ نَجِّ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِى يُوسُفَ ». قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- تَرَكَ الدُّعَاءَ بَعْدُ فَقُلْتُ أُرَى رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَدْ تَرَكَ الدُّعَاءَ لَهُمْ – قَالَ – فَقِيلَ وَمَا تَرَاهُمْ قَدْ قَدِمُوا.[1] -صحيح مسلم للنيسابوري (2/ 135): 1574

“আবু সালামা রহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত যে, আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি নামাযে রুকুর পর এক মাস কুনূতে নাযিলা পড়েছেন। (রুকু থেকে উঠে) « سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ » বলার পর কুনূতে এই বলে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি ওয়ালিদ ইবনে ওয়ালিদকে মুক্ত করুন। হে আল্লাহ! সালামাহ ইবনে হিশামকে মুক্ত করুন। হে আল্লাহ! আইয়াশ ইবনে আবু রাবিয়াকে মুক্ত করুন।

হে আল্লাহ! অসহায় দুর্বল মুমিনদের মুক্তির পথ করে দিন। হে আল্লাহ! মুদার বংশের উপর আপনি আপনার কঠোর শাস্তি আরোপ করুন। হে আল্লাহ! ইউসুফ আলাইহিস সালামের (যুগের) দুর্ভিক্ষের মতো (দীর্ঘ) দুর্ভিক্ষে তাদের নিপতিত করুন।’ আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এরপর দেখলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া বন্ধ করে দিলেন। তখন আমি বললাম, রাসূলকে দেখছি তাদের জন্য দোয়া করা বন্ধ করে দিলেন! তিনি বলেন, তখন (সাহাবীদের তরফ থেকে) উত্তরে বলা হলো, আপনি কি দেখছেন না যে, তারা (বন্দীদশা থেকে) মুক্ত হয়ে (হিজরত করে মদীনায়) চলে এসেছে!” –সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৭৪

অর্থাৎ যেসকল সাহাবীর মুক্তির জন্য দোয়া করতেন, তারা মুক্ত হয়ে হিজরত করে চলে এসেছেন। এখন আর কুনূত পড়ার প্রয়োজন নেই, তাই বন্ধ করে দিয়েছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুও বিশেষ বিশেষ প্রেক্ষিতে কুনূতে নাযিলা পড়তেন।

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ (৭২৮ হি.) বলেন,

قد ثبت أن النبي صلى الله عليه وسلم قنت للنوازل التي نزلت به من العدو في قتل أصحابه أو حبسهم ونحو ذلك. فإنه قنت مستنصرا كما استسقى حين الجدب. فاستنصاره عند الحاجة كاسترزاقه عند الحاجة. … وكذلك كان عمر رضي الله عنه إذا أبطأ عليه خبر جيوش المسلمين قنت. وكذلك علي رضي الله عنه قنت لما حارب من حارب من الخوارج وغيرهم. … فهذا القول أوسط الأقوال وهو أن القنوت مشروع غير منسوخ؛ لكنه مشروع للحاجة النازلة لا سنة راتبة. -مجموع الفتاوى (23/ 102)

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত আছে যে, শত্রুদের পক্ষ থেকে সাহাবীদেরকে হত্যা, বন্দী বা এধরনের বিপদ পতিত হলে কুনূতে নাযিলা পড়তেন। অনাবৃষ্টির সময় সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি চাওয়ার মতো (দুর্যোগের সময়) কুনূত পড়ে সাহায্য চাইতেন। প্রয়োজনের সময় (কুনূতে নাযিলা পড়ে) সাহায্য চাওয়া, প্রয়োজনের সময় (বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত পড়ে) রিযিক চাওয়ার মতো। … এমনিভাবে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুও মুসলিম বাহিনীর খবর পেতে দেরি হলে কুনূতে নাযিলা পড়তেন। আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু খারেজী ও অন্যদের সাথে যুদ্ধের সময় কুনূতে নাযিলা পড়তেন। … তাই ‘কুনূতে নাযিলা মানসূখ নয়, বরং তা পড়ার হুকুম বর্তমানেও বিদ্যমান’ – এ মতটিই (দলীলের বিবেচনায়) মধ্যপন্থী মত। তবে তা আপতিত দুর্যোগের সময় পড়বে, (সারা বছরের) নিয়মতান্ত্রিক সুন্নত নয়।” -মাজমূউল ফাতওয়া: ২৩/১০২

তিনি আরও বলেন,

قد ثبت في الصحيح عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قنت شهرا يدعو على رعل وذكوان وعصية ثم تركه. وكان ذلك لما قتلوا القراء من الصحابة. وثبت عنه أنه قنت بعد ذلك بمدة بعد صلح الحديبية وفتح خيبر يدعو للمستضعفين من أصحابه الذين كانوا بمكة. … قنت لسبب نزل به ثم تركه عند عدم ذلك السبب النازل به. فيكون القنوت مسنونا عند النوازل. وهذا القول هو الذي عليه فقهاء أهل الحديث وهو المأثور عن الخلفاء الراشدين رضي الله عنهم. -مجموع الفتاوى (23/ 105)

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ হাদীসে প্রমাণিত আছে যে, রিল, যাকওয়ান ও উসাইয়্যা গোত্রের লোকেরা কারী সাহাবীদের হত্যা করার প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া-স্বরূপ এক মাস কুনূতে নাযিলা পড়েছেন, তারপর বন্ধ করে দিয়েছেন। আরও প্রমাণিত আছে যে, উক্ত ঘটনার বেশ পরে; হুদাইবিয়ার সন্ধি ও খায়বার বিজয়ের পরে, মক্কায় আটকা পড়া অসহায়  সাহাবীদের জন্য কুনূত পড়ে দোয়া করেছেন। … তো দেখা যাচ্ছে, তিনি আপতিত কোনো বিপদের কারণে কুনূত পড়তেন, অতঃপর উক্ত কারণ উঠে গেলে বন্ধ করে দিতেন। তাই আপতিত বিপদে কুনূতে নাযিলা পড়া সুন্নত। আর এটিই ফকীহ মুহাদ্দিসগণের মাযহাব এবং এটি খুলাফায়ে রাশেদীন থেকেও বর্ণিত।” -মাজমূউল ফাতওয়া: ২৩/১০২

ইবনে নুজাইম রহিমাহুল্লাহ (৯৭০ হি.) বলেন,

وَفِي فَتْحِ الْقَدِيرِ: … وَقَدْ قَنَتَ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي مُحَارَبَةِ الصَّحَابَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابَ وَعِنْدَ مُحَارَبَةِ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَكَذَلِكَ قَنَتَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَذَلِكَ قَنَتَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي مُحَارَبَةِ مُعَاوِيَةَ، وَقَنَتَ مُعَاوِيَةُ فِي مُحَارَبَتِهِ (انْتَهَى) . فَالْقُنُوتُ عِنْدَنَا فِي النَّازِلَةِ ثَابِتٌ. وَهُوَ الدُّعَاءُ بِرَفْعِهَا. -الأشباه والنظائر لابن نجيم (ص: 331)

“ফাতহুল কাদীরে বলা হয়েছে “…মুসাইলিমাতুল[2] কাযযাব ও আহলে কিতাবদের সাথে সাহাবীদের যুদ্ধের সময় আবু বকর সিদ্দীক রাযিয়াল্লাহু আনহু কুনূতে নাযিলা পড়তেন। এমনিভাবে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুও কুনূতে নাযিলা পড়তেন …।’’ ফাতহুল কাদীরের কথা এখানে সমাপ্ত।

অতএব, আপতিত দুর্যোগের সময় কুনূত পড়া আমাদের মাযহাব মতে প্রমাণিত। আর কুনূত হলো, উক্ত বিপদ দূর হওয়ার জন্য দোয়া করা।” -আল-আশবাহ ওয়ান নাজায়ির: ৩৩১

কুনূতে নাযিলা পড়ার পদ্ধতি

ফজরের নামাযে দ্বিতীয় রাকাতে রুকু শেষ করে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্’ বলে দাঁড়ানোর পর[3] ইমাম সাহেব আওয়াজ করে কুনূতে নাযিলা পাঠ করবেন। মুসল্লীগণ অনুচ্চ স্বরে আমীন বলবেন। দোয়ার শব্দগুলো ইমাম সাহেব একটু থেমে থেমে পড়বেন যেন মুসল্লীগণ মাঝখানে আমীন আমীন বলতে পারেন।[4] ইমাম-মুসল্লী কেউই হাত উঠাবেন না, তাকবীর বলবেন না এবং হাত বাঁধবেন না। হাত ছাড়া অবস্থায় কুনূত পড়বেন। দোয়া শেষে সাজদায় চলে যাবেন এবং শেষ বৈঠক ও সালামের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে নামায শেষ করবেন।[5] -রদ্দুল মুহতার: ২/১১; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ২/৩০৬-৩০৭, ৩/২২১-২২৭

ইমাম সাহেব দোয়া এত বেশি লম্বা করবেন না যে, মুক্তাদীদের বিরক্তি এসে যায়।

উল্লেখ্য, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ফজরের নামায ছাড়া অন্যান্য নামাযেও কুনূতে নাযিলা পড়া প্রমাণিত আছে। তবে জীবনের শেষের দিকে শুধু ফজরের নামাযেই কুনূত পড়তেন বলে প্রমাণিত। তাই হানাফী মাযহাব মতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সর্বশেষ আমল হিসেবে শুধু ফজরের নামাযেই কুনূতে নাযিলা পড়া যাবে, অন্যান্য নামাযে পড়া যাবে না। -রদ্দুল মুহতার: ২/১১[6], ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৩/২২৮

মাসআলা: কুনূতে নাযিলা জামাতের সাথে পড়তে হয়। একা নামায আদায়কারী কুনূতে নাযিলা পড়বেন না। -রদ্দুল মুহতার: ২/১১[7]

মাসআলা: কুনূতে নাযিলা পড়ার জন্য খলীফা বা সুলতান শর্ত নয়। এমনিভাবে যে এলাকায় মুসলিমরা নির্যাতন বা আগ্রাসনের শিকার শুধু সে এলাকায় পড়তে হবে এমনও নয়। বরং বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মুসলিমরা কুনূতে নাযিলা পড়তে পারবে। -ফাতাওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ: ৪/১৯৪

মাসআলা: কুনূতে নাযিলায় নির্ধারিত কোনো দোয়া নেই। বরং যখন যে ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিবে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনীয় দোয়া পড়বে। -মাজমুউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া: ২৩/১০৮-১০৯, ১১৫[8]

বর্তমান গাজার ঘটনার প্রেক্ষিতে এই ধরনের দোয়াগুলো পড়া যায়:

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا، وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ، وَاَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ، وَاَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ، وَانْصُرْهُمْ عَلٰى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ، اَللّٰهُمَّ الْعَنْ كَفَرَةَ اَهْلِ الْكِتَابِ الَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِكَ، وَيُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ ، وَيُقَاتِلُوْنَ اَوْلِيَاءَكَ.

اَللّٰهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيْعَ الْحِسَابِ، هَازِمَ الْاَحْزَابِ.  اَللّٰهُمَّ اهْزِمْهُمْ، وَزَلْزِلْ اَقْدَامَهُمْ.

اَللّٰهُمَّ شَتِّتْ شَمْلَهُمْ، وَفَرِّقْ جَمْعَهُمْ، وَدَمِّرْ دِيَارَهُمْ، وَخَرِّبْ بِلَادَهُمْ، وَخَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمَ، وَاَلْقِ فِىْ قُلُوْبِهِمُ الرُّعْبَ، وَاَنْزِلْ بِهِمْ بَاْسَكَ الَّذِىْ لَا تَرُدُّهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ.

اَللّٰهُمَّ انْصُرِ الْاِسْلَامَ وَالْمُسْلِمِيْنَ، اَللّٰهُمَّ اَعِزَّ الْاِسْلَامَ وَالْمُسْلِمِيْنَ، وَاَذِلَّ الشِّرْكَ وَالْمُشْرِكِيْنَ، وَدَمِّرْ اَعْدَاءَ الدِّيْنِ، يَارَبَّ الْعَالَمِيْنَ.[9]

 

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

 

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল-মাহদি (উফিয়া আনহু)

২১-০৫-১৪৪৫ হি.

০৬-১২-২০২৩ ঈ.

 

١            منة المنعم في شرح صحيح مسلم (1/ 425)  قوله: (وما تراهم قد قدموا) أي أما تراهم أنهم أفلتوا من إسار أهل مكة، ووصلوا إلى المدينة، ومعناه أن الله استجاب دعاء رسوله – صلى الله عليه وسلم -، وانتهت القضية. فلذلك ترك الدعاء. اهـ

                فتح المنعم شرح صحيح مسلم (3/ 416) (ثم رأيت رسول اللَّه صلى الله عليه وسلم ترك الدعاء بعد) أي ترك الدعاء للوليد وسلمة وعياش والمستضعفين من المؤمنين بمكة، فلما سأل أبو هريرة بعض الصحابة عن الترك قيل له: إنهم فك إسارهم وقدموا من مكة إلى المدينة مهاجرين فلم يعد حاجة للدعاء لهم بمثل ما كان يدعو به. اهـ

 ٢       في فتح الباري لابن حجر (8/ 89): قوله قدم مسيلمة الكذاب على عهد النبي صلى الله عليه وسلم أي المدينة ومسيلمة مصغر بكسر اللام بن ثمامة بن كبير بموحدة بن حبيب بن الحارث من بني حنيفة قال بن إسحاق ادعى النبوة سنة عشر. اهـ كتاب المغازي

٣                      عن أنس قال  : قنت رسول الله صلى الله عليه و سلم شهرا بعد الركوع يدعوا على أحياء من العرب. -صحيح البخاري (4/ 1500): 3861

عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ هَلْ قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى صَلاَةِ الصُّبْحِ قَالَ نَعَمْ بَعْدَ الرُّكُوعِ يَسِيرًا. -صحيح مسلم للنيسابوري (2/ 136): 1578

٤                      قال الحافظ ابن حجر (852هــــ): أن المطلوب من قنوت النازلة أن يشارك المأموم الإمام في الدعاء ولو بالتأمين ومن ثم اتفقوا على أنه يجهر به بخلاف القنوت في الصبح فاختلف في محله وفي الجهر به. اهــــ-فتح الباري لابن حجر (2/ 606)

 

٥                      عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَرْمَلَةَ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ خُفَافٍ أَنَّهُ قَالَ قَالَ خُفَافُ بْنُ إِيمَاءٍ رَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ « غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ وَعُصَيَّةُ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ اللَّهُمَّ الْعَنْ بَنِى لِحْيَانَ وَالْعَنْ رِعْلاً وَذَكْوَانَ ». ثُمَّ وَقَعَ سَاجِدًا. قَالَ خُفَافٌ فَجُعِلَتْ لَعْنَةُ الْكَفَرَةِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ. -صحيح مسلم للنيسابوري (2/ 137): 1590

٦                      وقال الحافظ أبو جعفر الطحاوي: إنما لا يقنت عندنا في صلاة الفجر من غير بلية، فإن وقعت فتنة أو بلية فلا بأس به، فعله رسول الله – صلى الله عليه وسلم – وأما القنوت في الصلوات كلها للنوازل فلم يقل به إلا الشافعي، وكأنهم حملوا ما روي عنه – عليه الصلاة والسلام – «أنه قنت في الظهر والعشاء» كما في مسلم، وأنه «قنت في المغرب» أيضا كما في البخاري على النسخ لعدم ورود المواظبة والتكرار الواردين في الفجر عنه – عليه الصلاة والسلام – اهـ وهو صريح في أن قنوت النازلة عندنا مختص بصلاة الفجر دون غيرها من الصلوات الجهرية أو السرية. -الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 11)

 

٧                      وظاهر تقييدهم بالإمام أنه لا يقنت المنفرد. -الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 11)

 

٨                      والقول الثالث: أن النبي صلى الله عليه وسلم قنت لسبب نزل به ثم تركه عند عدم ذلك السبب النازل به فيكون القنوت مسنونا عند النوازل وهذا القول هو الذي عليه فقهاء أهل الحديث وهو المأثور عن الخلفاء الراشدين رضي الله عنهم فإن عمر رضي الله عنه لما حارب النصارى قنت عليهم القنوت المشهور: اللهم عذب كفرة أهل الكتاب. إلى آخره. وهو الذي جعله بعض الناس سنة في قنوت رمضان وليس هذا القنوت سنة راتبة لا في رمضان ولا غيره بل عمر قنت لما نزل بالمسلمين من النازلة ودعا في قنوته دعاء يناسب تلك النازلة كما أن النبي صلى الله عليه وسلم لما قنت أولا على قبائل بني سليم الذين قتلوا القراء دعا عليهم بالذي يناسب مقصوده ثم لما قنت يدعو للمستضعفين من أصحابه دعا بدعاء. يناسب مقصوده. فسنة رسول الله صلى الله عليه وسلم وخلفائه الراشدين تدل على شيئين: أحدهما: أن دعاء القنوت مشروع عند السبب الذي يقتضيه ليس بسنة دائمة في الصلاة. الثاني: أن الدعاء فيه ليس دعاء راتبا بل يدعو في كل قنوت بالذي يناسبه كما دعا النبي صلى الله عليه وسلم أولا وثانيا. وكما دعا عمر وعلي رضي الله عنهما لما حارب من حاربه في الفتنة فقنت ودعا بدعاء يناسب مقصوده. –مجموع الفتاوى (23/ 108109)

وقد تبين بما ذكرناه أن القنوت يكون عند النوازل وأن الدعاء في القنوت ليس شيئا معينا ولا يدعو بما خطر له بل يدعو من الدعاء المشروع بما يناسب سبب القنوت كما أنه إذا دعا في الاستسقاء دعا بما يناسب المقصود فكذلك إذا دعا في الاستنصار دعا بما يناسب المقصود كما لو دعا خارج الصلاة لذلك السبب؛ فإنه كان يدعو بما يناسب المقصود فهذا هو الذي جاءت به سنة رسول الله صلى الله عليه وسلم وسنة خلفائه الراشدين. -مجموع الفتاوى (23/ 115)

 

٩                      عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ الصُّبْحَ فَقَنَتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ قَالَ: فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ، وَنَسْتَغْفِرُكَ، وَنُثْنِي عَلَيْكَ وَلَا نَكْفُرُكَ، وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ، اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ، وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ، وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ، وَنَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخَافُ عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكَفَّارِينَ مُلْحَقٌ، اللَّهُمَّ عَذِّبِ الْكَفَرَةَ، وَأَلْقِ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ، وَخَالِفْ بَيْنِ كَلِمَتِهِمْ، وَأَنْزِلْ عَلَيْهِمْ رِجْزَكَ وَعَذَابَكَ، اللَّهُمَّ عَذِّبِ الْكَفَرَةَ أَهْلَ الْكِتَابِ الَّذِينَ يَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِكَ، وَيُكَذِّبُونَ رُسُلَكَ وَيُقَاتِلُونَ أَوْلِيَاءَكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ، وَاجْعَلْ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَالْحِكْمَةَ، وَثَبِّتْهُمْ عَلَى مِلَّةِ نَبِيِّكَ، وَأَوْزِعْهُمْ أَنْ يُوَفُّوا بِالْعَهْدِ الَّذِي عَاهَدْتَهُمْ عَلَيْهِ، وَانْصُرْهُمْ عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ، إِلَهَ الْحَقِّ، وَاجْعَلْنَا مِنْهُمْ» قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: وَلَوْ كُنْتُ إِمَامًا قُلْتُ هَذَا الْقَوْلَ، ثُمَّ قُلْتُ: اللَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ. -مصنف عبد الرزاق الصنعاني (3/ 110)، الرقم: 4968، ط. المجلس العلمي- الهند

عَنْ عَامِرٍ، قَالَ: قِيلَ لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ: مَتَى أَصَبْتَ الدَّعْوَةَ؟ قَالَ: يَوْمَ بَدْرٍ كُنْتُ أَرْمِي بَيْنَ يَدَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَضَعُ السَّهْمَ فِي كَبِدِ الْقَوْسِ، أَقُولُ: اللهُمَّ زَلْزِلْ أَقْدَامَهُمْ، وَأَرْعِبْ قُلُوبَهُمْ، وَافْعَلْ بِهِمْ وَافْعَلْ، فَيَقُولُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللهُمَّ اسْتَجِبْ لِسَعْدٍ. -المعجم الكبير للطبراني (1/ 143)، الرقم: 318، ط. مكتبة ابن تيمية – القاهرة

دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الأَحْزَابِ عَلَى المُشْرِكِينَ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الكِتَابِ، سَرِيعَ الحِسَابِ، اللَّهُمَّ اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُم. -صحيح البخاري (4/ 44)، الرقم: 2933، ط. دار طوق النجاة

عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَكَانَ كَاتِبًا لَهُ، قَالَ: كَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَقَرَأْتُهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ الَّتِي لَقِيَ فِيهَا، … ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الكِتَابِ، وَمُجْرِيَ السَّحَابِ، وَهَازِمَ الأَحْزَابِ، اهْزِمْهُمْ وَانْصُرْنَا عَلَيْهِمْ.

عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يَأْثِرُ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي الْقُنُوتِ: أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ، وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ، وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ، وَانْصُرْهُمْ عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ، اللَّهُمَّ الْعَنْ كَفَرَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ الَّذِينَ يُكَذِّبُونَ رُسُلَكَ وَيُقَاتِلُونَ أَوْلِيَاءَكَ، اللَّهُمَّ خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ، وَزَلْزِلْ أَقْدَامَهُمْ، وَأَنْزِلْ بِهِمْ بَأْسَكَ الَّذِي لَا تَرُدُّهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِينَ. -مصنف عبد الرزاق الصنعاني (3/ 111)، الرقم: 4969، ط. المجلس العلمي- الهند

عن أبي بُردة بن عبد الله أن أباه حدَثه، أن النبيَّ – صلَّى الله عليه وسلم – كان إذا خَافَ قوماَ، قال: “اللَّهُمَّ إنا نَجعلُكَ في نُحورِهم، ونعوذُ بِكَ مِنْ شُرورِهِمْ” . -سنن أبي داود ت الأرنؤوط (2/ 640)، الرقم: 1537، قال شعيب الأرنؤوط: إسناده صحيح

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ، يَقُولُ: ” اللَّهُمَّ أَنْجِ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ، اللَّهُمَّ أَنْجِ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، اللَّهُمَّ أَنْجِ الوَلِيدَ بْنَ الوَلِيدِ، اللَّهُمَّ أَنْجِ المُسْتَضْعَفِينَ مِنَ المُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ: وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ ” قَالَ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ: عَنْ أَبِيهِ، هَذَا كُلُّهُ فِي الصُّبْحِ.  -صحيح البخاري (2/ 26)، الرقم: 1006، ط. دار طوق النجاة

عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ فِي قُنُوتِهِ: «اللَّهُمَّ عَذِّبْ كَفَرَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ، اللَّهُمَّ اجْعَلْ قُلُوبَهُمْ عَلَى قُلُوبِ نِسَاءٍ كَوَافِرَ. -مصنف ابن أبي شيبة (6/ 110)، الرقم: 29873، ط. مكتبة الرشد – الرياض

আরও পড়ুনঃ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ইমামের পেছনে নামায পড়ার বিধান

Related Articles

Back to top button